বাআ ॥ বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’: মানবিক রাষ্ট্রবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রামের ফসল হিসেবে বিশ্বের বুকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় বাংলাদেশ। এরপর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং অভ্যন্তরীণভাবে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন তিনি। শুধু তাই নয়, বিশ্বজুড়ে নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বরে পরিণত হন তিনি। বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণা হিসেবে ইউরোপ-আফ্রিকাতেও জয়ধ্বনি হয় শেখ মুজিবের নামে। মেহনতি মানুষের বন্ধু, শান্তি ও মানবতার জন্য নিবেদিত প্রাণ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি ও সন্মাননা দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধুকে। ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত করা হয় তাকে। শান্তির পুরোধা ব্যক্তিত্ব হিসেবে বঙ্গবন্ধুর এই অর্জনই স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক সন্মাননা।
পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর মানবিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন বাজি রেখে উগ্রবাদী শক্তির সঙ্গে লড়াই করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। যেসব সামাজিক ও মানবিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তা বাস্তবায়ন করে চলেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একারণে জাতিসংঘ কর্তৃক বাংলাদেশকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার রোল মডেল, উন্নয়নের রোল মডেল প্রভৃতি স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। টেকসই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সন্ত্রাসমুক্ত মানবিক সমাজব্যবস্থা ও শোষণহীন অন্তভুর্ক্তিমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা অর্জনসহ বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষকে যে মানবিক মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন; সেসসব আজ বাস্তবে পরিণত করেছেন আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা।
ফলে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় বিশ্বজুড়ে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের যে বদনাম হয়েছিল, হতদরিদ্র ও দুর্নীতিগ্রস্থ রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ যেভাবে কালিমালিপ্ত হয়েছিল; গত দেড় দশকে জননেত্রী শেখ হাসিনার মানবিক ও টেকসই উন্নয়নমূলক কর্মযজ্ঞের কারণে সেই অন্ধকারাচ্ছন্নতার গ্রাস থেকে মুক্তি পেয়েছি বাঙালি জাতি। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে অভিহিত করা হয়। এমনকি মন্দা, বৈশ্বিক মহামারি ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলা করেও বাংলাদেশের যে উত্থান হয়েছে গত দেড় দশকে, তাতে ডিজিটাল যুগের অন্যতম উদীয়মান ও সম্ভাবনাময় রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বাংলাদেশ।
জুলিও কুরি শান্তি পদক কী এবং যেকারণে এই স্বীকৃতি পান বঙ্গবন্ধু: বিশ্ববরেণ্য যেসব ব্যক্তিত্ব ‘জুলিও ক্যুরি শান্তি পদক’ পেয়েছেন, তাদের মধ্য অন্যতম হলেন- আমেরিকার মার্টিন লুথার কিং, কিউবার ফিদেল ক্যাস্ত্রো, মিসরের গামাল আবদেল নাসের, চিলির সালভাদর আলিন্দে, চিলির পারলো নেরুদা, তুরস্কের নাজিম হিকমত, চেকোশ্লোভাকিয়ার জুলিয়াস ফুচিক, স্পেনের পাবলো পিকাসো, আমেরিকার পল রবসন, প্যালেস্টাইনের ইয়াসির আরাফাত, সোভিয়েত ইউনিয়নের লিওনিড ব্রেজনেভ, তাঞ্জানিয়ার জুলিয়াস নায়েরে প্রমুখ।
সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদ বিরোধিতা, মানবতার ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, শুধুই তাদের জন্য এই পদক চালু করা হয় ১৯৫০ সালে। বঙ্গবন্ধুকে এই পদক দেওয়ার ক্ষেত্রে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তার সারা জীবনের কর্মকে বিবেচনায় আনা হয়েছিল।
