ভজন শংকর আচার্য্য কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ১৩ বছরের কিশোরী ভাতিজিকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে আপন খালুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই কিশোরী গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খালু জুয়েল মিয়া (২৫) ও খালা রুমি আক্তারকে আসামী করে কসবা থানায় মামলা দায়ের করলে বৃহস্পতিবার রাতেই ধর্ষক জুয়েল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জুয়েল মিয়া উপজেলার চারুয়া গ্রামের নুর জামালের ছেলে গত শুক্রবার ( ১২ মে ) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত জুয়েল মিয়াকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ এবং ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের চারুয়া গ্রামে নানার বাড়ী থেকে পড়াশুনা করতো। ধর্ষক খালু জুয়েল মিয়া কিশোরীর খালাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বাস করেন । গত দুই মাস আগে একদিন কিশোরী খালার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো। এই সুযোগে খালু জুয়েল মিয়া একা পেয়ে কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ঘরে থাকা বটি দা দিয়ে প্রানে মারার ভয় দেখায় খালু। এরপর থেকে প্রতিদিনই সুযোগ বুঝে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করতো খালু। ভয়ে কিশোরীও এই নির্যাতনের বিষয়টি কাউকে জানায়নি।
বিষয়টি একসময় তার খালা রুমি আক্তারকে জানালেও কোনো প্রতিকার পায়নি কিশোরী। লম্বট খালুর অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে গেলে বিষয়টি নানার বাড়ির প্রতিবেশী এক মহিলাকে জানায় । ওই প্রতিবেশী বিষয়টি ফোনে কিশোরীর মাকে জানায়। খবর পেয়ে কিশোরীর মা এসে মেয়েকে ধর্ষণের বিষয়টি জানতে চাইলে উল্টো খালু-খালা উত্তেজিত হয়ে আশ্রাব্য গালাগাল সহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খালু-খালাকে আসামী করে কসবা থানায় মামলা দায়ের করলে রাতেই পুলিশ ধর্ষক খালু জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে। কসবা থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আবদুল বাছেত সরকার জানান, ভয়ভীতি দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।