বাজারে মিলছে ভারতীয় অবৈধ চিনি; রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবায় বাজারে মিলছে চোরাই পথে আনা ভারতীয় চিনি। এতে চোরাকারবারীরা লাভবান হলেও ঠকছেন ভোক্তা। অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, উপজেলার গোপীনাথপুর ও বায়েক ইউনিয়নের সীমান্তের বিভিন্ন স্থান দিয়ে আনা হচ্ছে ভারতীয় চিনি। এসব স্থানের মধ্যে বায়েক ইউনিয়নের, গৌরাঙ্গলা, ফুটিয়া, খাদলা, মাদলা, শ্যামপুর, কুল্লাপাথর এবং গোপীনাথপুর সীমান্তের ধ্বজনগর, মুতিনগর, কাজিয়াতলি, বাগানবাড়ি, পাথারিয়াদ্বার ও লতুয়ামুড়া এলাকার উল্লেখযোগ্য।

গীমান্ত এলাকার নিম্ন আয়ের লোকজনকে চিনি চোরা চালানের কাজে ব্যবহার করছে চোরাকারবারিরা। কাঁটাতারের বেড়া পার করে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের পাশাপাশি পিকআপ ভ্যানে করে এসব চিনি ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি উপজেলার কাঠেরপুল এলাকা থেকে ১১ টন ভারতীয় চিনি জব্দ করে থানা পুলিশ।

একটি সূত্রের দাবি, বর্তমানে ভারতে প্রতি কেজি চিনির দাম ৪৪ রুপি। ৫০ কেজি বস্তার দাম ২ হাজার ২০০ রুপি । উপজেলার কুটিবাজারে প্রতি বস্ত া চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা । মুদির দোকানগুলো থেকে ভোক্তারা কিনছেন ১৩০- ৪০ টাকা দরে। এতে চোরকারবারীরা লাভবান হলেও ভোক্তারা চিনি কমে পাচ্ছেন না।

গীমান্তবর্তী ধ্বজনগর গ্রামের আব্দুল করিম, হাকর গ্রামের তসলিম মিয়া জানান, উপজেলা সীমান্তবর্তী এলাকার শত শত মানুষ চিনি চোরাচালান ও পাচারে জড়িত। প্রতিদিন প্রায় ৩০-৪০ টন চিনি কুটি বাজারে ঢুকছে। দেশের বাজারের তুলনায় ভারতে চিনি দাম কম হওয়ায় চোরাকারবারিরা সুযোগ নিচ্ছে।

কসবা বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন স্থানীয় চাহিদা মেটাতে ভারতীয় কিছু চিনি বাজারে ঢুকছে। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পিপিএম জানান, অবৈধ পথে ভারতীয় মাদকসহ চিনি আনা বন্ধে কাজ করছে পুলিশ। সম্প্রতি তিনটি গাড়িসহ চিনির বড় চালান জব্দ করা হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, অবৈধ পথে চিনি আনা বন্ধে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে বেশ কিছু দোকানিকে অবৈধ চিনি রাখার দায়ে জরিমানা করা হয়েছে । নিয়মিত বাজার তদারকি চলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.