বর্তমানের নীতি ও হালচাল

বর্তমানের নীতি ও হালচাল বড়ই অসহায়। এই ক্ষেত্রে নীতি বরবারের ন্যায় অসহায় এবং নীড়িহও বটে। নীতির প্রশ্নে আপোষহীনতা যেন একমাত্রার যোগসূত্র হিসেবে কাজ করছে। নীতি নেই বললে চলবে না তবে নীতিহীনের নীতিই যেন এখন সর্বাঙ্গে বিরাজমান রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে আইন কার এবং কাদের জন্য? আইন কি কখনো কখনো কাউকে রক্ষা করতে পেরেছে? হ্যা তবে তা সংখ্যায় নগন্যও বটে। সৃষ্টির শুরু থেকেই আইনে বৈষম্য রয়েছে এবং আইন একজনকে ক্ষতি করে আর আরেকজনকে আইন উপকার করে। তবে নীরিহ এবং সত্যবাদীদের উপর আইন সকল সময়ই চড়াও হয়েছিল এবং বর্তমানেও হয়েছে বটে। তবে এই ক্ষেত্রে খোদার আইন আর মনুষ্য সৃষ্ট আইন বড়ই ফারাক। আজ এই সময়ে এসে আইনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে তা খুবই বেমানান। তবে মানুষের প্রয়োজনে আইন হওয়া উচিত কিন্তু আইনের বাস্তবায়ন কিন্তু এখনও অনুপস্থিত। তবে ইদুর বিড়ার খেলা এবং বিড়াল ইদুর খেলার পট পরিবর্তনই সকল সর্বনাশের মূলে পরিণত হয়েছে।

ব্যবসায়ীদের জন্য আইন প্রয়োজন এবং ব্যবসাক্ষেত্রে আইনের ব্যবহারও অর্থনৈতিক সাবলম্বিতার মূল হাতিয়ার। আইন ব্যবসায়ী এবং আইনের সঙ্গে যুক্তদের আমি খুবই কাছ থেকে দেখেছি এবং ঐ দেখাতে আমার পঞ্চইন্দ্রিয় তুষ্ট হয়েছে। দেরিতে হলেও একটি বিষয় আমার কাছে পরিস্কার হয়েছে এবং বাবার কথার সত্যতা মিলেছে যে, আমি আইন বিষয়ে পড়াশুনার জন্য ভর্তি হতে চেয়েছিলাম এবং আমার বাবা শুনে একটি কথার মাধ্যমে ঐ পড়াশুনা বন্ধ করে দিল। সেই কথাটি যথার্থই প্রমাণিত এবং সত্য। কথাটি হলো আমি আমার ছেলেকে ‘লায়ার’ বানাতে চাই না। তাই আজও সেই লায়ার হয়নি এবং অদুর ভবিষ্যতেও হবো না। মিথ্যার সঙ্গে আপস করবো না এবং সত্যকে কখনো পাশ কাটিয়ে যাবো না। সেই তৌরাতের আলোকে যেমনি করে সত্য এবং মিথ্যাকে পৃথক করা হয়েছিল তেমকি করে সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায় ও বিধানাবলীর মাধ্যমে জীবনের শেষ ইতি টানতে বদ্ধ পরিকর। আজকের দিনে এসে স্বল্পবাসী বা পরবাসী মানুষ হিসেবে খুবই অসহায় লাগে কষাই বা ব্যবসায়ী শ্রেণীর কষাইগীরি দেখে। তবে এইভেবে ভাল লাগে যে, তারা অবুঝ, হয়তো সার্টিফিকেট অর্জন হয়েছে এবং সেই সার্টিফিকেটের দ্বারাই এই কষাই কার্য সিদ্ধি করছে বা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে খোদা তায়ালা বলেছেন জ্ঞান আহরণের জন্য তোমরা সুদুর চীন দেশে যাও। আমাদের এই অবুঝদের এখনও জ্ঞান হয়নি। তবে আমি বলি জ্ঞানের জন্য খোদার তায়ালার কাছে যাচনা করুন। খোদা প্রচুর পরিমানে জ্ঞান দিবেন। আর ঐ জ্ঞান আসবে বেহেস্ত থেকে যা নম্র ও সকলের উপকারের নিমিত্তে, ঐ জ্ঞান ক্ষমা ও ভালবাসায় পরিপূর্ণ, হিংসা-বিদ্ধেষহীন; লোভ লালসার উদ্ধে।

