ক্ষমতা এবং অর্থ এই দুইয়ের দ্বন্ধ ও লড়াই এখন দৃশ্যমান। নিরিহ এবং দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার প্রত্যক্ষ করার একটি ব্যবস্থা এখন দৃশ্যমান আর এই ব্যবস্থাটির নাম হলো নির্বাচন। এই নির্বাচন সন্ধিক্ষণে এসে ভাই, বন্ধু এবং অত্মীয়-পরিজনসহ সকলেই যার যার স্বার্থটুকু হাসিলে দেনদরবাররত অবস্থায় বিভিন্ন কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। যা কখনো দৃশ্যমান আবার কখনো অর্দশ্য। তবে সবকিছুই এখন দিবালোকের মত স্পষ্ট।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের অর্ভন্তরে ক্ষমতা এবং অর্থ লাভের নিমিত্তে দেশবিরোরী স্বার্থান্বেষী মহল উঠেপড়ে লেগেছে। যেন নির্বাচনের কোন প্রয়োজন নেই বরং সরকারকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে নির্বাচনবিহীনভাবে তারা ক্ষমতার মসনদে বসবেন এবং তাদের খায়েস পূর্ণ করবেন। কিন্তু তারা যখন বুঝতে পারল যে, ক্ষমতার মসনদে বসা অসম্ভব তখনই তারা ষড়যন্ত্র করার নিমিত্তে বিদেশীদের ধারস্থ হলো। এমনিতেই বিদেশীরা সুযোগের আশায় ঘাপটি মেরে বসে ছিল আর বাংলাদেশী লোভাতুর শ্রেণীর ব্যক্তিগত লাভের জন্য বিদেশী স্বার্থান্বেষীদের সঙ্গে এক্যবদ্ধ প্রয়াসে লিপ্ত হয়েছে। দেশীয় আঙ্গিকে বিদেশী চাপিয়ে দেয়া সংস্কৃতির উর্বর মস্তিষ্কের আবিস্কৃতি ফর্মূলা বাস্তবায়নে দেশীয় নিরিহ এবং অবুঝ সুবোধ বালক ও বালিকাদের রাস্তায় ব্যবহার করছেন। তাদের এহেন নিলজ্জ্ব ব্যবহারেও যখন কোন কাজ হচ্ছে না তখন শুরু হলো স্যাংশন বা বিদেশী প্রতিবন্ধকতার মহড়া। আর এই মহড়াই ও যখন কাজ হচ্ছে না তখনই শুরু হয়েছে প্রভাব ও প্রতিপত্তির বাহাদুরী দেখানো।
এই সবই এখন দেখে যাচ্ছেন আমাদের জনগণ। আর এই দেখে মনে হচ্ছে এখনও আমরা স্বাধীন হয়নি। তাই পুনরায় বঙ্গবন্ধুকে পুনরুজ্জ্বিবীত করে আরেকটি স্বাধীনতা অর্জন এখন সময়ের দাবী। বঙ্গবন্ধুর শিখানো ও দেখানো পথে এগিয়ে যাচ্ছে জাতি এবং এই পথেই কান্ডারী হিসেবে তাঁরই ঔরসজাত সন্তান দুরদর্শী প্রচেষ্টা চালিয়ে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনে মরিয়া হয়ে প্রাণপণ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। আগামী দিনে বাংলাদেশের নির্বাচন এবং স্বাধীন দেশের স্বাধীন পরিচালনায় কারো হস্তক্ষেপ কাম্য নয় এই শিক্ষায় শিক্ষিত করণের পাঠ প্রদর্শন এবং মহড়া ও শিক্ষা দেয়ার প্রচেষ্টায় শরীক হওয়ার আহবান সকলের প্রতি।
বিদেশীরা কখনো কোন দেশের ক্ষতি করতে পারে না যদি না আমরা নিজেরা নিজেদেরকে ঐ বিদেশীদের কাছে সমর্পণ না করি। এইক্ষেত্রে, আফগান, কুয়েত, ঈরাক এবং সদ্য ইউক্রেইন একটি উদাহরণ। কিভাবে একটি জাতিকে শেষ করে পঙ্গু বানিয়ে ঘী তুলে চেটেপুটে খেয়ে বাটিটা রেখে স্ব স্ব দেশে প্রস্থান করেন। তাই আমাদের সাবধান হতে হবে কারণ আমাদের এই দেশে কতিপয় স্বার্থান্বেষিদের জন্য বৃহত্তর সমাজের ক্ষতি সাধিত না হউক। আমরাও ইতিবাচক এবং পরিচ্ছন্ন ও নির্ভেজান নির্বাচন চাই এমনকি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন দেখতে চাই। তবে জোর করে কোন সরকার বা কারো ক্ষমতা দখল করতে চাই না। তাই যারা আজ অর্থ এবং ক্ষমতা এমনকি নিজ নিজ অপরাধ মওকুফের জন্য ব্যতিব্যস্ত তাদেরকে চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থার আলোকে ঘরবন্ধি করুন। অথবা দেশ থেকে বিতারিত করুন। দেশ তাদেরই যারা দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ এবং নিজের আখের গোছানো নয় বরং সার্বজনীন কল্যাণে দেশের তরে নিজের জিবন উৎসর্গে সর্বাঙ্গে প্রস্তুত।
