প্রশান্তি ডেক্স ॥ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দেশে মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি নারী। এই নারীদের যদি ক্ষমতায় আনা না হয়, তাদের সফল না করা হয়, তাহলে সমাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কঠিন হবে। আর বাংলাদেশে এ বিষয়টি সবার আগে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। তিনি সর্বপ্রথম তার মন্ত্রিসভায় একটি মন্ত্রণালয় গঠন করেন, যার নাম ছিল মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেখানে তিনি একজন নারী নেত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
গত বুধবার (৮ মার্চ) ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে’ শোভাযাত্রা করেছে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এই শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘তারই (জিয়া) উত্তরসূরি খালেদা জিয়া নারী শিক্ষার প্রসারে যা করেছেন, তা অতীতে কেউ করেনি। তিনি ক্লাস ১০ পর্যন্ত নারী শিক্ষাকে অবৈতনিক ঘোষণা করেছেন, যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশের উন্নয়নে।’
আওয়ামী লীগের আমলে সবচেয়ে বেশি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নারীরা যেভাবে নির্যাতিত হয়েছেন, অতীতে কখনও এভাবে নির্যাতিত হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই।’ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় ‘মহিলা আওয়ামী লীগের’ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করা হলো, আমার দুঃখ হয়, বাংলাদেশের একটা মহিলা সংগঠন তারা কেউ বের হয়ে আসেনি, প্রতিবাদ করেনি। এই কাজগুলো করতে হবে আমাদের, আপনাদের (মহিলা দল) করতে হবে। যেখানে নারীদের ওপর নির্যাতন হবে, আপনাদের বেরিয়ে আসতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে।’
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, শাম্মী আখতার, জাহান পান্না, শাহানা আখতার সানু, নায়েবা ইউসুফ ও শাহিনুর নার্গিস প্রমুখ।