সহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে লোডশেডিং

প্রশান্তি ডেক্স ॥ বৃষ্টিতে চাহিদা কমায় লোডশেডিং কমেছে। ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেন্টার বলছে গত বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাত ৮টায় দেশের কোনও কোনও এলাকা লোডশেডিংয়ের আওতার বাইরে ছিল। এরমধ্যে ঢাকার দুই বিতরণ কোম্পানি কোনও লোডশেডিং করেনি। এছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকাতেও বিদ্যুৎ পরিস্থিতির আশাব্যঞ্জক উন্নতি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার পর্যন্ত অনেক এলাকাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক আছে।

বৃষ্টিতে ঢাকার তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। গত কয়েক দিন ধরে যা ছিল ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি। এছাড়া দেশের তাপমাত্রাও বৃষ্টির কারণে অন্তত ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি কমেছে। এতে বিদ্যুতের চাহিদা কমে গেছে। এর সঙ্গে সরকারের পদক্ষেপে বিদ্যুতের উৎপাদনও কিছুটা বেড়েছে।

ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেন্টার বলছে গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ঢাকায় ডেসকোর ১১৩০ মেগাওয়াট এবং ডিপিডিসির ১৫৬৪ মেগাওয়াট চাহিদার পুরোটাই সরবরাহ করা হয়েছে। ঢাকার আরইবি এলাকায় ২২৭৪ মেগাওয়াটের পুরোটাই সরবরাহ করা হয়েছে।

চট্টগ্রামে পিডিবির চাহিদা ছিল ১০৭৫ মেগাওয়াট এবং আরইবির চাহিদা ছিল ৪০৯ মেগাওয়াট। এনএলডিসি বলছে চাহিদার পুরোটাই সরবরাহ ছিল। কোথাও লোডশেডিং হয়নি।

লোডশেডিংয়ের বাইরে ছিল খুলনাও। ওয়েস্টজোন ৫৪৩ মেগাওয়াট এবং আরইবির ১৩৫১ মেগাওয়াট চাহিদার পুরোটা সরবরাহ করেছে।

বরিশালে লোডশেডিং ছিল মাত্র ২ মেগাওয়াট। বরিশালে ওয়েস্টজোনে ১৩১ চাহিদার পুরোটাই সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া আরইবির ৩৬৬ মেগাওয়াট চাহিদার মধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে ৩৬৪ মেগাওয়াট।

কুমিল্লায় পিডিবির ৩২৪ এবং আরইবির ১০৭৮ মেগাওয়াটের পুরোটা সরবরাহ করা হয়েছে।

ময়মনসিংহে পিডিবির ৬৬৭ মেগাওয়াটের মধ্যে ৪২৭ মেগাওয়াট সরবরাহ ছিল। লোডশেডিং হয়েছে ৪০ মেগাওয়াট। আরইবির ৯৯৪ মেগাওয়াটের স্থলে সরবরাহ হয়েছে ৭২১ মেগাওয়াট, লোডশেডিং ছিল ২৭৩ মেগাওয়াট।

সিলেটে পিডিবির ১৯৯ মেগাওয়াটের স্থলে সরবরাহ ছিল ১৯০ মেগাওয়াট। মাত্র ৯ মেগাওয়াট লোডশেডিং ছিল। অন্যদিকে আরইবির ১৩৫১ মেগাওয়াটের মধ্যে ১৩২৯ মেগাওয়াট সরবরাহ ছিল। লোডশেডিং ছিল ২২ মেগাওয়াট।

রাজশাহীতে নেসকোর ৪৮৫ মেগাওয়াট চাহিদার ৪৫৫ মেগাওয়াট সরবরাহ করা হয়েছে। মাত্র ৩০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে।

এছাড়া আরইবির ১১৭২ মেগাওয়াট চাহিদার মধ্যে ১০৪৫ মেগাওয়াট সরবরাহ করা হয়েছে। লোডশেডিং হয়েছে ১২৭ মেগাওয়াট।

রংপুরে নেসকোর ৩৫১ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ২৯৫ মেগাওয়াট সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া আরইবির ৭২৫ মেগাওয়াটের স্থলে ৫৫২ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়েছে। সারা দেশে গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ৭৭২ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়েছে। জানতে চাইলে পিডিবির মুখপাত্র মো. শামীম হাসান বলেন, তাপমাত্রা কমার সঙ্গে উৎপাদনও বেড়েছে। এতে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কোনও কোনও এলাকায় লোডশেডিং হচ্ছে না। সরকারের প্রচেষ্টা এবং বিদ্যুৎ বিভাগের সকল কর্মীদের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতের সমন্বয়েই বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়েছে এবং আগামীতে আরো নিশ্চিতভাবে এর সুফল জনগণ ভোগ করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.