ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি \ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সমাজ সেবায় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক জাতীয় মানব কল্যান পদক-২০২০ অর্জন করায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারকে কসবা উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা ও শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়েছে। গতকাল ( ১৪ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপজেলার পাঁচ শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন ভ’ইয়া বকুলের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা ও শীতবস্ত্র বিতরন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন, পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম, জেলা পরিষদ সদস্য আবদুল আজিজ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হুরায়রা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, উপজেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রমুখ। এসময় ইউনিয়ন কমান্ডারগন উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে বাঙ্গালী সেনাবাহীনির যে সকল সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন তাদেরকে বিচার করার জন্য যে ট্রাইবুন্যাল হয়েছিলো সেই ট্রাইবুন্যালের চেয়ারম্যান ছিলেন এরশাদ সাহেব। অথচ রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে তিনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধাদের পিতৃতুল্য বলে দাবী করেন। তিনি তার রাষ্ট্র ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত রাখার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহার করেছেন কিন্তু তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছু করে যাননি। একমাত্র আওয়ামী লীগ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী সরকার ছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কেউ কিছু করবেনা। অন্যদিকে জিয়াউর রহমান শত শত মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের হত্যা করেছেন।