আইনের দ্বারা অপরাধিরা রক্ষা পাচ্ছে এবং আইন ও অর্থ এবং ক্ষমতা এই তিনের সমন্বয়ে নিস্পেষিত হচ্ছে সাধারন ও নিরীহ এবং সত্যবাদি মানুষজন। তাই আইন ব্যবহারকারী এবং আইনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টজনরা খোদায়ী জ্ঞানে পরিপূর্ণ এবং তাদেরও একজন বিচারক আছেন জেনে কাজ করার মানুষিকতাসম্পন্ন হওয়া উচিত। আমার অভিজ্ঞতায় বলতে পারি কেউ আইনের উপর খুশি নন। বরং আইনের অপশাসনের কাছে জীম্মি। আমি এই চলমান আইন নিয়ে বা সংস্কার নিয়ে বলার কেউ না তবে একটি কথা আগেও বলছি এবং এখনও বলছি যে, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার এবং সরকার এই তিনের সমন্বয়ে ও সুরক্ষায় তথ্য প্রযুক্তি আইন হওয়া উচিত। এই বাইরে যে ধারা ও শর্ত যুক্ত করা হয়েছে সেইগুলি একেবারে বাতিল করা উচিত। তথ্যপ্রযুক্তি আইন নিয়ে অনেক হয়েছে এবং হবে আর এরজন্য দেশ ও বিদেশে সমালোচনার নানান কথা মিডিয়া ভরপুর রয়েছে। তবে শুরুতেই যদি আমার কথার আলোকে আইনটি রচিত হইত তাহলে এই মুখরোচক কথামালার ফুলঝুড়ি থেকে এবং নিরীহজন স্বীকারে পরিণত হওয়া থেকে রেহাই পেত। যাক অনেক পরিক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে এখন আইনটি সঠিকভাবে প্রতিস্থাপিত করে আগামীর দৃষ্টান্ত এবং মুল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য পরিপূর্ণ করুন। আমাদের আইঅঙ্গনের কর্তাব্যক্তিরা অভিজ্ঞ ও বিজ্ঞ এবং অনেক ভাল-মন্দের স্বাক্ষী তাই বর্তমানে সকল আইনের ত্রুটি ও বৈষম্যগুলো দুরীকরণে স্ব স্ব ভূমিকা রাখার সবিনয় অনুরোধ রাখছি। তবে পাশাপাশি আইন প্রয়োগে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহীতাও শতভাগ নিশ্চিতে ব্যবস্থা রাখার আহবান জানাচ্ছি। প্রশাসন, আইনবিদ, বিচারকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের ক্ষেত্রে আইনের ব্যবহার সর্বমহলে গ্রহনযোগ্য এবং শতভাগ ন্যায়সঙ্গত হয় সেই দিকে লক্ষ্য দেয়া এমনকি এর ব্যত্যয় ঘটলে ব্যবস্থা নেয়ার সুব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলকভাবে আইনে স্থায়ীভাবে সংযুক্তকরণ করা সময়ের দাবী।

সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাম্য এবং ভারসাম্য রক্ষায় দরকার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিভঙ্গি আর সমান্তরাল নীতি ও এর ব্যবহার। কিন্তু পরিচিত, আত্মীয়, দলীয় এমনকি পারিবারিক পরিচিতির সঙ্গে অর্থ ও ক্ষমতার সংযুক্তি ঐ সাম্য ও ভারসাম্যে বৈরীতা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। যার জন্য সরকার বা প্রশাসন যা চায় তার শতভাগ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি এবং অদুর ভবিষ্যতে হওয়ার সম্ভবনাও কম। কারণ দিন যতই গড়াচ্ছে ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং এর ব্যবহার ও প্রয়োগ একেবারে শুন্যের কৌটায় এসে দাঁড়াচ্ছে। ধর্মীয় মূল্যবোধহীন জীবন ব্যবস্থায় সাম্য এবং ভারসাম্য রক্ষার কোন সুযোগ নেই। তাই পারিবারিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় সকল ক্ষেত্রে ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রয়োগ বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। সকল শিক্ষা ব্যবস্থায় স্ব স্ব ধর্মের আলোকে ধর্মীয় মূল্যবোধ শিক্ষা এবং এর প্রচার ও প্রসার এমনকি চর্চার ব্যবস্থা অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। আগামীর পৃথিবীকে সুন্দর অর্থপূর্ণ অর্থবহ করতে হলে ধর্মীয় মূল্যবোধের কোন বিকল্প নেই। তাই এখনই সময় মানুষকে চেতনা দিয়ে জ্ঞানের সঠিক জায়গায় ফিরিয়ে আনতে সহয়তা করুন। স্ব স্ব ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখুন। ধর্মীয় মূল্যবোধ শিক্ষার সঙ্গে জাগতিক প্রয়োজনীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করুন। কোন শিক্ষাকেই বাদদিয়ে নয় বরং সকল শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ধর্মীয় শিক্ষা যুক্ত করে মূল্যবোধ চর্চায় জাতিকে নিয়োজিত করুন এবং আগামীর বেহেস্তি শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং নিশ্চত নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুন। যেহেতু আইন হচ্ছে এবং হবে তাই নতুন করে শিক্ষার জন্য ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্পন্ন আইন সংযুক্তিকরণ করে আগামীর বিশ্বকে ইতিবাচক এবং শান্তির, আনন্দের, নিশ্চয়তার অভয়ারণ্যে পরিণত করার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করুন।

সরকার উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং স্থিতিশীলতা আর নিশ্চয়তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানের বাংলাদেশ দৃশ্যমান অবস্থায় উন্নয়ন ও উন্নতির সুপানে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে বিশ্বকে শিক্ষা ও দিক্ষা দিচ্ছে। তবে এই যাত্রায় শুধু সরকার এবং সরকার দলীয়রা সংযুক্ত হলেই হবে না বরং সরকার ও বিরোধী দলীয়রা এবং সাধারণ আম জনতাকে সংযুক্ত করা অত্যাবশ্যক। নতুবা চলমানের ধারাবাহিকতায় ছেদ ঘটার সম্ভাবনা থাকে। তাই সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে এই মূলমন্তে উজ্জীবিত হয়ে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মানে বা স্মার্ট বাংলাদেশ রূপদানে শতভাগ নিয়োজিত হবো। এই দেশের কল্যাণে জন্য জনগণের মৌলিক চাহিদার যোগানের জন্য সকলের সংযুক্তি আবশ্যক। আজ বাংগালী জাতির স্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্দুর দেখানো পথে শেখানো গন্তর্ব্যে পৌঁছাতে যে কর্মযজ্ঞ চলমান তার সমাপ্তীতে ভূমিকা রাখার জন্য সবিনয় আহবান জানাচ্ছি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published.