মূলত, ছাত্রজীবন থেকেই নিপীড়িত মানুষের ন্যায্য অধিকারের সংগ্রাম ও অসিংহ আন্দোলন- যুগপৎ দুটোতেই সক্রিয় ছিলেন তরুণ শেখ মুজিব। একারণে ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর, তার নেতৃত্বেই যখন বাংলা ভাষার আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে, তখনও অহিংস পন্থায় অধিকার আদায়ের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করেন তিনি। এজন্য দীর্ঘদিন কারাভোগ করতে হয় তাকে। এক পর্যায়ে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতার অহিংস মিছিল-সমাবেশে পাকিস্থানিদের গুলি চালানোর প্রতিবাদে জেলের মধ্যেই আমরণ অনশনে শুরু করেন তিনি। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে, গণআন্দোলনের ভয়ে তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় জান্তারা। সেবছরই তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে চীনের শান্তি সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।
এরপর ১৯৫৬ সালে সুইডেনে অনুষ্ঠিত বিশ্বশান্তি পরিষদের সম্মেলনে যোগ দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘বিশ্বশান্তি আমার জীবনের মূলনীতি। নিপীড়িত, নির্যাতিত, শোষিত ও স্বাধীনতাকামী সংগ্রামী মানুষ, যেকোনো স্থানেই হোক না কেন, তাঁদের সঙ্গে আমি রয়েছি। আমরা চাই বিশ্বের সর্বত্র শান্তি বজায় থাকুক, তাকে সুসংহত করা হোক।’
এদিকে দেশভাগের আগে, ১৯৪৬ সালে, কলকাতার দাঙ্গার সময়েও তিনি বাংলার শেষ মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর স্নেহধন্য ছাত্রনেতা হিসেবে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দিনরাত নিরলস কাজ করেন। ধর্মীয় দাঙ্গা প্রতিরোধে প্রচারণা চালিয়েছেন এবং দাঙ্গার সময়েও মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সবাইকে রক্ষার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। যখন মুসলিমরা আক্রান্ত হচ্ছিলো হিন্দুদের হাতে, তখন তিনি যেমন মুসলিমদের বাঁচাতে গিয়েছেন। তেমনি যখন হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছিলো মুসলিমদের হাতে, তখনও তিনি হিন্দুদের বাঁচাতে গেছেন।
১৯৪৬ সালের এই দাঙ্গার ভয়াবহ সহিংসতা বঙ্গবন্ধুকে তুমুলভাবে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির দিকে ধাবিত করেছে। তিনি তাই সবসময় বলতেন, ‘আগে আমি মানুষ, তারপর বাঙালি, তারপর মুসলমান।’ এই অসাম্প্রদায়িকতাকে ভিত্তি করেই পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম এবং স্বাধীনতা অর্জনের জন্য জাতিকে একতাবদ্ধ করে তোলেন।
বঙ্গবন্ধু সবসময় যুদ্ধ ও সহিংসতার বিপক্ষে ছিলেন। যার ফলে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মূলনীতির মধ্যেও তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়। এমনকি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে প্রথম তিন মাসের মধ্যেই প্রায় দুই কোটি স্থানচ্যুত মানুষের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন তিনি। ভারত থেকে ফিরিয়ে আনা এক কোটি শরণার্থী এবং অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত প্রায় আরো এক কোটি মানুষের বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সংস্কার ও নির্মাণ করে দেওয়ার উদ্যোগটি ছিল তার অন্যতম প্রাথমিক ও প্রধান লক্ষ্য। ঠিক একই আদর্শে তার কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় দশ লাখ গৃহহীন মানুষকে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে।
মানবতা ও বিশ্বশান্তি: বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা
বঙ্গবন্ধুর দেখানো শান্তির পথ ধরেই হেঁটে চলেছেন আওয়ামী লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একারণে স্বচ্ছ ও দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সাজা নিশ্চিত করেছেন তিনি। জাতির পিতার হত্যাকারীদেরও বিচারের আওতায় এনেছেন স্বাভাবিক বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত বঙ্গবন্ধুকন্যার সংযম ও ধীরস্থিরতার কারণেই আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছে বাংলাদেশ।
করোনা মহামারির মধ্যে ধর্মীয় উগ্রবাদীরা যখন গুজব ছড়িয়ে দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করেছিল, বিএনপি-জামায়াত চক্র মহামারির সুযোগে মানুষের লাশের ওপর ওপর দিয়ে অবৈধভাবে সরকার দখলের নীলনকশা করেছিল, তখনও ঠান্ডা মাথায় সব সহ্য করে গণমানুষের জন্য নিরলস কাজ করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
