অতীত ও বর্তমানের সমন্বয়েই ভবিষ্যৎ বুঝা যায়। তবে আন্তাজ বা ধারনা করা সঠিক নয় যদিনা অতিত এবং বর্তমানের সমন্বয় করে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করা না হয়। আমাদের দেশে সাধারণত অতি সাধারণ মানুষ এমনকি শিক্ষিত ও জ্ঞানীজনও সেই অতিত ও বর্তমানের সমন্বয় না করেই ধারনা করেন বা সিদ্ধান্ত নেন এমনকি আগামীর পরিকল্পনা করে থাকেন। তবে বর্তমানে এসে সেই সুদুর অতীতে ফিরে যাওয়া যেন ফরজে আইনে পরিণত হয়েছে এমনকি ভেবে দেখার সময়ও এসেছে। বর্তমান এবং অতীত সব সময় ভালমন্দ ভাবার এমনকি মন্দ থেকে আলাদা করার সুযোগ করে দেয়। আগামীর বিশ্ব সাজাতে যেন বর্তমানের সঙ্গে ভবিষ্যতের চৌকষ পরিকল্পনা এমনকি ক্ষুদ্র স্বার্থ্যগুলোকে বিসর্জন দিয়ে বৃহৎ স্বার্থ্যকে আলিঙ্গনে আবদ্ধ করার সময়। সমালোচনা এমনকি ভুল বা খোদ ধরার সময় এখন নয়। একটি ভাল কাজের ফল বা দৃশ্যমানতা কখনো কখনো তেতোও হতে পারে কিন্তু সেই তেতো থেকে বিতিষ্ণা ভাব উন্মোচন না করাই শ্রেয়। মন্দের চেয়েও যা ভাল তা পরখ করা বর্তমানের দাবী। আগমীর বিশ্ব বা আগামীর প্রজন্ম সাজাতে এখনই কাজ করতে হবে, সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ভাল-মন্দের যাচাই- বাছাই সম্পন্ন করতে হবে; বিশ্বউন্নয়নের গতিময়তায় নিজেদেরকে সাজিয়ে তুলতে হবে। পিছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই বরং সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময় এখন।
অতীতের দুস্বপ্নময় দিনগুলোর করা স্মরণে এনে বর্তমানের কর্মপরিকল্পনার বিষয়গুলোকে পরখ করতে হবে এবং সেই আলোকে যুগৎপদ সিদ্ধান্ত নিয়ে এগুতে হবে। আমাদের বাংলাদেশ আমাদেরকেই সাজাতে হবে। তবে একটি রূপরেখা এইদেশ সৃষ্টিপূর্ব থেকেই আমাদের জন্য দৃশ্যমান ছিল যা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নখ্যাত সোনার বাংলা। সেই সোনার বাংলার সোনার ছেলেরা আজ কে কি করছে তা দেখার সময় এসেছে; বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বরণের পরথেকে অদ্যাবদি সেই সোনার বাংলার সোনার ছেলেদের কৃতকর্ম পর্যালোচনায় সোনার বাংলাকে প্রাধান্য দিয়ে উন্নয়ন, অগ্রগতি এমনকি বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে কথা বলার অধিকার এবং অর্জনগুলিকে পরখ করে সামনে আরো গতিময়তা নিয়ে তা স্থায়ীকরণে পাকাপোক্ত ব্যবস্থার দ্বার উন্মোচন করতে হবে। ভিষণ, মিশন এবং লক্ষে স্থির ও কায্যে ধীর হয়ে এগিয়ে যাওয়ার মানুষিকতাসম্পন্ন বিচক্ষণ এবং পরিক্ষিত ব্যক্তিদেরকে সুযোগ দিতে হবে। কোনভাবেই ঘুণে ধরা এবং লোভী ও স্বার্থান্বেষী আর ব্যক্তিস্বার্থ্যকায়েমী জনগোষ্ঠিকে সুযোগ দেয়া যাবে না এমনকি তাদেরকে পরিবেশ নষ্টে মিডিয়া বুলিরও বাইরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে আমাদের তরুন উদীয়মান প্রজন্মের ভুমিকা এখন সুস্পষ্টকরণের সময়; স্বাধীনতা যুদ্ধ, ভাষার যুদ্ধ এমনকি উন্নয়নের যুদ্ধে যারা পুর্বে শরীক হতে পারেনি এখন সময় এসেছে শরীক হওয়ায় তাই শান্তিতে, নিশ্চিন্তে এবং নিরবে ও আগামীর করনীয়তে ভুমিকা রাখুন। কোনভাবেই পেছনে ফিরার চক্রান্তে শরীক হবেন না বরং সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে অংশীদ্বারী ভুমিকায় অবতীর্ণ হউন।
