প্রশান্তি ডেক্স ॥ গত ১৪ বছরে অভাবনীয় অগ্রগতি সাধিত হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারকে পদত্যাগ বা তত্ত্বাবধায়কের অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক ও অযৌক্তিক দাবির হুংকার দিয়ে কোনও লাভ নেই। কোনও অনির্বাচিত ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সরকার গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত আদর্শের পরিপন্থি।
গত বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের’ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এ দেশের গণমানুষের সংগঠন। এ দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে চরম প্রতিকূল পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এবং দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অপরিসীম ত্যাগ-তিতিক্ষা অত্যাচার-নির্যাতন স্বীকার করে ও আত্মদানের মধ্য দিয়ে বহু বাধা-বিঘ্ন পেরিয়ে এগিয়ে চলা সংগঠনের নাম আওয়ামী লীগ। শত-সহস্র বৈরী পরিবেশেও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো সংগঠনের নাম আওয়ামী লীগ।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আওয়ামী লীগ কখনও পলায়নপর রাজনীতি করেনি, করবেও না। বরং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দল বিএনপির তথাকথিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একুশে আগস্টের খুনি দন্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান প্রায় দেড় দশক বিদেশে পলাতক রয়েছে। যারা দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামির নেতৃত্বে রাজনীতি করে, তাদের মুখে অন্যদের নিয়ে পলায়নপর রাজনীতির আষাঢ়ে গল্প তামাশা ছাড়া কিছু নয়।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে জনগণের মধ্য থেকে উত্থিত রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করেছিল বলেই মির্জা ফখরুল ইসলামরা আজ অপরাজনীতির সুযোগ পেয়েছে। বাকস্বাধীনতার নামে লাগাতারভাবে মিথ্যাচার করার অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করতে পারছে।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার নেতৃত্বে যদি দেশ স্বাধীন না হতো, তাহলে তাদের এখনও পাকিস্থানি শাসকগোষ্ঠীর গোলামি করতে হতো। স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস করেও তারা পরাজিত পাকিস্থানের প্রতি এক ধরনের সংবেদনশীলতা অনুভব করে। পাকিস্থানের প্রতি তাদের ভাবাদর্শগত মোহ এখনও কাটেনি। আমরা স্পষ্টতই বলতে চাই-যাদের এখনও পাকিস্থানের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে, বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি করার কোনও অধিকার থাকতে পারে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সবসময় জনআকাঙ্খা ও জনমতকে ধারণ করেই রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছে। জনকল্যাণকে সামনে রেখেই প্রণীত হয় বর্তমান সরকারের সব কর্মসূচি, পরিকল্পনা, কর্মপন্থা। যার ফলশ্রুতিতে বিএনপি-জামায়াতের রেখে যাওয়া ভংগুর অর্থনীতি ও চরম অনিশ্চয়তার বাংলাদেশ বিশ্বসভায় উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে অভিহিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কোনও অনির্বাচিত ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সরকার গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত আদর্শের পরিপন্থি। দেশে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন হবে। গণপ্রজাতান্ত্রিক বাংলাদেশে জনগণের ভোটেই সরকার গঠন হবে।’