বাআ\ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান হয়। বাংলার অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাংলার মুক্তিকামী মানুষ।
৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের বিজয়। এদিন পাকহানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করলে বীর বাঙালি আনন্দে মেতে ওঠে, চারদিকে বিজয় মিছিল বের হয়। বিজয়ের এই দিনটি প্রতি বছর বিশেষ মর্যাদায় পালিত হয়। দেশের ডাক বিভাগও দিনটি উদযাপনে পিছিয়ে নেই। ডাক বিভাগ বিজয় দিবসের স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম প্রকাশ করে দিনটি বিশেষভাবে উদযাপন করে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে নিয়মিতভাবে বিশেষ দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকেট প্রকাশের রীতি চালু হয়। এর আগে মাত্র দুইবার স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করে ডাক কর্তৃপক্ষ।
বিজয় দিবসের প্রথম স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশিত হয় ১৯৭২ সালে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে এই ডাকটিকেটের নকশা করেন কে জি মোস্তাফা। যুক্তরাজ্য ব্র্যাডবেরি উইলকিনসন এন্ড কোং থেকে ছাপিয়ে আনা হয় সেই ডাকটিকিট।
ডাকটিকেটগুলোর মূল্যমান ছিল ২০ পয়সা, ৬০ পয়সা ও ৭৫ পয়সা। ‘মুক্ত আকাশে উড়ছে ৬টি মুক্তপায়রা’—এমন থিম ছিল ডাকটিকিটের। একইসঙ্গে প্রকাশ করা হয় উদ্বোধনী খাম। এ জন্য বিশেষ সিলমোহরও ব্যবহার করা হয়।
দেশ পুনর্গঠনের জন্য ব্যয় সংকোচন করতে ১৯৭৩ ও ১৯৭৪ সালে স্মারক ডাক টিকেট বের করা থেকে বিরত থাকে তৎকালীন সরকার। ১৯৭৫ সালে বংগবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে স্বাধীনতাবিরোধী সামরিক শাসকেরা ক্ষমতা দখল করলে ডাক টিকেট প্রকাশের রীতি একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীত্ব গ্রহনের পর প্রতি বিজয় দিবসে স্মারক ডাক টিকেট প্রকাশের রীতি পুনরায় চালু করেন।