ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর প্রশংসায় ওয়াগনার প্রধান

প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেক্স ॥ ওয়াগনারের সশস্ত্র যোদ্ধারা অনেক শক্তিশালী হলেও, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীও পাল্টা ভয়ংকর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে ইউক্রেনীয়দের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রকৃত অর্থে প্রস্তুত নয় রুশ বাহিনী। রাশিয়ার মাটিতেও তা সম্ভব নয়- এমন মন্তব্য করেছেন রুশ ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন।

প্রিগোজিন গত মঙ্গলবার (২৩ মে) নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে রশপন্থি ব্লগার কনস্ট্যান্টিন ডলগভের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এখন আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বিচার করতে পারি। আমি জানি বিভিন্ন দেশে কীভাবে লড়াই হয়। আজ ওয়াগনার পিএমসি বিশ্বের অন্যতম সেনাবাহিনী। তবে এরপর আমাকে বলতে হবে এটি রাশিয়ার সেনাবাহিনীর হওয়া উচিত। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি ইউক্রেনীয়রা বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সেনাবাহিনী।’

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় বাখমুত শহর পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে, গত কয়েকদিন এমন দাবি করছে ওয়াগনারের প্রধান ও ক্রেমলিন। গত বৃহস্পতিবার তারা ফ্রন্ট লাইন ছেড়ে যায় এবং রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের হাতে বুঝিয়ে দেয়। যদিও কিয়েভ দাবি করে আসছে, বাখমুতে এখনও সংঘর্ষ চলছে। শহরের নিয়ন্ত্রণ হারায়নি ইউক্রেনীয় সেনারা।

বাখমুতে মূলত ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই করেছে ওয়াগনারের বাহিনী। তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়েছে মস্কো। ফলে ইউক্রেনীয় সেনাদের লড়াই সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে ওয়াগনার যোদ্ধাদের।

এ প্রসঙ্গে পিগ্রাজিন সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, ‘ইউক্রেনীয়রা খুবই সংগঠিত, প্রশিক্ষিত এবং তাদের বুদ্ধিমত্তা দারুণ। তারা যেকোনও সামরিক ব্যবস্থা সমান সাফল্যের সঙ্গে পরিচালনা করতে পারে। এটি হতে পারে সোভিযতে বা ন্যাটো।’

এদিকে রাশিয়ার সীমান্তÍবর্তী বেলগোরোদে চলমান সংঘর্ষ নিয়ে এক প্রশ্নে প্রিগোজিন বলেন, ‘রাশিয়ার স্বেচ্ছাসেবক কর্পস দল নির্লজ্জভাবে বেলগোরোদ অঞ্চলে প্রবেশ করছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী তাদের প্রতিরোধ করতে একেবারেই প্রস্তুত নয।’

গত সোমবার ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় বেলগোরোদ অঞ্চলে হামলা শুর হয়। অনুপ্রবেশকারীদের ইউক্রেনীয় বলে দাবি করেছে রাশিয়া। ওই দিনই তাদের সঙ্গে রুশ সেনা ও নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করছে নাশকতাকারী গোষ্ঠী পিছু হঠে আবার ইউক্রেনের  ভূকে ফিরে গেছে। নিয়মিত বুলেটিনে মন্ত্রণালয়টি বলছে, হামলাকারীদের মধ্যে প্রায় ৭০ জনকে হত্যা করা হয়েছে।

সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published.