প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেক্স ॥ আসন্ন সম্মেলনে ইউক্রেনকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে না পারলে ন্যাটো জোটের কয়েকটি মিত্র দেশ কিয়েভকে সহযোগিতায় যুদ্ধক্ষেত্রে সেনা পাঠাতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাটোর সাবেক মহাসচিব অ্যান্ডার্স রাসমুসেন। সেনা পাঠাতে আগ্রহী মিত্র দেশের উদাহরণ হিসেবে পোল্যান্ডের কথা বলেছেন তিনি। লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে আগামী ১১ জুলাই হবে ন্যাটো সম্মেলন।
বর্তমানে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আনুষ্ঠানিক উপদেষ্ঠা হিসেবে কর্মরত রাসমুসেন বলেন, জোটের কয়েকটি দেশ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারে। তারা সদস্যপদের বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইবে। তবে ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্য করার এজেন্ডা এড়িয়ে যেতে দেবে না বাকি দেশগুলো। তার মতে, শুধু নিরাপত্তা নিশ্চয়তাই যথেষ্ট নয়, সদস্য হিসেবে দ্রুত মনোনীত করতে হবে ইউক্রেনকে।
বর্তমান ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এমন কথা বলেন তিনি। এক বিবৃতিতে স্টলটেনবার্গ বলেছিলেন, সম্মেলনের এজেন্ডা হিসেবে ইউক্রেনের নিরাপত্তার বিষয়টি থাকবে। তবে, শুধু সদস্য দেশগুলোকেই পুরোপুরি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে বাধ্য জোটটি।
রাসমুসেন বলছেন, ন্যাটো যদি ইউক্রেনের জন্য স্পষ্ট কোনও ব্যবস্থা না নিতে পারে তাহলে স্বতন্ত্রভাবে জোটের মিত্ররা পদক্ষেপ নেওয়ার দৃঢ় সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে সেনা পাঠানোসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারে প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডসহ অন্যান্য মিত্ররা।
তিনি আরও বলছেন, এ ধরনের সামরিক সহায়তা চাওয়া ইউক্রেনের জন্য পুরোপুরি বৈধ হবে।
ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্য করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তার মতে, এমন কিছু করতে না পারলে শক্তিশালী কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা কিয়েভের জন্য নিশ্চিত করতে হবে।
এই সম্মেলনে ইউক্রেনকে জোট সদস্য করতে না পারলেও আগামী বছর ন্যাটোর ওয়াশিংটন সম্মেলনের মধ্যে কিয়েভকে সদস্য করা হবে, এমন ঘোষণা দিতে সামরিক জোটটিকে আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক ন্যাটো মহাসচিব। যুদ্ধচলাকালে ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হতে পারবে না, এমন যুক্তিকে মানতে রাজি নন রাসমুসেন।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান