প্রশান্তি ডেক্স ॥ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন বলেছেন, ‘এলপিজির যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এটা বিইআরসি করে দেয়নি। সব কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করেই এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তিমূল্যের ওপর নির্ভর করে এর দাম নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। সৌদি আরব দাম কমিয়েছে বলেই আমরা কমাতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘তাই এই মূল্যে কোম্পানিগুলো গ্যাস বিক্রি করতে বাধ্য। ভোক্তা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বোতলজাত এলপি গ্যাস বিক্রি করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিকালে মানিকগঞ্জ শহরে বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে কি না তা পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সব কোম্পানির ১২ কেজির সিলিন্ডার গ্যাসের দাম সরকার ভোক্তা পর্যায়ে নির্ধারণ করেছে ৯৯৯ টাকা। তবে মানিকগঞ্জে খুচরা পর্যায়ে এক হাজার ৫০ টাকা পর্যন্ত ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। কোনও কোনও কোম্পানির সিলিন্ডার গ্যাস ৯৯০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। প্রমাণ হিসেবে চালানের রশিদসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘ভোক্তাদের কাছ থেকে এলপিজির বেশি দাম নেওয়ার সুযোগ নেই। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া বাড়তি দামে যেন তা বিক্রি করতে না পারে, এ জন্য জেলা প্রশাসক ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে পত্র দেওয়া হয়েছে।’
পরিবেশকদের কাছে কোম্পানিগুলো বেশি দামে বিক্রির বিষয়ে বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘কোম্পানি এবং পরিবেশকদের নিয়ে সভা করে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার এলপিজির যে দাম নির্ধারণ করেছে কোম্পানিগুলোও তা মানতে বাধ্য। এ নিয়ে উচ্চ আদালতেরও নির্দেশনা রয়েছে। যে কোম্পানিগুলো এই নির্দেশনা মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কমাতে পেরেছি। তাই এই মূল্যে কোম্পানিগুলো তাদের গ্যাস বিক্রি করতে বাধ্য।’
এ সময় জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সানোয়ারুল হক, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতিশ্বর পাল, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।