ফেসবুক দ্বারা অবৈধ রমরমা ড্রোন ব্যবসা

প্রশান্তি ডেক্স\ ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে অবৈধভাবে চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা ব্যবসা। এর মধ্যে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অপকৃতির সাক্ষি জনসম্মুখ্যে আসে। কিন্তু এর কোন প্রতিকার আজও পাওয়া যায়নি। গত কয়েকদিন ধরে চলে আসছে স্বল্প দামের ড্রোন ব্যবসার আড়ালে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার নানাবিধ কৌশল। তার একটি আবিস্কার এখানে উল্লেখ করা হলো। তবে এর আলোকে ঐ প্রতারক গোষ্ঠিকে আটক করে উপযুক্ত শাস্তি এবং ফেসবুক কর্তপক্ষকে এর বিরুদ্ধে বিহীত ব্যবস্থা গ্রহন করার অনুরোধ জানানো উচিত নতুবা ফেসবুকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগ কওে প্রথমে কাউকে পাওয়া যায়নি কিন্তু অনেক পরে কেউ ফোনে যোগাযোগ করে অথবা একটি টেক্স মেসেজ পাঠায় যোগাযোগ নাম্বার দিয়ে। তারপর শুরু হয় যোগাযোগ এবং এক পর্যায়ে অর্ডার কনফার্ম এর কথা বলে বিকাশ নাম্বার ১৫০টাকা পাঠাতে বলে। পাঠানোর পর অর্ডার কনফার্ম মেসেজে আসে এবং চার্জ ফ্রি বলে ২৪/৪৮ ঘন্টার মধ্যে অর্ডার ডেলিভারির নিশ্চয়তা দেয় এমনকি বলে আগামীকাল বিকেল ৫টায় আপনার প্রোডাক্ট পেয়ে যাবে। তবে ডেলিভারিম্যান এর কাছ থেকে খুলে দেখে নেবেন।

ঠিক সেই কথা অনুযায়ী ডেলিভারীম্যান নির্ধারিত সময়ের আগেই ফোন দিয়ে ঠিকানা যাচাই করে এমনকি বলে অফিসে যোগাযোগ করার জন্য। আবার বলে আপনার পন্যটি দারাজ এর ভ্যানে আছে আমি ঐ পন্যটির কোড আপনার মাধ্যমে জেনে দারাজ থেকে নিয়ে আসব। তাই ঐ কোডের জন্য অফিসে যোগাযোগ করুন। অফিসে যোগাযোগ করলে বলে আপনার টাকা পরিশোধ করার পর কোড পাবেন। তখন ঐ টাকাও বিকাশে পরিশোধ করা হয় এবং তৎপরে একটি কোড আসে এবং ঐ কোড ডেলিভারিম্যানকে জানালে তিনি ঐ পন্য দারাজ ভ্যান থেকে গ্রহণ করেন এবং নতুন করে বলেন আপনার পন্যটির  সঙ্গে একটি গিফ্‌ট আছে যার জন্য আপনি অফিসে যোগাযোগ করুন। আপনার ছবি তূলতে হবে, রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। ভাগ্যবান ক্রেতা হিসেবে আপনার রেজিষ্ট্রেশন বাধ্যতামূলক ইত্যাদি।

তখন অফিসে যোগাযোগ করলে বলেন যে, আপনাকে আরো ৭৫০টাকা পরিশোধ করতে হবে। আমাদেও প্রতিনিধি আপনার রেজিষ্ট্রেশন করবে এবং আপনাকে রিয়েল মি ১০ ফোন সেটসহ পন্যটি আপনার কাছে পৌছে দিবে এবং ১৫০টাকা ক্যাশ দিয়ে আসবে।

তারপর হয়ত কেউ টাকা দেয় হয়ত আবার কেউ টাকা দেয় না। তবে আমার ক্ষেত্রে টাকা না দেয়ায় ঐ পন্যটি স্থগীত হয়ে আছে এবং তাদের ঐ ফোনে যোগাযোগ করে আর কোন খবর পাত্তা পাওয়া যাচ্ছে না। তবে তাদের বিকাশ এবং কোড নাম্বার ও যোগাযোগ গুলো মিয়ানমার, যশোর, খুলনা এবং ঢাকা ও গাজিপুর অঞ্চলকে প্রকাশ করেছে।

আমি বলতে চাই এই প্রতারকদের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করা এখন ফরজে আইন হয়ে পড়েছে। হাজার হাজার মানুষ এদের দ্বারা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে। আমি লোকমুখে শুনে সত্যতা যাচাই করে এই ঘটনাটি আবিস্কার করতে গিয়ে ১৩৫০টাকা খোয়াতে হয়েছে। তবে আমি তথ্যপ্রমানসহ জিডি করে এর মূলহোতাদের মুখুশ উন্মোচন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আজ হউক বা কাল হউক তারা ধরা পড়বেই। ফেসবুক অথবা অনলাইন ক্রয় ও বিক্রয় হয়ে সাবধান!!!

Leave a Reply

Your email address will not be published.