ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ পল্লী কবি জসীমউদ্দীনের ‘মামার বাড়ি’ কবিতার পংক্তিগুলো বাস্তব রূপ পেতে বাকি রয়েছে আর মাত্র কয়েক মাস। তবে সুখের ঘ্রাণ বইতে শুরু করেছে। গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে ওই মুকুলের পাগল করা ঘ্রান। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছেম মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করে। পাশাপাশি মধু মাসের আগামী বার্তা শোনাচ্ছে আমের মুকুল।
তেমনি নতুন সাজে যেন সেজেছে কসবা উপজেলা দশটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা বাগান ও বাড়ির আঙ্গিনায় লাগানো আম গাছগুলি। আমের মুকুলে ভরপুর আর ঘ্রাণে কসবায় সর্বত্র জানান দিচ্ছে বসন্তের বার্তা। সুবাস ছড়াচ্ছে নিজস্ব মহিমায়। মুকুলে মুখ করলে ঘরে গেছে বাগান গুলো, কৃষি কর্মকর্তা ও আম চাষিরা আশা করছেন, বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কসবায় আমের বাম্পার ফলন হবে। ইতিমধ্যেই আমের মুকুলে বাতাসে মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে উঠছে চারিদিক।যাতে করে গাছে মুকুল বা গুটি আঁধার সময় কোন সমস্যার সৃষ্টি না হয়। এ উপজেলায় ফজলি, খিড়সা, মোহনা, রাজভোগ, আমরুপালি, বারী-৪, গোপালভোগ সহ অন্যান্য জাতের আম চাষের উপযুক্ত হওয়ায় চাষিরা নিজ উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চারা সংগ্রহ করে আমের বাগান করছেন। উপজেলা কুটি ইউনিয়নের লেসিয়ারা গ্রামের আম চাষে ফজলুল হক জানান পুরোপুরিভাবে এখন সব গাছে মুকুল এসেছে। ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ কম থাকায় এবার আকাঙ্খিত ফলনের আশা করছেন চাষিরা। আর ধীরে ধীরে উপজেলা জুড়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে আমের বাগান। উৎপাদিত আম মানসম্মত হওয়া য় চাহিদা ও বাড়বে অনেক। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাজরা বেগম জানান, এবার আগাম মুকুল ফুটেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে মুকুলগুলো নষ্ট হবার সম্ভাবনা নেই। আমের মুকুলের পরিচর্যায় উকন্যাশক এভোমেট্রিন ও ছত্রাকনাশক মেনকোজেভ বালাইনাশক স্ট্র্যাক করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।