ক্রেতারা দিশেহারা, নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী, কাঁচা বাজারে ফেরেনি স্বস্তি

প্রশান্তি ডেক্স ॥ সবজির বাজারসহ মাছ-মাংস ও মুদি দোকানের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম এখনও ঊর্ধ্বমুখী। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে হাঁসফাঁস বেড়েছে। কাঁচাবাজার যেন সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে আর আসছেই না। গত সপ্তাহের তুলনায় বেশ কিছু সবজির দাম বেড়েছে।

গত শুক্রবার (৫ মে) মিরপুর-১ নম্বরের কাঁচাবাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মাছ-মাংস-সবজিসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়তি থাকায় কেনাকাটায় হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা।

চাকরিজীবী শাহেদ সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে আসেন। তিনি বলেন, বাজারে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেশি। সাধারণ মানুষের চলা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঢেঁড়স আশি টাকা কেজিতে কিনলাম।

নাসির হোসেন বলেন, আজকে অনেক বাজার করতে হয়েছে। দাম সবকিছুর বেশিই মনে হয়েছে। প্রতিটি জিনিসের দাম পাইকারি বাজার থেকে ২০-৩০ টাকা বেশি মনে হয়েছে। বাজারে বেগুন ৭০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, করল্লা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, গাজর ৭০-১২০ টাকা,  টমেটো ৪০-৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকা,  চাল কুমড়া ৬০ টাকা,  ঢেঁড়স ৬০-৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা,  ধুন্দল ৮০ টাকা, সজনে ১৬০ টাকা, লাউ ৭০-৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা, ধনেপাতা ৩০০ টাকা,  আলু ৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকা, আদা ২৬০-২৮০ টাকা ও  রসুন ১৬০-১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসময় আদা-রসুনের বিক্রেতা রফিকুল বলেন, এখন সকালে এক রকম দাম, বিকালে আরেক রকম। আদার দাম বাড়ছে, আরও বাড়বো।

এছাড়া মুদি দোকান ঘুরে জানা যায়, মুসরের ডাল ১৩০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, খেসারি ডাল ৮৫ টাকা, বুটের ডাল ৯০ টাকা, ছোলা ৮৫ টাকা, চিনি ১৩০ টাকা, খোলা আটা ৫৭ টাকা, খোলা ময়দা ৬৩ টাকা, সয়াবিন তেল ১৮৫ টাকা ও খোলা সরিষার তেল ২৫০ টাকা লিটার।

নবাবী এন্টারপ্রাইজের বিক্রেতা বলেন, সয়াবিন তেল আমরা আগের দামেই বিক্রি করছি। আগের স্টক আছে। শেষ হলে নতুন দামে বিক্রি করবো। বাজারে ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ ১৩০০ টাকা এবং এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রুই মাছ ৩৫০-৪০০, কাতল ৬০০, বেলে মাছ ১০০০-১১০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৫০০, চিংড়ি ৮০০-১২০০ টাকা,  কৈ মাছ ৩০০ টাকা, শিং মাছ ৫০০ টাকা, কালিবাউশ ৪০০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছ কিনতে আসা নজরুল বলেন, আমার কাছে সব মাছের দামই একটু বেশি মনে হয়েছে। আমি আজকে ছোট আকারের চিংড়ি মাছ কিনেছি ৮০০ টাকা কেজি দরে। বিক্রেতা বলেছে এটা নাকি নদীর মাছ।

মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২২০-২৩০ টাকা, কক মুরগি ৩৩০-৩৪০ টাকা, দেশি মুরগি ৭০০ টাকা, গরুর মাংস ৭৮০ টাকা ও খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.