প্রশান্তি ডেক্স॥ অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডে আগামী ২ বছর অংশ নিতে পারবে না বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। ফলে আগামী দুই বছর (২০২৩ ও ২০২৪) দেশে বেসিস অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডের ‘বাংলাদেশ বাছাই পর্ব’ আয়োজন করতে পারবে না। তবে এ দেশের কোনও প্রতিযোগী অ্যাওয়ার্ডে ব্যক্তিগতভাবে অংশ নিতে চাইলে অ্যাপিকটায় সে পথ খোলা থাকবে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যালায়েন্স (অ্যাপিকটা) থেকে চিঠি দিয়ে বেসিসকে এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, এটা অ্যাপিকটার একপেশে সিদ্ধান্ত। তারা বায়াসড। তিনি বলেন, অ্যাপিকটা আমাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলে আমরা তার জবাব দিয়েছি। তারপরও তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমার মনে হচ্ছে, আমরা পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডে অংশ নেইনি। এই কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি। আগেই বলেছিলাম, আমরা পাকিস্তানে যাবো না। পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডে এবার সর্বনিম্ন অংশগ্রহণ ছিল।
এর আগে গত ৩ জানুয়ারি অ্যাপিকটার মালয়েশিয়ার প্রধান কার্যালয় থেকে বেসিসকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, পাকিস্তানের ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত অ্যাপিকটা-২০২২ অ্যাওয়ার্ডের বিচার এবং উপস্থাপনার একদম চূড়ান্ত পর্যায়ে বেসিসের এমন সরে দাঁড়ানোয় সার্বিক কার্যক্রমে চরম ব্যাঘাত ঘটেছে সেখানে। বাংলাদেশ থেকে সব মিলিয়ে ৪৩ জন নমিনি তাদের অংশগ্রহণ বাতিল করে কোনও কারণ না দেখিয়ে।
সেখানে বাংলাদেশিদের জন্য অংশগ্রহণে কোনও বাধা ছিল না বলে জানানো হয় চিঠিতে। তারপরও ভিসা নিয়ে যেকোনও রকম সমস্যায় তারা সমাধান করতেও প্রস্তুত ছিল বলে জানায় অ্যাপিকটা। শুধু তাই নয়, এরপর স্কুল ছাত্রছাত্রীদের অনলাইনে অংশ নিতে চাইলে সে ব্যাপারেও বেসিসের পক্ষ থেকে তাদের নিষেধ করা হয়। বেসিস কোনও কারণ না দেখিয়ে সরে আসে—যা আরও হতাশাজনক বলে চিঠিতে মন্তব্য করে সংস্থাটি।
বেসিসকে চিঠি দেওয়ার পর থেকে ১৪ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলে অ্যাপিকটা। এরপর অ্যাপিকটা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানায় চিঠিতে। বেসিস নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উত্তরও পাঠায় অ্যাপিকটাকে। গত বৃহস্পতিবার অ্যাপিকটা থেকে এই নিষেধাজ্ঞার চিঠিটি আসে বেসিসে।