নির্বাচন এবং বিদেশ সফর দুইটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। তবে এই ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্যতার ধারাবাহিকতায় এর মিল রয়েছে এবং সম্পর্কন্নোয়নের যোগসূত্র রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর পরে দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু হিসেবে নিজেকে সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন। এখন তাঁর নিজের সঙ্গেই নিজের তুলনা বা প্রতিদ্বন্ধীতা। বাংলাদেশের জন্য যা যা করার দরকার তার সবই তিনি করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি অতুলনীয় এবং সর্বমহলে একজন গ্রহণযোগ্য সম্মানীয়। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশের গন্ডিতে তার এই বিরল সম্মানে আমরা আভিভুত। বাঙ্গালী এখন সবখানেই মাথা উঁচু করে গর্ব করার অবস্থানে। বাংলা ও বাঙ্গালীকে সবাই এখন চিনে ও জানে আর গভেষনা করে নিজেদে পথ ও মথ ঠিক করে।
আসন্ন বিদেশ সফর সম্পূর্ণ দেশের কল্যাণের তরে এবং এই সফর সফল। দেশের প্রয়োজনে এবং জনগণের কল্যাণে অনেক অর্জন এই সফরে। তবে দলের ও সরকারেরও কল্যাণ সাধিত হয়েছে। সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে শতভাগ সফল হয়ে দলীয় এবং সরকার এর গ্রহণযোগ্যতায়ও শতভাগ সফল হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। বিদেশীদের বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা এবং ইদুর বিড়ালের ন্যায় রাজনীতির আন্তর্জাতিক খেলার সফল সমান্তি টানতে সক্ষম হয়েছেন। সকলকে পূর্বের ন্যায় এবারও বুঝাতে সক্ষম হয়েছেন বাংলাদেশ এবং এদেশের জনগণ একমাত্র শেখ হাসিনার কাছেই নিরাপদ। বৈশ্বিক বাণিজ্য এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রেও শেখ হাসিনাই শ্রেষ্ট এবং বিশ্বাসযোগ্য আর সর্বময় গ্রহণযোগ্য।
দীর্ঘদিনের পরিক্ষীত বন্ধুদের সঙ্গে ঘরের শত্রু ভিবিশনদের দ্বারা আর নব্য মীর জাফরদের প্ররোচনায় ভঙ্গুর সম্পর্ক পুনরুদ্ধার এমনকি আরো গভীরতম করণের যাবতীয় কার্য সম্পাদন করে নতুন দিগন্তের চুক্তি সম্পাদিত করেছেন। দুই দেশের পারস্পারিক সম্পর্কে অনন্য এক উচ্চতায় রূপদান করেছেন। জাপান, আমেরীকা, ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের সকল দেশই এখন শেখ হাসিনার বাংলাদেশময়। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে যে মাতলামীর মাতাল হাওয়া বইয়ে বেড়াচ্ছিল তা অবসান করে মিনিসোটার সেই বরফাচ্ছিদ স্তুপে স্তুপাকৃত করে রেখেছেন। আগামী নির্বাচনী এখন বাংলা ও বাঙ্গালীর ভাবনা বা সময়ের ফ্রেমে একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। এই আনুষ্ঠানিকতায় শতভাগ বিশ্বাস এবং গ্রহণযোগ্যতার সুউচ্চ পাহাড় স্থাপিত হয়েছে। হারানো আস্থা আবার ফিরে পেয়েছে, পুনরুদ্ধার করণে শতভাগ সফল হয়েছে। তিনি পেরেছেন এবং করে দেখিয়েছেন।
আগামী দিনের বাংলাদেশে সৎ এবং পরোপকারী মানুষের প্রয়োজন। আর এই প্রয়োজনকে বাস্তবে রূপদান করে স্মার্ট বাংলাদেশ উপহার দিবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী মানবতার মা বঙ্গতনয়া শেখ হাসিনা। আমার আকুল আবেদন দলে এবং সরকারে ও প্রশাসনে এখন যারা সৎ হয়ে উঠেনি এবং পরোপকারী মনোভাবের বিকাশে বিকাশমান হয়নি তাদের অবসরে পাঠিয়ে নতুনদেরকে স্থান দিয়ে সততা এবং পরোপকারী মনোভাবের বহি:প্রকাশে জাগ্রত বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশে রূপ লাভ করুক। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা দৃশ্যমান থেকে ডিজিটাল হয়েছে এবং এখন স্মার্ট হতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই এই প্রস্তুতিতে পুত ও পবিত্র অবস্থান বজায় থাকুক সর্বক্ষেত্রে। শেখ হাসিনা শতভাগ পুত ও পবিত্র এবং তার সততা, আন্তরিকতা, দুরদর্শীতা সময়োপযোগী পদক্ষেপ এবং তা বাস্তবায়নে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি, সকলের কল্যাণে সমানভাবে কার্য সম্পাদনসহ যাবতীয় গুনাবলী ছড়িয়ে পড়ুক বাংলার সকল স্থানে। দলে, সরকারে, প্রশাসনে, অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, গীর্জায়, ফ্যাক্টরিসহ সকল ক্ষেত্রে। খোদায়ী স্বভাব ও মূলবোধ জাগ্রত হউক এই একই কর্মকান্ডে। খোদার ভিত্তিমূল এখন সুপ্রতিষ্ঠিত হউক বাংলা ও বাঙ্গালীর মননে। এই কামনাপ্রসুত সুদীর্ঘ মোনাজাত মহান রবের নিকট।