ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি॥ আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্থান সৃষ্টির পর বঙ্গবন্ধু বুজতে পারেন এই স্বাধীনতা দিয়ে বাঙ্গালী জাতীর মুক্তি আসবে না। তাই তিনি বাঙ্গালীর অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং পাকিস্থানের অধিকাংশ সময় জেল জুলুম ও নির্যাতন সহ্য করেছেন। কখনো পাকিস্থানীদের সংগে আপোষ করেননি। তাঁর ডাকে আমরা সশস্র সংগ্রামের মাধ্যমে এই দেশ স্বাধীন করেছি।
বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্থানে হত্যা করতে চেয়েও পাকিস্থানীরা বিশ্ববাসীর চাপে করতে পারেনি। পরে স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট দেশিয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তে ক্ষমতালিপসু সেনা সদস্যরা তাকে সপরিবারে হত্যা করে তাঁকে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দিতে চেয়েছিলো। তারা বাংলাদেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছিলো দেশটাকে আবারো মিনি পাকিস্থান বানানোর জন্য। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে শাহ আজিজুর রহমানের মতো একজন কুখ্যাত রাজাকারকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে বঙ্গবন্ধু ও জেলখানায় জাতীয় চার নেতার খুনীদের পুনর্বাসন করেছেন । তাদের চাকুরী ও রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে জাতীর সংগে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশটাকে টেনে তুলে মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন।
গত ১২ আগস্ট শনিবার বিকেলে কসবা সরকারী পলিটেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ আয়োজিত শোকসভায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে কলকাতা থেকে ভিডিও কনফেরান্সে প্রধান অতিথি আইনমন্ত্রী আনিসুল আরো বলেন, আগামী ডিসেম্বরের শেষ অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করার পথকে তরান্বিত করবেন।
তিনি বলেন আমি কসবা আখাউড়ায় বহু উন্নয়ন কাজ করেছি। প্রায় আড়াইহাজার বেকার যুবক যুবতীদের চাকুরী দিয়েছি। আমার আপনারা ছাড়া আর কেউ নেই। মা, বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী কেউ দুনিয়াতে নেই। তাই আপনাদের সন্তান হিসাবে আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে আপনাদের সাথে আজীবন থাকতে চাই।
কায়েমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ইকতিয়ার আলম রনির পরিচালনায় শোকসভায় বক্তব্য রাখেন, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন, কসবা পৌর মেয়র এম. জি হাক্কানী, আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ, সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য এম. এ আজিজ, উপজেলা ছাত্রলীগ যুগ্ন আহবায়ক কাজী মানিক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. সোলেমান খান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিক, অধ্যাপক রুমানুল ফেরদৌসি, অধ্যাপক শাহিন সুলতানা, অধ্যাপক বিলকিস বেগম; পরে মিলাদ ও মোনাজাত শেষে কাঙ্গালি ভোজের আয়োজন করা হয়।