প্রশাান্তি ডেক্স ॥ অনেক দিন পর রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। গত শুক্রবার (৫ মে) ভোর ৬টা৫৬মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে কোথাও কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ২। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ৩৫ কিলোমিটার। তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩।
আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা বলেন, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার দোহারে। ভূমিকম্পের গভীরতা কম থাকার কারণে ঝাঁকুনি বেশি হয়েছে। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩। আবহাওয়া সেন্টারের দক্ষিণ পূর্ব দক্ষিণ দিকে এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। ভূমিকম্পের ক্যাটাগরিতে এটি হালকা ধরনের ভূমিকম্প।
তিনি আরও বলেন, রাজধানী ঢাকার বাসিন্দারা এই ভূমিকম্প একটু বেশি অনুভব করেছে। অনেকে আতঙ্কে বাসা থেকে নিচেও নেমে গিয়েছিল। তবে এই ভুমিকম্প সকালে হওয়ায় ঢাকান মানুষ বুঝে উঠতে পারেনি। তবে কেউ কেউ সকালে ঘুম থেকে ওঠার কারণে ঐ কম্পন অনুভব করেন। তবে স্থায়ীত্ব খুবই অল্প সময় এবং দুইটি বা তিনটি ঝাকুনি দিয়েই খান্ত হয়েছে এই ভুমিকম্প। তবে কেউ কেউ চেতনা পেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে এসে রাস্তায় দাড়িছে। এক ভদ্রলোকে আমাকে জিজ্ঞাসা করে বলে ভুমিকম্প টের পেয়েছেন; বললাম হ্যা তবে আবার আসবে ভেবে বাসার বাইরে অপেক্ষা করছি। আমি বললাম কিছুই হবে না বাসায় যান।
এই ভুমিকম্প মানুষের ঘুম ভাঙ্গতে পারেনি এমনকি জনমনে আতঙ্কও সৃষ্টি করতে পারে নি। তাই ক্ষয়-ক্ষতি বা অশনি সংকেত অথবা ভয়ের কোন কারন নেই বরং মাঝে মধ্যে এইরকম সংকেত দিয়ে জনমানুষকে সৃষ্টিকর্তা মুখী করা ভালো।