মা ও মাটির সোধাগন্ধে দেশ মার্তৃকার তরে উত্তাল পৃথিবী। এই পৃথীবীর সোধাগন্ধে মোহনীয় না হয়ে উন্মাতাল তরঙ্গের ন্যায় দোল খাচ্ছে গোটা পৃথিবীর জনসমাজ এবং এর অধিনস্ত সকল কিছু। স্বর্গাদপী গরীয়সী ভুমিকায় কেউ নেই তবে কেউ কেউ এর আদলে নিজেদেরকে সাজিয়ে তুলেছেন। গোটা পৃথিবীই এখন অনিয়ন্ত্রীত এক যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। তবে এর নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষার মালিকগণ বা যাদেরকে সৃষ্টিকর্তা দায়িত্ব দিয়েছেন পরিচর্যা ও দেখাশুনা করার জন্য তারা তাদের নিজেদের এজেন্ডায় বা লোভে ও লাভে মত্ত রয়েছেন। সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায় ভুলে গিয়ে নিজেদের অভিপ্রায় বাস্তবায়নে মরিয়া প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শেষ সময়ের পুর্বালামত পরিচালনার জন্য যা যা প্রস্তুতি দরকার তার সবই সুসমাপ্তের পথে সুনিপূণভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন। জনগণ এবং প্রকৃতি ও এর অধিনস্তরা অসহায়ের ভুমিকা পালন করছেন। আরেক শ্রেণী রয়েছে যারা সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কিন্তু এই নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে মুখ খুলে সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায়ে এগিয়ে না গিয়ে নিশ্বুপ রয়েছেন অথবা না দেখা বা বুঝার ভান করছেন। যার জন্য পৃথিবীর আজকের অবস্থান। তবে সৃষ্টিকর্তা চায় সকলেই সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায় বুঝে সামনে অগ্রসর হউক এবং স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীর এই অবস্থার উত্তরণ ঘটাবেন এমনকি মানুষকে শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা দিয়ে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
দেশমার্তৃকার তরে কাজ করার জন্য সকলেই প্রস্তুত বা লোকমুখে চেচিয়ে গলাবাজি করছেন কিন্তু এই দেশমার্তৃকার তরে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখার প্রতিশ্রুতি বা প্রমান এখনও অবর্তমান অনুপস্থিত। সবাই আমরা দেশের তরে, দশের তরে এমনকি সার্বজনীন কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হব; কাজ করব এবং শেষদিন পর্যন্ত সেবার কাজ চালিয়ে যাব। তবে এর নমুনা কি? প্রমান কি? সবাইকে কি সমান অধিকার ও মর্যাদা এবং সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন? নাকি নিজেদে আখের গুছিয়ে স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করছেন? তা একটু ভেবে দেখুন? নিজে না দেখলেও জনগণ দেখে। তবে সুযোগ সন্ধানী অথবা লোভী এমনকি অর্থদিয়ে সাময়িক কেনারা কিন্তু কোনদিন বিপদে পাশে থাকে না বরং বিপদে আরো বিপদগ্রস্থ করে তোলে। যাই হোক অনেক দেখেছি ও শুনেচ্ছি জনকল্যাণের কথা বা বানী কিন্তু বাস্তবে এইসকল পরিপূর্ণতা কমই পেয়েছে। যার জন্য কথার ফুলঝুড়ি কম আওড়ান আর বাস্তবতার সঙ্গে কথা ও কাজের মিলবন্ধন সুদৃড় করুন। সাথে সাথে এও বলি উচু নীচু ভেদাভেদ ভোলার মত কাজ করে সমাজে ও পরিবারে এবং দেশে দৃষ্টান্তের গণজাগরণ সৃষ্টিকরুন।
সকলেই আমরা দেশের কল্যাণে মাটি ও মায়ের কল্যাণে কাজ করতে চাই তাহলে কেন এত ভেদাভেদ এবং মতপার্থক্য ও মতবিরোধ? কি কারণে এত সংঘাত? দেশী বিদেশী উপদেশক ও পরামর্শক কেন প্রয়োজন? আমরা নিজেরাইতো নিজেদের সমস্যা সমাধান করতে পারি। কারণ সমস্যাগুলোতে ব্যক্তিগত নয় বরং সমষ্টিগত বা দেশের কল্যাণের তরে। তাই দেশের কল্যাণের তরের সমস্যাকে কেন ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিয়ে নিজেরা মারামারিতে লিপ্ত বা হামলা ও মামলা এমনকি ধরপাকড়ে লিপ্ত থাকব? এর থেকে বের হওয়ার জন্য কেন নিজেরা অন্যদের কাছে নালিশ করে ক্ষুদ্র স্বার্থের আশায় বৃহৎ স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিব। একটু ভেবে দেখেনতো আমরা নিজেরা এইরকম সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে কি কি প্রয়োজন এবং কিভাবে সমাধান করে সার্বজনীন কল্যাণে সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে কাজ করতে পারব।
