বাংলার মানুষকে ভালোবাসার নির্মম প্রতিদান দিলো বেঈমান মোশতাক-জিয়া : সজীব ওয়াজেদ

বাআ॥ নৃশংস কায়দায় ও ইতিহাসের বর্বরোচিত উপায়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা খন্দকার মোশতাককে দায়ী করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় জাতীয় শোক দিবসে (১৫ আগস্ট) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ কথা লিখেছেন।

ভেরিভায়েড ফেসবুক পেজে সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, “বঙ্গবন্ধু এমন একজন মানুষ ছিলেন, যিনি লক্ষ্য পূরণে খুব ধীর-স্থির ও চৌকস ছিলেন। এই মানুষটির দঢ় মনোভাবের কারণে পাকিস্থানি শাসকরা পর্যন্ত তাকে মারাত্মক সমীহ করতো। ২৪ ঘণ্টা গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে থেকেও তিনি ‘বাঙ্গালির মুক্তির সনদ’ ৬ দফা বাস্তবায়নে সারাদেশে জনমত সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতেও পাকিস্থানি সামরিক বাহিনীর সদস্যরা হামলা করেছিল ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাসায়- সেদিনও বীরদর্পে তাদের সামনে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- ‘স্টপ শ্যুটিং’! পাকিস্থানিরা ভড়কে গিয়েছিল সেই মহান নেতার ব্যক্তিত্বের কাছে।

৭১-এর ডিসেম্বরে বিজয় অর্জনের পর, বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশকে আবারো গড়ে তুলেছিলেন। একদিকে প্রায় শূন্য ব্যাংক রিজার্ভ, অন্যদিকে ভাঙ্গাচোরা রাস্তা-ব্রিজ-কালভার্ট-বাড়িঘর। সেই পরিস্থিতিতে তরুণদের, মুক্তিযোদ্ধাদের কাজে লাগিয়ে বঙ্গবন্ধু সবকিছু পুনর্গঠিত করেছিলেন। চালু করে ফেলেছিলেন কলকারখানাগুলো। আন্তর্জাতিক মহলের প্রায় সব বড় ফোরামে নতুন রাষ্ট্রকে যুক্ত করেছিলেন তিনি-জাতিসংঘ, ওআইসি, কমনওয়েলথ সবাই বাংলাদেশকে সাদরে গ্রহণ করেছিল এই মহান নেতার ক্যারিশমায়। তিনি যখনই সব প্রতিকূল পরিবেশ অতিক্রম করে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন, দেশের প্রবৃদ্ধির হার তখন ১১ শতাংশের ওপরে, ঠিক তখনই পুরনো শত্রুরা এক হলো, প্রতিশোধ নিতে চাইলো ১৯৭১-এর পরাজয়ের। ৭১-এর পরাজিত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তি ঘাতকদের সাহস দিলো, পালানোর পথ করে দিলো, বাংলাদেশ স্বৈরাচারের কবলে পতিত হলো।

জাতির পিতার মৃত্যুর পর ধ্বংস হয়ে গেলো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন। শুধু জনরোষের ভয়েই দেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে কট্টর ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে পারল না উগ্রবাদীরা।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, সেই ৩২ নম্বরের বাড়িতে ভোরের আজানের কিছু আগেই হামলা করেছিল বর্বর ঘাতকরা। বাংলার স্বাধীনতার অন্যতম প্রতীক ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ভেসে গেলো রক্তে। বাংলার মানুষকে ভালোবাসার নির্মম প্রতিদান দিলো বেঈমান মোশতাক-জিয়া এবং দলছুট মেজরদের খুনি চক্র।”

জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান সজীব ওয়াজেদ জয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.