হাসিবুল ইসলাম শান্ত॥ গত ২৭ শে জানুয়ারি, রাত আনুমানিক ১০:৩০ উত্তরা সেক্টর- ০৬, কুয়েত হাসপাতাল এর পাশ দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ মোটরসাইকেল- আরোহী দেখে একটা ছেলে একটা মেয়েকে গলায় ধারালো একটা ছুরি ধরে জোর জবরদস্তি করতেছে। মোটরসাইকেলের লাইট দেখে ভয়ে মেয়েটার গলা থেকে ছুরি সরিয়ে ছেড়ে দেয়; তখন মেয়েটা দৌড়ানো শুরু করে। মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করায় উনি বললেন যে, উনাকে ওই ছেলে টা রাস্তায় একা পেয়ে মোবাইল ও ব্যাগ ছিনতাই করার চেষ্টা করছিল। তখন আশেপাশে কোন মানুষ ছিলোনা এমনকি অন্ধকার রাস্তা। মোটরসাইকেল-আরোহী এর ভাষ্যমতে “আমি ছিনতাইকারী ছেলেটার দিকে যাই। দেখেই বোঝা যায় নেশাখোর।

আমি সামনে যেতেই ছুরি ফেলে দিয়ে ছিনতাইকারী ছেলেটা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে; তখন আমিও বাইক টান দেই আর তখন দেখি পাশে একটি পুলিশের গাড়ি। তাদেরকে আসতে দেখে আরো সাহস পাই আর বাইক দিয়ে তাড়াকড়ে ছিনতাইকারী ছেলেটাকে ধাক্কাদিয়ে ফেলে দিয়ে ধরি। আর সাথে সাথে পুলিশও আসে ধরে ছিনতাইকারী ছেলেটাকে। পুলিশ ধরে জিজ্ঞেস করলে স্বীকার করে যে, সে নেশা করে এইসব জায়াগায়। আর এইভাবে মানুষের থেকে ছুরি দেখিয়ে ছিনতাই করে। রিকসাওয়ালাদের মারধর করে টাকাপয়শা ছিনতাই করে। এই জায়গায় এদের একটা গ্যাং আছে।
পুলিশ ধরে ছিনতাইকারীকে থানায় নিয়ে যায়। এসব জায়গায় বিশেষ করে উত্তরা এরিয়ার দিকে ছিনতাই ইভটিজিংয়ের মত ক্রাইম বেড়েই যাচ্ছে। ভয় পেয়ে এসব কাজ কে প্রশ্রয় না দিয়ে এদেরকে আইন এর আওতায় নিয়ে আসা উচিত। এইসব ছিনতাইকারী থেকে আমরা কেউই নিরাপদ না। সাবধান থাকুন এবং স্বজাগ হউন আর স্বোচ্চার প্রতিবাদ করুন এমনকি সম্মিলিত ঐক্যের ভিত্তিতে এই অন্যায় বন্ধে কার্যকর ভুমিকা পালন করুন।