প্রশান্তি ডেক্স ॥ শিক্ষা, কাজ ও ভোটাধিকারসহ ‘শান্তি সমাবেশের নামে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী রেজাউল করিমকে হত্যা, বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-মামলা ও শিক্ষার্থীদের জোর-জবরদস্তি করে সমাবেশে নিয়ে যাওয়ার’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।
গত বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচাডের্র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফের সঞ্চালনায় সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সহ-সমন্বয়ক ও গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি সায়েদুল হক নিশান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (জেএসডি) সভাপতি তৌফিকুজ্জামান পিরীচসহ আরও অনেকে।
সমাবেশে নেতারা বলেন, বাংলাদেশ রাজনৈতিকভাবে সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন করছে। আর সেই আন্দোলনে আতঙ্কিত হয়ে মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য শান্তি সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে সরকারি দল আওয়ামী লীগ। শান্তি সমাবেশে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী রেজাউল করিমকে হত্যা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো থেকে জোর-জবরদস্তি করে শিক্ষার্থীদের মিছিলে নিয়ে যাচ্ছে সরকারি ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নাক্কারজনকভাবে এই সকল অভিযোগ অস্বীকার করছে। আমরা অবিলম্বে রেজাউল করিম হত্যার বিচার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে গণরুম-গেস্টরুমে ছাত্র নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনের দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
সভাপতির বক্তব্যে মশিউর রহমান খান রিচার্ড বলেন, বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যুগপৎভাবে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লড়াই করছেন। বিরোধীদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার ব্যর্থ হয়ে সরকার ও আওয়ামী লীগ দমন-পীড়ন, হামলা-মামলার পথ বেছে নিয়েছে। শান্তি সমাবেশের নামে নিজেদের সংঘর্ষে একজন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে। বিরোধীদের ওপর হামলা দেশের ভেতরে এমনকি আন্তর্জাতিক মহলকেও উদ্বিগ্ন করেছে। আমরা অবিলম্বে সরকারকে হামলা-মামলার পথ থেকে সরে এসে জন দাবি মেনে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের চলমান লড়াইকে অনেকে আওয়ামী লীগ-বিএনপির লড়াই বলে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন। আমরা দ্বিধাহীনভাবে বলতে চাই, এই লড়াই আওয়ামী লীগ-বিএনপির লড়াই নয়। এই লড়াই বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের লড়াই। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। এই লড়াইয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষেরাই বিজয়ী হবে। আমরা সেই লড়াইয়ে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে রাজপথে থাকবো।