কারণ ভয়াবহ মহামারির ওই সময়ে শুধু দেশের মানুষের প্রাণ ও দেশের অর্থনীতি রক্ষার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন তিনি। এমনকি সরকারপ্রধান হয়েও নিজে প্রতিদিন টেলিভিশন এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে সচেতন করেছেন জনগণকে। বাস্তবে যার ফল পেয়েছে পুরো বাঙালি জাতি। একটি মানুষকে খাদ্যাভাবে মরতে হয়নি শেখ হাসিনার বহুমুখী সতর্কতামূলক ও সেবামূলক কর্মসূচির কারণে। শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার কারণেই করোনা মোকাবিলায় বিশ্বে দৃষ্টান্ত করেছে বীরের জাতি বাঙালি।
এছাড়াও বহুমুখী ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে খরস্রোতা পদ্মা নদীর ওপর দ্বি-তল সেতু নির্মাণের মতো দুঃসাহসী পদক্ষেপও নিয়েছেন তিনি। বছরের পর বছর ধরে নীলকণ্ঠ হয়ে সহ্য করেছেন বিভিন্ন অপপ্রচার। সরকারের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় থেকেও কুচক্রীদের কাউকে বিনাবিচারে শাস্তি দেওয়ার মতো কোনো পদক্ষেপও নেননি তিনি। উন্নয়ন ও গঠনমূলক কাজের মাধ্যমে সবকিছুর জবাব দিয়েছেন তিনি। নিজ দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিপদে-আপদে কৃষক-শ্রমিক ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে বাংলাদেশের সহিংস রাজনীতির মানবিকায়ন করেছেন তিনি।
এমনকি দেশের প্রতিটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য গ্রামভিত্তিক যে কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা চালু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাকে আজ বৈশ্বিক মডেল হিসেবে গ্রহণ করেছে জাতিসংঘ। সম্প্রতি বাংলাদেশের কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক একটি রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে জাতিসংঘে। ‘কমিউনিটিভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা অর্জনের লক্ষ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি’ শিরোনামের ঐতিহাসিক রেজুলেশনটি সরকারি- বেসরকারি অংশীদারিত্বে বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক মডেল প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবনী নেতৃত্বকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে।
বাংলাদেশ কর্তৃক প্রস্তাবিত রেজুলেশনটিতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল উদ্ভাবনী উদ্যোগের ব্যাপক স্বীকৃতি দিয়ে এ উদ্যোগকে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এই অর্জন জনগণের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্যসেবায় সাম্য আনয়নে বাংলাদেশের দৃঢ়প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। রেজুলেশনটির সফল বাস্তবায়ন কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সবসময় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সব ষড়যন্ত্রের জবাব দিয়েছেন ইতিবাচক কাজের মাধ্যমে। নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে, অথচ এটি এক সময় স্বপ্নেও ভাবেনি অনেকে। বঙ্গবন্ধুকন্যার উচ্চকণ্ঠ ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কারণেই এই পদ্মাসেতু আজ বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের সামর্থের প্রতীকে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে সৃষ্টি বাংলাদেশকে কোলেপিঠে করে আজ স্বাবলম্বী, মর্যাদাবান ও ডিজিটাল রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উগ্রবাদের কড়াল গ্রাস থেকে নিশ্চয়ই একদিন জাতিকে সম্পূর্ণ মুক্ত করে বাংলার আকাশজুড়ে শান্তির পায়রা ওড়াবে একণ নতুন প্রজন্ম। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলার মানুষের জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠার যে ভিত্তি দিয়ে গেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার হাত ধরে স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনের মাধ্যমে তা পূর্ণতা পাওয়ার পথেই এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।