আমার মনে হয় এই সমস্যার অন্তরালে যদি ব্যক্তিস্বার্থ লুকিয়ে না থাকে তাহলে দেশের কল্যাণের তরে সকল স্বার্থকে সকলেই মিলেমিশে সফলতায় পর্যবসিত করতে একমত হতে কোন বাধা নেই। তবে ঐ একমত পোষণকারীরা দেশের সন্তান, দেশ, মাটি ও মা এর সঙ্গে সকলেরই নারীর সংযুক্তি তাই দলীয় সংকীর্ণতা এবং মতভেদ ভুলে গিয়ে দেশের তরে ঐক্যবদ্ধ হতে কোন বাধা নেই। তাই আসুন আমাদের আগামীর সমস্যা সমাধানে একযোগে কাজ করি। ব্যক্তিস্বার্থ্য চরিতার্থ্যে নয় বরং দেশের স্বার্থ্যে সংযুক্ত হই সার্বজনীন কল্যাণের তরে। ব্যক্তিস্বার্থে দেশের বারোটা বাজানোর সকল চক্রান্তের পায়তারা বন্ধ করুন। নতুবা দেশের জনগণ জেগে উঠে নিজেদের শেস অস্তিত্বটুকুই নি:শেষ করে দিবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ আর দেশ মার্তৃকার সেবার তরে নিজের সেবা না করে। তবে এই সকলের পিছনে একজন রয়েছেন; আর তিনি হলেন স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা; তিনি সবই দেখছেন এবং পরখ করে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আসুন আমরা সেই সৃষ্টিকর্তার সামনে যায় তাঁর কাছে প্রার্থন করি, যাচনা করি এবং সাহায্য চাই যেন তিনি তাঁর অভিপ্রায় অনুযায়ী আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে আগামীর কল্যাণের তরে নিশ্চিত গন্তব্যে এগিয়ে নিয়ে যান। আমি নিশ্চিত যদি আমরা সকলে মিলে সৃষ্টিকর্তার কাছে চাই এবং তাঁর সাহায্য নিয়ে এগিয়ে যায় তাহলে সকল অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করে আগামীর দৃষ্টান্ত হিসেবে নিজেদেরকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবো।
দেশ, মাটি ও মা এর অভিন্ন অর্থ এবং রূপক অর্থ উভয়ই একই উদ্দেশ্যে এবং একই লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে বলে ধরে নিয়ে আগামীর কল্যাণের তরে সকলেই যার যার অবস্থান থেকে কৃতকর্ম সম্পাদন করি। পরিবারের ছোট সদস্যটি থেকে শুরু করে একেবারে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন স্তরের ব্যক্তিটি পর্যন্ত একই লক্ষ্যে এগিয়ে যায়। তবে এই এগিয়ে যাওয়ার স্থায়ীন্ত অনন্তকাল এবং এর সফলতা শতভাগ এবং অনন্ত জীবন পর্যন্ত। প্রত্যেকের কাজ প্রত্যেকে সম্পাদন করব সৃষ্টিকর্তার গৌরব ও প্রশংসা এবং মহিমা ঘোষণার জন্য। এর বাইরে আর কোন ভাবনা নেই। সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে প্রত্যেকের প্রয়োজন যোগাবেন এবং একমাত্র তাঁরই কাছ থেকে প্রয়োজনের যোগান নিয়ে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখব। আগামীর কল্যাণের তরে সকলেই মিলেমিশে একযোগে এগিয়ে যাব। একা বা পছন্দনীয় লোকদের নিয়েই শুধু এগিয়ে যাব তা হবে না বরং সকলে মিলেমিশে এগিয়ে যাব। আসন্ন ঈদের ত্যাগ ও খুশিতে সকলের ঐক্যবদ্ধ আস্থা ও বিশ্বাসের ভীত মজবুত হউক। ঈদের আনন্দে ফিরে পাক জীবনের নির্মল আনন্দের ও নির্মোহ জীবনের স্বাধ। সকলেই মিলেমিশে দেশ, মাটি ও মা এর তিনের সমন্বয়ে একের কল্যানে নিয়োজিত হউন। সকল মতভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবন্ধ উন্নয়ন সাধনে মননিবেশ করুন। সকলকে ঈদ মোবারক।