ইদানিং দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক চক্রান্তের স্ফুলিঙ্গ এখন বাতাসে দোলছে এবং কখনো এইদিকে কখনো সেইদিকে দোল খাচ্ছে। তবে এই দোলে সাধারণের কোন ভুমিকা থাকুক তা আমাদের কাম্য নয় বরং ঐ দোলানোতে যেন চক্রান্তকারীরাই দিশেহারা হয়ে হাসপাতাল বা দেশত্যাগে পলায়নপর দৃশ্যমানতায় মানসপটে দৃশ্যমান থাকে সেই ব্যবস্থায় শরীক হতে হবে। বাংলাদেশ অনেকদুর এগিয়েছে এবং আরো অনেক দূর এগুবে কিন্তু আপনি এবং আমি কি সেই এগুনোতে ভুমিকা রাখতে পেরছি এবং এর সুফল ভোগে একজন সন্তুষ্ট মানুষ হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারছি? এই বিষয়টি এখন গুরুত্বের সহকারে ভেবে দেখতে হবে। ইদানিং রাস্তার কতিপয় কর্মবিহীন অলস শ্রেণীর মানুষজন একত্রিত হয়ে উন্নয়ন বিরোধী ষড়যন্ত্র করছে এমনকি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টিতে নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে। তবে দৃশ্যমান এইসকল পদক্ষেপ থেকে নিজেকে নিরাপদ দুরত্বে রাখতে ভুমিকা পালন করুন এমনকি অন্যকে ঐসকল নোংরামী ও মিথ্যার ফুলঝুড়ি থেকে রক্ষা করুন। লোভে পাপ এবং পাপে মৃত্যু এই কথাটি সত্য এবং এই সত্যে পা দেয়া থেকে নিজে ও দেশবাসীকে বিরত রাখুন। ডা: ইফতেখার সাহেব এই বিষয়ে তার মতামত দিতে গিয়ে যথার্থই বলেছেন যে, দুর্নীতিগ্রস্থ্য সাজাপ্রাপ্তরা কিভাবে একটি দেশকে সুসজ্জ্বিত ও পুন:গঠন করবে। এটা ঠিক নয় বরং নিজেরা আগে ঠিক হওন এবং তৎপরবর্তীতে জনগণের সিদ্ধান্ত মেনে সামনে অগ্রসর হউন। এই সত্য প্রকাশে জনাব ফখরুল সাহেবের বিরাগভাজন হয়েছেন ড: ইফতেখার সাহেব। জীবনে এই প্রথম দেখলাম সরকারের বাইরে কতিপয় আন্দোলনকারী রাজনৈতিক দলের বিরাগভাজন তিনি হয়েছেন। সবসময় সরকার তাদের বিরুদ্ধে বিরাগভাজন হয় কিন্তু এবার এর ব্যতিক্রম। তবে বিরোধীদান ও রাজনৈতিক দল ও আন্দোলনকারীদের পক্ষেই সকল সময় অবস্থানকারীরা কেন এখন তাদের পক্ষাবলম্বন না করে বরং বিরুদ্ধাচরন করেছেন এবং সরকারের পক্ষে বা উন্নয়নের পক্ষে সাফাই গাইছেন তাও দেখে আগামীর করনীয় ঠিক করতে হবে। বাংলার আকাশের কালো মেঘ এখনো সম্পূর্ণরূপে দূর হয়নি তার প্রমান বর্তমানের উতাল-পাতাল রাজনৈতিক ঢেউ। এই ঢেউ থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসার জন্য সধারণ জনগণকে আহবান জানাচ্ছি। এরই মধ্যে ঐ উতাল-পাতাল ঢেউ এবং রাজনৈতিক রাজনীতি বিবর্জীত কথা-বার্তার লাগাম টেনে ধরার মেশিন আবিস্কৃত হয়েছে এবং যার ব্যবহার বহুলাংশেই শুরু হয়েছে। আশা করি আগামী দিনে পুরোপুরি ব্যবহার করে শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তায় পথ চলায় বাংলাদেশ হবে দিশাহীনের দিশা এবং আগামীর অভয়ারণ্য। তাই এই মহা সুযোগকে কাজে লাগামে আমি ও আপনি ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বিবীত হয়ে চলমান ধারাবাহিকতাকে আরো গতিশীলতা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে স্ব স্ব ভুমিকা পালনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। বাংলাদেশ এখন বৃহৎ অর্থনীতির ৩৫তম স্থানে থেকে বিশ্ব নের্তৃত্বের দৌড় প্রতিযোগীতায় লিপ্ত রয়েছে। আশা করি এই প্রতিযোগীতার শেষ প্রান্তে পৌছে স্থায়ী আসন পাকাপোক্তকরণে বিশ্বদরবারে স্থায়ী আসন গেড়ে এই জাতিকে গৌরবান্নিত করবে। তবে চলমান কাজে সহায়তা করে সকল ষঢ়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে আগামীর ভীতকে মজবুতকরণে স্ব স্ব ভুমিকা সমুজ্জ্বল রাখুন। একটি কথা না বললেও নয় যে, সরকারের মাঝেও প্রতিবদ্ধকতাকারী রয়েছে। দলের মধ্যেও প্রতিবন্ধকতাকারী রয়েছে। তাই এই প্রতিবন্ধকতাকারীদের নিয়ন্ত্রণ এবং নিষ্ক্রিয় করতে তড়িৎ পদক্ষেপ আশু কাম্য। যদি সকল কিছুর সঙ্গে সরকার ও দলের নেতিবাচকতাকারীদের নিয়ন্ত্রণও নেয়া যায় তাহলে আমার উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং চলমান ধারাবাহিকতা কে আটকায়। তবে অতিত এবং বর্তমান ও ভবিষ্যত যোগসূত্র এক কাতারে এনে দৃশ্যমান করণে কাজ করতে হবে। হিসেব নিকেশ কষেই জটিল সমিকরণের উত্তরণ ঘটিয়ে আগামীর নিশ্চিৎ গন্তব্য ঠিক করতে হবে। এই হউক আমাদের সকলের প্রাত্যহিক কামনা ও মনোবাসনা।