প্রশান্তি ডেক্স॥তথ্য ও সম্প্রচামন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব ঠিকই বলেছেন যে, বিডিআর বিদ্রোহ ছিল দেশের বিরুদ্ধে একটি গভীর ষড়যন্ত্র। এবং সেই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে বিএনপির তৎকালীন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপি যুক্ত ছিল বললে তার কথাটি সম্পূর্ণ হতো।’
গত শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে রাংগুনিয়া সমিতির মেজবান-মিলন মেলায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকরা বিডিআর বিদ্রোহের ১৪তম বর্ষে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ‘বিডিআর বিদ্রোহ ছিল দেশের বিরুদ্ধে একটি গভীর ষড়যন্ত্র’ এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এ সময় ড. হাছান আরও বলেন, ‘আমি প্রশ্ন রাখতে চাই- বিডিআর বিদ্রোহের দিন ভোর রাতে কেন খালেদা জিয়া তার বাড়ি ছেড়ে চলে গেলেন? এবং তখন তো আমরা ক্ষমতায়, আমরা জানি, সে দিন এবং তার আগের দিন খালেদা জিয়া কতবার তারেক রহমানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। সে সব রেকর্ড আমাদের কাছে আছে।’
গণতান্ত্রিকভাবে বিপুল গণরায় নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর থেকেই বিএনপি দেশ এবং সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল এবং সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিডিআর বিদ্রোহ ঘটানো হয়েছিল’, বলেন হাছান মাহমুদ। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিডিআর বিদ্রোহে নিহতদের অধিকাংশই আওয়ামী পরিবারের সদস্য।’
এ ঘটনার বিচারে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের কার্যকলাপ ও ঘটনা পরম্পরায় তাদের নেপথ্য ভূমিকা স্পষ্ট হলেও প্রত্যেক্ষ প্রমাণের অভাবে মামলা হয়নি, ঠিক যেমন বঙ্গবন্ধু হত্যার পটভূমি রচনাকারী অনেক ষড়যন্ত্রকারীর বিরুদ্ধেও প্রত্যক্ষ প্রমাণের অভাবে এখনও মামলা করা যায়নি।’
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া জেলে থেকে রাজনীতি করতে পারবেন কিনা’ পুনরায় এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া শাস্তিপ্রাপ্ত বন্দি হিসেবে রাজনীতি করতে পারবেন না বিধায় বিএনপি তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানিয়েছে এবং সে জন্য তারা তাদের গঠনতন্ত্রের সাত নম্বর ধারা, যেখানে দুর্নীতির দায়ে কেউ শাস্তিপ্রাপ্ত হলে বিএনপির কমিটিতে থাকতে পারবে না বলা ছিল, সেই ধারা বাতিল করেছে।’
এর আগে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রাংগুনিয়ার সন্তান তথ্যমন্ত্রী হাছান তার উপজেলা সমিতির জনহিতকর কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। শিগগিরই ঢাকায় রাংগুনিয়া সমিতির একটি স্থায়ী অফিস প্রতিষ্ঠায় সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
রাংগুনিয়া সমিতির সভাপতি ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম সমিতি, ঢাকার সভাপতি জয়নাল আবেদীন জামাল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন হিরু, রাংগুনিয়া সমিতির উপদেষ্টা গিয়াস উদ্দিন খান, আবু সালেহ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।