প্রশান্তি ডেক্স ॥ নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ক্ষমতাসীন দল ততই নির্বাচমুখী হয়ে স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এমপি, মন্ত্রী সকলেই এখন স্ব স্ব এলাকার জনগণের সঙ্গে মিলে মিশে একাকার হচ্ছে। ভোট এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা পাকাপোক্তকরণে একসঙ্গে কাজ করার দৃষ্টান্ত স্থাপনে ব্যস্ত। জনতার এমপি, মন্ত্রী এবং সরকার ও দল জনতার সঙ্গেই কোলাহলে মত্ত। তবে এখনও যেসকল উন্নয়ন বা প্রয়োজন রয়ে গেছে সেইসকল উন্নয়ন ও প্রয়োজনের যোগান দিতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে এমনকি প্রতিশ্রুতি দিয়ে দ্রুত বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছে। জনগণ বিশ্বাস করে আশ্ব্যস্ত হচ্ছে এবং আগামি দিনে এমপি, মন্ত্রী ও সরকারকে পুনরায় নির্বাচিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাঠে কাজ করার দৃশ্যমান বাস্তবতা বজায় রাখছে। এই সরকার বার বার দরকার আর এই শ্লোগান এখন আপামর জনতার।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে দল ও প্রশাসন এবং সরকার ও জনগণ এখন একট্টা।
ভোটের মাঠ, রাজনীতির মাঠ আর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মাঠ সবই এখন সরকার দলীয় বা শেখ হাসিনার দখলে। তাই এই নির্বাচনী ক্রান্তিকাল অতিক্রান্তে আওয়ামী লীগ বা বর্তমান সরকার শতভাগ সফল ও পারদর্শী। দেশী ও বিদেশী মুখ ও চোখ সবই নিজেদের করে নিয়ে আগামী নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করে শতভাগ সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। বর্তমানের জাপান, আমেরীকা এবং ইংল্যান্ড সফর সতভাগ সফল করে ফিরছেন দলের এবং দেশের কান্ডারী শেখ হাসিনা। আর তাঁর অবর্তমানে দলীয় নেতা কর্মীরা তাঁর আদেশের শতভাগ সফলতা অর্জন করে দেশী ও বিদেশী সফলতার যোগফল একত্রে উপভোগ করতে আগামীর দিকনির্দেশনা দিচ্ছে। স্বস্তির নি:শ্বাস নিয়ে স্ব স্ব কাজে গভীরভাবে মনোনিবেশ করছে।
অপরদিকে বিএনপি এখন ঘর গোছানো, জোট গোছানো, আর বিদেশী মহলে নালিশ এবং দেশী মহলের সাশিলে মগ্ন। নির্বাচন এবং আগামীর উন্নয়ন ভাবনা এমনকি চলমান উন্নয়নকে আরো গতিশীল করার পরিকল্পনা কোনটাতেই নেই। শুধু হতাশ ও দু:খ এমনকি চোরের মায়ের বড় গলায় আওয়াজ দিচ্ছে। গায়ে মানে না আপনি মোড়ল ভাব প্রদর্শন করছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলাতে পারছে না এমনকি যুগের চাহিদা পুরণে সময়ের দাবি মিটাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। দিক-বিদিক ছোটাছুটি, লক্ষহীন পদযাত্রা আর পুরানোকে ঘষামাজা করা ছাড়া যেন তাদের আর কোন কাজ নেই। এই সকলেই নিমজ্জ্বিত হয়ে হাতছাড়া করছে আগামীর নির্বাচন, গনতন্ত্র, পার্লামেন্ট এমনকি নিজেদের দলের প্রাণ ফিরে পাওয়া এমনকি অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সকল ব্যবস্থা। ঠিক এই সময়ে বিধাতাও তাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে।
তবে এহেন অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় বিএনপিতে এখন জ্ঞানের চর্চার অভাব, জ্ঞানী ও গুনীজনের অভাব। এই অভাবের মধ্যে সবাই নিজেদেরকে জ্ঞানী ও গুণী ভেবে তাদের স্বউদ্ভাবিত জ্ঞানের চর্চা করে যাচ্ছে। যা তাদেরকে সর্বনাশের তলানির দিকে নিচ্ছে। দল হিসেবে বিপর্যয় ঢেকে আনছে কিন্তু ব্যক্তি স্বাথ্য ও লাভের খাতায় উন্নতির সোপান রচিত করছে। অন্যের পরামর্শ দিক নির্দেশনা শুনার সময় এখন তাদের নেই। জ্ঞান এবং জ্ঞানীর সম্বনয়ে উদ্ভাসিত সকল কিছুরই প্রতিবদ্ধকতা সৃষ্টিই যেন একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। তাই আমার পরামর্শ হলো এইভাবে চলতে থাকলে দলটি বিলিন হওয়ার উপক্রম হবে এবং অচীরেই বিলিন হয়ে নতুন অন্য কেউ বিএনপির আসনটি দখলে নিবে। বিএনপির দরকার চেতনা ফিরে পাওয়া এবং নতুন ও নতুনত্ব আনয়ন করে নির্বাচনমুখী হওয়া। আওয়ামীলীগ যা করেছে এবং আর যা করতে পারেনি তারই সবই করার দৃঢ়তা এমনকি যোগুপযোগী পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন চর্চায় অগ্রসর হতে হবে এবং সেই সাথে জনবিরোধ থেকে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় উপলব্দি করে সামনে এগুতে হবে। যদি যুগের চাহিদা ও সময়ের দাবি মিটিয়ে অগ্রসর হয় তাহলে হয়তোবা আগামীতে জনসেবার সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। বিএনপির জায়গাটি দখলে জাতিয় পাটি অগ্রগামী এবং সেই সাথে আরো অনেক দলই পাল্লা দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। তবে এই ক্ষেত্রে হেফাজতে ইসলাম যদি মাঠে নামে তাহলে সহজেই বিএনপির বিকল্প হিসেবে নিজেদেরকে দাঁড় করাতে পারবেন। জামাত এবং ইসলাম প্রীয় মানুষজন হেফাজতের ছায়াতলে এসে আগামীর কল্যাণে নিজেদেরকে বিএনপির বিকল্প হিসেবে দাঁড় করাবে। এইটা না হওয়ায় শ্রেয় তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এইটাই হতে চলেছে। আল্লাহ সকলকে হেফাজত করুন এবং দেশের মানুষের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণদের মানব সেবায় নিয়োজিত রাখুন।