স্যাংশন

এই শব্দটি ইংরেজি এবং বাংলায় বহুল প্রচলিত এবং পুরাতন। তবে নতুনভাবে আভির্ভূত হলো বর্তমান সময়ের স্রোতে বা প্রেক্ষপটে।  তবে এই শব্দটি দ্বারা বাংলার আপামর জনগণের উপকার বা অপকার কোনটিই হবে বলে আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়। তবে কেউ কেউ এই স্যাশন শুনে ও দেখে মহাখুশি এমনকি লাফাচ্ছেন যা দেখে বলা যায় কম পানির মাছ বেশী পানিতে পড়তে যা হয়। স্যাংশন এর আগেও এসেছে এবং এখনও আছে তবে এতে বাংলা ও বাঙ্গালীর কি ক্ষতি হয়েছে? না হয়নি তবে শুনতে একটু বেমানান লেগেছে। তবে কিছু মানুষের মনে এই স্যাংশনের ভীতি বা আকুতি রয়েছে। সর্বসাধারণের কোন ভিতি বা আকুতি বা আতংক নেই। একটি দেশে কত প্রকার স্যাংশন দিতে পারে আর আরেকটি দেশ এই স্যাংশন নিয়ে কত প্রকার মুখরোচক কথা এমনকি এর প্রতিবাদে প্রতিস্যাংশন আরোপের মৌখিক বুলি ও বাণি উচ্চারিত করে দৃশ্যমান রাখা। এই হচ্ছে স্যাংশন বা নিষেধাজ্ঞা।

তবে এই স্যাংশন যদি হয় সকল দলের নির্বাচনমুখী হওয়র কৌশল বা প্রবণতা বাড়ানোর একটি মাধ্যম তাহলে মন্দ হয় না। নিবিঘ্নে নির্বাচন করার পথে সকল বাধা অপসারণের একটি ব্যবস্থার দ্বারান্মোচ্চন মাত্র। তবে এই স্যাংশন আবার কোন দলের পক্ষে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার কৌশলী সহযোগীতাও হতে পারে। তবে সবই সময়ই বলে দেবে। আপাত দৃষ্টিতে এই স্যাংশন নিয়ে কোন ইতি বা নেতিবাচক কথা বলার সময় হয়নি বা আসেনি। তারপরও আমাদের মিডিয়ায় এই স্যাংশন শব্দটি এখন সর্বাঙ্গে বিরাজমান রয়েছে। আলোচনা ও সমালোচনা শব্দটি বহুল প্রসার লাভ করেছে এমনকি আগামী প্রজন্মের কাছে পরিচিতির হিরোতে পরিগণিত হচ্ছে।

এই স্যাংশনে সরকার ও বিরোধীদল এমনকি এই দেশের জনগণ কেউই লাভবান অথবা সম্মুক্ষিণ হবে না। যে দেশটি এই শব্দটি উচ্ছারণ ও প্রয়োগ এবং ব্যহারের জন্য ঘোষণা করেছেন তাদেরও কোন ক্ষতি বা উপকার হবে বলে মনে হয়না। এই শব্দটি আই ওয়াস বা সময়ের বাহাদুরিতে পরিণত হয়েছে মাত্র। এর বেশী কিছু নয়। বিশ্ব রাজনীতি ও আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতির মাঠে এই কৌশলটি অকেজো হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং হবে। আগামী দিনে এই কোনই মূল্য বা দৃষ্টান্ত কোনটিই থাকবে না বরং হাস্যরসের উপাদানে পরিগণিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।

তবে এই স্যাংশন নিজের সঙ্গে নিজের হওয়া উচিত। নৈতিকতার, ঈমান ও আমলের ক্ষেত্রে এই স্যাংশন প্রযোজ্য হওয়া উচিত। ঈমান, আমল ও নৈতিকতা বাইপাসে এই স্যাংশন টনিক হিসেবে কাজে লাগবে। বিশ্বব্রক্ষ্মান্ডে আজ যে নৈরাজ্য নরহত্যা এমনকি শয়তানের জয়ী স্বভাবের বিস্তার লার করছে তার বিরুদ্ধে এই স্যাংশন হওয়া উচিত। আর এতি একটি দেশের বা ব্যক্তির দ্বারা আরোপিত অথবা উচ্চারিত হওয়া উচিত নয় বরং সামগ্রীকভাবে সার্বজনীন ঐক্যবদ্ধতার ভিত্তিতে জারি হওয়া উচিতি। একে অপরের বিরুদ্ধে অথবা এক দেশ আরেক দেশের বিরুদ্ধে আরোপন করাও উচিত অথবা সমুচিন নয়।

আমাদের দেশের অফিস-আদালতে এমনকি কর্মক্ষেত্রের কর্মপরিধির মধ্যে এই স্যাংশনের ব্যবস্থা করা জরুরী। অন্যায়, ঘোষ, দূর্নীতি, ক্ষমতা প্রদর্শন, জুলুম এবং লোভ-লালসা চরিতার্থ্যে স্যাংশনের মত ব্যবস্থা আরোপে মনযোগী হওয়া উচিত। ভিসা অফিস, ট্যাক্স-ভ্যাট অফিস, নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিতরা এই স্যাংশন দ্বারা আক্রান্ত হওয়া উচিত। তাহলে হয়তো সকল ক্ষেত্রে স্বস্তি ফিরে আসবে এবং এই শব্দটি দ্বারা জাতি উপকৃত হবে। এই শব্দটির কার্যকর ব্যবহার আসন্ন হয়ে পড়েছে। এই সময়ে এই শব্দটিকে হেলায় দুর্বলে পরিণত করা উচিত নয়। বরং উপযুক্ত ব্যবহারে সার্বজনীন ব্যবহার করা উচিত। আসুন স্যাংশন খেলা বন্ধ করি এবং উপযুক্ত ব্যবহারে মনযোগী হই।

Leave a Reply

Your email address will not be published.