প্রশান্তি ডেক্স ॥ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত এ বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ শতাংশ। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ঠিক করা হয়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, সরকারের প্রস্তাবিত এ বাজেটে মূল্যস্ফীতি ও প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে তা বাস্তবসম্মত নয়। শুধু তাই নয়, বাজেটের আকার বড় হলেও দেশের জিডিপির অনুপাতেও বাজেটের আকার অনেক ছোট।
গত বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট পেশ করার পর এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জ্জা আজিজ বলেন, প্রতি বছরই বাজেটের আকারের ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিশেষ করে, এডিপি বা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে যেসব প্রকল্প নির্ধারণ করা হয়, প্রথম ৭ থেকে ৮ মাসে এর ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আর শেষের দিকে তাড়াহুড়া করে ৮০ বা ৮০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হয়। এক্ষেত্রে কাজের মান ঠিক থাকে না, অনেক সময় কাজ না করেও ঠিকাদারদের বিল পরিশোধ করা হয়ে থাকে। তাই জনগণের কল্যাণে বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন, রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রেও আমাদের চরম ব্যর্থতা রয়েছে। তারপরও প্রতি বছরই রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হচ্ছে। এবারও রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে বাজেটে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা বাস্তবসম্মত নয়। এক্ষেত্রে বড় রকমের কাঠামোগত সংস্কার ছাড়া রাজস্ব আয় বাড়ানো সম্ভব নয়। এসব সমস্যা দূরীকরণে এবারের বাজেটে তেমন কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, বাজেটে যে বড় আকারের ঘাটতি তৈরি হচ্ছে, সেটা মেটাতে ব্যাংকের উপরই নির্ভর করছে সরকার। এক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে বেসরকারি খাতে বড় ধাক্কা আসবে। অর্থাৎ বেসরকারি খাত প্রয়োজনীয় ঋণ পাবে না। আর যদি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নেয় তাহলে মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়বে।
জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।