কোন কোন হাসপাতালে সিজারে জন্মদান বেশি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে

প্রশান্তি ডেক্স ॥ দেশের বেসরকারি হাসপাতালে আশঙ্কাজনক হারে সি-সেকশন (সিজার) বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে সিজারের হার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে এই সংখ্যা খুবই উদ্বেগজনক, সেটি ৮০ শতাংশের কাছাকাছি। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ১৫ থেকে ২০ শতাংশ আমরা মেনে নিতে পারি, কিন্তু এতো সংখ্যা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এটি খতিয়ে দেখছি।

গত বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী একটি দেশে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ শতাংশ সিজার মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু এর বেশি কখনোই মেনে নেওয়ার মতো নয়। কীভাবে সিজারের পরিমাণ কমিয়ে আনা যায় তার জন্য সবরকম চেষ্টাই আমরা করে যাব।

মন্ত্রী বলেন, আমরা গত মাসে দেশের বেশকিছু হাসপাতালে ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস (বৈকালিক সেবা) কার্যক্রম শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে দেশের সবগুলো মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ কার্যক্রম আমরা শুরু করব। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ সরকারি হাসপাতালের বৈকালিক সেবায় চিকিৎসা নিচ্ছে। সেবা পেয়ে একদিকে যেমন জনগণ খুশি, অন্যদিকে যারা সেবা দিচ্ছেন তারাও খুশি।

তিনি বলেন, হাসপাতালে সেবা দিতে গিয়ে প্রায় সময়ই চিকিৎসকরা নানা সমস্যায় পড়েন। অনেক সময় রোগীর স্বজনদের মাধ্যমে হাসপাতাল ভাংচুর হয়। এমনকি ভুল বোঝাবুঝির কারণে মারামারি পর্যন্ত হয়। এসব সমস্যার সমাধানে আমরা আগামী সংসদেই স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইনটি পাস করে ফেলার চেষ্টা করব।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে শুধু হাসপাতাল বানালেই হবে না, এগুলোতে দক্ষ জনবলও প্রয়োজন। বর্তমানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে তিন লাখ লোক কাজ করে। জনবল ও সেবার দিক থেকে আমরা এখন সবচেয়ে বড় মন্ত্রণালয়। আমাদের চিকিৎসক-নার্স বাড়ছে। শুধু জনবল দিয়েই হবে না, পর্যাপ্ত ওষুধও দরকার। আশার দিক হলো, দেশে উৎপাদিত হচ্ছে চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ। এসব ওষুধ আমরা বিভিন্ন দেশে রফতানিও করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.