প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেক্স ॥ ইরান, রাশিয়া, সিরিয়া এবং তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং গোয়েন্দা প্রধানরা মস্কোতে আলোচনা করেছেন। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় সিরীয় যুদ্ধের পর সিরিয়া ও তুরস্কের শত্রুতার অবসান ঘটিয়ে সম্পর্ক পুনর্গঠনের একটি প্রচেষ্টা। আঙ্কারা ও মস্কো বলেছে, গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য তুরস্ক। সিরিয়ার ১২ বছরের গৃহযুদ্ধে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরোধীদের সমর্থন দিয়েছে। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে। গৃহযুদ্ধে আসাদের সবচেয়ে কট্টর মিত্র রাশিয়া। আঙ্কারা ও দামেস্কর বিরোধ মিটিয়ে ফেলার জন্য উৎসাহিত করছে মস্কো। তবে তবে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের শর্ত হিসেবে সিরীয় ভূখন্ড থেকে তুর্কি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে দামেস্ক।
তুর্কি ও রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আলোচনায় মন্ত্রী এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা সিরিয়ায় নিরাপত্তা জোরদার এবং আঙ্কারা ও দামেস্কের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চারটি দেশ সিরিয়ার আঞ্চলিক অখন্ডতা রক্ষার জন্য তাদের ইচ্ছা এবং সিরিয়ার শরণার্থীদের তাদের দেশে দ্রুত প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রচেষ্টা জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার কথা পুনরায় তুলে ধরেছে।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আলোচনায় সিরিয়া থেকে তুর্কি সেনা প্রত্যাহারের পাশাপাশি কৌশলগত এম ৪ মহাসড়ক চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সিরিয়ার বাণিজ্য পুনরুদ্ধারের পথ প্রশস্ত করবে।
সিরিয়া ও তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা এর আগে ডিসেম্বরে মস্কোতে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সেটিই ছিল দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠক।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত সপ্তাহে বলেছিলেন, গত বছর ডিসেম্বরের আলোচনার আলোকে চারটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি বৈঠক মে মাসের শুরুতে হতে পারে। তবে তিনি পরে বলেছিলেন, সংশ্লিষ্ট দেশগুলো তারিখের বিষয়ে একমত হতে পারেনি। তাই এটি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
সিরিয়ার কর্মকর্তারা বারবার বলেছেন, দামেস্ক এবং আঙ্কারার মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে যেকোনও পদক্ষেপ শুরু হতে পারে কেবল বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিমে অবস্থানরত হাজার হাজার সেনা প্রত্যাহারে তুরস্ক রাজি হলে।তুরস্কের ব্যাপক সামরিক উপস্থিতি রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযানে সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শেষ অঞ্চলগুলো আসাদ সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।