প্রশান্তি ডেক্স ॥ নীলফামারী জেলা কারাগারে দুলাল হোসেন (৩২) নামে এক হাজতি আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই হাজতি সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের কিশামত মিলবাজার গ্রামের এস্তামুল হকের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে জেলাখানার ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, দুলাল মাদক মামলার আসামি হিসেবে কারাবাস করছেন। জমাদারের সঙ্গে টাকা নিয়ে বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে দুলাল আত্মহত্যা করবেন বলে জানান। এরপর ব্লেড দিয়ে গলায় পোঁচ দেন। পরে কারা পুলিশের সহযোগিতায় রাত আড়াইটার দিকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
গত শুক্রবার (৭ জুলাই) সকালে সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন দুলাল দাবি করেন, ‘জেলখানায় অনেক নির্যাতন সহ্য করেছি। আমাকে মারি ফেলাইছে স্যার। জেলার যেভাবে টর্চার করছে, আমার ৩০ বছরের হায়াত ১০ বছরে আনছে স্যার। জেলাখানায় কোনও আইন নাই স্যার।’
তাকে রংপুরের হাসপাতালে স্থানান্তরের বিষয়ে বলেন, ‘নীলফামারী হাসপাতালে চিকিৎসা হলে হবে আমি রংপুরে যাবো না। শত চেষ্টা করে আমাকে নিতে পারবে না- তাহলে আমার লাশ বের হবে। কয়টা ব্লেড দিবেন দেন। জেলা পুলিশ সুপার না আসা পর্যন্ত আমি এখান থেকে কোথাও যাবো না।’
সদর থানার ওসি খান শাহরিয়ার বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে খোঁজ নেওয়া হয়েছে। পরে তাকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সে একজন মাদক মামলার আসামি।
এ বিষয়ে জেলার আবু নূর মো. রেজা আসামির সব অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, ‘তাকে কোনও টর্চার করা হয়নি। তার দেওয়া তথ্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এই মামলায় তার জামিন হয়েছিল কিন্তু আদালতে সে সিন ক্রিয়েট করায় আদালত তার জামিন বাতিল করে জেলা কারাগারে পাঠায়। তার নামে অনেক মামলা ছিল। বর্তমানে মাদক মামলায় হাজত বাস করছে।’