প্রশান্তি ডেক্স ॥ আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, ‘জাহাঙ্গীর আলম (গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র) বিরাট পাপ করার পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সাধারণ ক্ষমা করেছেন। ক্ষমা পেয়ে আবেদনে উল্লেখ করেছিলেন, বাকি জীবনে আওয়ামী লীগের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কোনও কাজ করবেন না। সেটির ব্যত্যয় ঘটিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। ফের দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙ্গে বিরাট অপরাধ করা জাহাঙ্গীর আলমকে শাস্তি পেতেই হবে।’
গত বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাতে গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়নের আমতলী ছুটি রিসোর্টে গাজীপুর মেট্রো সদর থানা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ কর্মিসভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা আজম বলেন, ‘জাহাঙ্গীর শুধু প্রার্থী হলেও ৯ তারিখ পর্যন্ত তাকে মাফ করতাম। ভাবতাম, তিনি প্রার্থী হয়েছেন, পরে প্রত্যাহার করবেন। কিন্তু তিনি মিডিয়ায় যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা শুধু দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেননি, বিরাট অপরাধ করে ফেলেছেন। এই অপরাধের শাস্তি তাকে অবশ্যই পেতে হবে। গত পরশু আমরা মিটিং করে গাজীপুর ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই একমত, নেত্রী দেশে এলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে অথবা প্রধানমন্ত্রী জানাবেন, তিনি কখন কী করবেন।’
আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের দলের মনোনীত প্রার্থী যেমন স্বচ্ছ, তেমনি তার সাংগঠনিক কাঠামোও শক্তিশালী। আমরা নজরদারিতে রাখবো। যেসব কাউন্সিলর শুধু নিজেদের ভোট চাইবে, নৌকার ভোট চাইবে না, তারা ওয়ার্ড, থানা, মহানগর কোথাও পদ পাবে না।’
এই কর্মিসভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি নির্বাচনে নৌকার মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাহ খান।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে গাজীপুরের মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে গাজীপুরের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম। তবে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজের অভিযোগে ২০২১ সালে তাকে মেয়রের পদ ও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কার সাময়িক হলেও এরপর আর মেয়রের পদে ও দলে ফেরানো হয়নি তাকে। এবারের সিটি নির্বাচনেও দলের মনোনয়ন চান তিনি। তবে দল আজমত উল্লাহকে নৌকা প্রতীক দেয়। আর জাহাঙ্গীর দলের বিরুদ্ধে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন। তবে নির্বাচন কমিশনের বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। টেকেনি আপিলেও। প্রার্থিতা ফিরে পেতে হলে এবার জাহাঙ্গীরকে যেতে হবে হাইকোর্টে।