প্রশান্তি ডেক্স ॥ ভোটে না আসাকে বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি তো কখনও বলেনি বর্তমান ইসির প্রতি আস্থা নেই। এ পর্যন্ত ভালো কাজ করে যাচ্ছি এবং আগামীতেও ভালো কাজ করবো। আমাদের আহ্বান সবসময় থাকবে, আপনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন, আমাদের পরীক্ষা নিন।
গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন এই নির্বাচন কমিশনার।
বিএনপির নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেন, আমাদের বলেনি যে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা থাকায় আমরা নির্বাচনে অংশ নেবো না। এটা রাজনৈতিক কৌশল থাকতে পারে। বড় দলগুলো তো আসছে। বিএনপি আসেনি এটা তো তাদের রাজনৈতিক কৌশল। এটা তো আমাদের ব্যর্থতা না। তারা কি বলেছে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ নির্বাচন করেছে, এজন্য আসবো না?
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ভালো কাজ করে যাচ্ছি এবং আগামীতেও ভালো কাজ করবো। আমাদের আহ্বান সবসময় থাকবে আপনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন, আমাদের পরীক্ষা নিন। আপনারা তো আমাদের পরীক্ষাই নিচ্ছেন না। পরীক্ষা না নিয়েই আমরা অকৃতকার্য হলাম কীভাবে আপনারা বুঝলেন। আমরা পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত সবসময়।
প্রচার শুরু হলেই আচরণবিধি প্রতিপালনে কঠোর হবে ইসি : সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন ব্যক্তির প্রচারণার বিষয়ে কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, বার্তা হলো যারা দোয়া চেয়েছেন তারা অনেকেই প্রার্থীই না। কীসের দোয়া চেয়েছেন সেটা তো লেখা নেই। যারা নমিনেশন নেবেন এবং জমা দেবেন তারপর বোঝা যাবে।
তিনি জানান, প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হয়। সেদিন থেকে অফিসিয়ালি আচরণবিধি না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার আগে এখন যেটা করছে আমাদের কর্মকর্তারা সেটা অনেকটা মোটিভেশনাল। আমাদের আইনে আছে যে শোডাউন করা যাবে না। কিন্তু আমাদের কালচারটা হলো শোডাউনের। একটা কালচার তো একদিনে পরিবর্তন হয় না। শোডাউন করলে প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে। এমনও হতে পারে যে শোডাউনের বিষয়টি যদি কোনও প্রচারমাধ্যমে আসে নির্বাচন কমিশনের তো একটা ক্ষমতা আছে।
এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীদের সঙ্গে মিটিং হবে। এবার আমরা যেটা চিন্তা করছি, প্রতীক বরাদ্দের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিটিং করে ফেলবো, যাতে প্রার্থীরা আচরণ ভঙ্গ করতে না পারেন।