যৌথ রূপরেখা নিয়ে বিএনপির নতুন প্রস্তাব

প্রশান্তি ডেক্স ॥ আন্দোলন ও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলমান যৌথ রূপরেখা নিয়ে আলোচনার মধ্যেই আকস্মিকভাবে নতুন প্রস্তাব সামনে এনেছে বিএনপি। গত বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর পুরানা পল্টনে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের বৈঠকে এই বিষয়টি উঠে আসে।

বৈঠক সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে বিএনপির সঙ্গে আন্দোলন ও নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি যৌথ রূপরেখা ঘোষণার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা করছে সাতদলীয় গণতন্ত্র মঞ্চ। গত বছরের ৭ ডিসেম্বর নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মঞ্চের পক্ষ থেকে বিএনপিকে ১৪ দফা দাবি লিখিত আকারে তুলে দেওয়া হয়। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে বিএনপিকে বিষয়টি দ্রুত কার্যকর করার মত দেয় মঞ্চ।

গনতন্ত্র মঞ্চের একজন নেতা উল্লেখ করেন- ইতোমধ্যে বিএনপির ১০ দফা, মঞ্চের ১৪ দফা সমন্বয় করে একটি যৌথ রূপরেখা ঘোষণার বিষয়টি আলোচনায় ছিল। যদিও গত বৃহস্পতিবার অনেকটা আচমকা বিএনপির পক্ষ থেকে নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এটি হলো, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর হোটেল ওয়েস্টিনে ঘোষিত ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের লক্ষ্যে ২৭ দফা’কে আরও বাড়িয়ে যৌথ রূপরেখা হিসেবে ঘোষণা করা।

গত বৃহস্পতিবার বিএনপির পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবের পর গণতন্ত্র মঞ্চের সাতটি দলের শীর্ষনেতাদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। তারা বিষয়টিকে নতুন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। মূলত বিএনপির ২৭ দফা হচ্ছে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য প্রস্তাবনা, যেগুলো তারা ক্ষমতায় আসার সুযোগ পেলে বাস্তবায়ন করবে। সেক্ষেত্রে যৌথ রূপরেখায় আন্দোলন, নির্বাচন-পূর্ববর্তী কোনও প্রসঙ্গ নতুনভাবে কোন প্রক্রিয়ায় যোগ করা হবে, সেসব নিয়ে প্রশ্ন করছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে অংশ নেওয়া দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘রূপরেখা নিয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে। এটা তো সকলের চাওয়া, একটি রূপরেখার মধ্য দিয়ে যৌথ ঘোষণা দেওয়া। শুরু থেকেই বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে যৌথ ঘোষণা নিয়ে কাজ হচ্ছে। বিএনপির ১০ দফা, ২৭ দফা এবং গণতন্ত্র মঞ্চের ১৪ দফা রয়েছে।’

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘যৌথ আলোচনা চলছে। আমরা সবকিছুতে একমত। এখন কীভাবে করবো সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে।’ বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক নেতা জানান, আজকের বৈঠকে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বিএনপির বিদ্যমান যে লিয়াঁজো কমিটি রয়েছে, সেখানে সমন্বয়ক হিসেবে স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর অসুস্থতাজনিত অনুপস্থিতিতে আরেক সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে অংশ নেওয়া ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘আজকের বৈঠক খুব সংক্ষিপ্ত ছিল। শুধু অল্প কথাবার্তা হয়েছে। আশা করি, আমরা ঈদের পর যৌথ রূপরেখার ঘোষণা দিতে পারবো।’

Leave a Reply

Your email address will not be published.