বাংলাদেশে অপরাধ হচ্ছে না অথবা লুটতরাজ হচ্ছেনা তা নয় বরং এই বিষয়গুলো পূর্বথেকেই ছিল এবং আছে ও থাকবে কিন্তু বর্তমানে এই পর্যাপ্ততায় কিছুটা কমতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমি নির্যাতিত এবং নিপিড়িত ও বিচারহীন একজন হতদরিদ্র মানুষ। বর্তমান সময়ে নিরাপরাধ হয়েও বিচারের আওতায় নিস্পেষিত। কিন্তু তারপরও বলতে চাই আমরা ব্যক্তিস্বার্থের উদ্ধে উঠে দেশ এবং চলমান উন্নয়নকে আলিঙ্গন করে এই চলমান সরকারের ধারাবাহিকতা একজন বাঙ্গালী হিসেবে, বাংলাদেশী হিসেবে আপনার সুচিন্তিত মতামত ও উপযুক্ত ভুমিকা প্রত্যাশা করি এমনকি দাবি রাখি। আমার জেল, জুলম, জরিমানা অথবা গুম ও খুন যাই—ই হোক না কেন তারপরও আমি এই ধারাবাহিকতার জন্য কাজ করে যেতে প্রস্তুত। অর্থ এবং ক্ষমতা এই দুটিকেই পাশকাটিয়ে সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যের জীবনাচরণ প্রত্যক্ষ করানোর কাজে নিয়োজিত থাকতে চাই।
ড. ইউনুছ সাহেব আজ নিজ দেশে পরবাসী। কারণ তিনি কখনো নিজ দেশের কল্যাণে চিন্তা করেন না বরং বিদেশীদের বা বড়লোকদের অথবা তেলের মাথায় তেল দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেনদরবারে ব্যস্ত থাকেন। দেশের তরে বা দেশের প্রয়োজনে কখনো তিনি এগিয়ে আসেন নি এমনকি কোন প্রয়োজনে অনুদানও দেননি। বরং তিনি অনুদান বা ফান্ড দেন বিদেশী ক্ষমতাধর রাষ্ট্র বা ব্যক্তিদেরকে। এটাইকি তার দেশপ্রেম! তবে তিনি দেশের মানুষের ক্ষতি সাধিত করেছেন গ্রামীন ব্যাংক দিয়ে। পরিবার ভেঙ্গেছেন, গরীবকে আরো গরীবে পরিণত করেছেন। অনেককে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছেণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে। যা তার সিষ্টেমের ফল। হ্যা তিনি একটি কাজ করেছেন গরিবকে পুজি করে নিজে লাভবান হয়েছেন এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অর্থ তাঁর তহবিলে থেকে নিজেকে আরো রক্তচোষা সুদখোর হিসেবে জাহির করেছেন। গরীব ঠকানোর যন্ত্র আবিস্কারক জনাব ইউনুছ সাহেব নোবেল পুরস্কারটি ভেলকিবাজির মাধ্যমে ঠকিয়ে নিজের নামে করে নিয়েছেন। আরো একটি কাজ করতে এসে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন যা ছিল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার মসনদে বসা এমনিক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ষড়যন্ত্র করা। যার প্রমান বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে পদ্মাসেতুর দ্বারা উন্মোচিত হয়েছিল। এখন আবার কর ফাকি এবং গরিবের প্রাপ্য আত্মসাতের ঘটনা লেবার আইন এবং লোবার কোট দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে। যা আমাদের জন্য লজ্জার।
নিতি ও নৈতিকতা বিসর্জনের আরেকটি উদাহরণ হতে পারেন জনাব ইউনুছ সাহেব। কারণ তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অর্থ ও ক্ষমতা। আর এই অর্থ ও ক্ষমতার এবং অপরাধ মওকুফের জন্য জনাব তারেক রহমান সাহেবও যুক্ত হয়েছেন এই ষড়যন্ত্রে। তবে এই দুইয়ের সমন্বয়ে বাংলাদেশ এবং সরকার ও উন্নয়ন এখন নাকাল। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সুযোগ নিতে চাচ্ছেন প্রতিবেশী এবং উন্নত রাষ্ট্রের ক্ষমতাধারীরা। তাই এই কঠিন সময়ে উপযুক্ত সিদ্দান্ত এবং ধৈয্য ধারন করে ঠান্ডা মাথায় ভবিষ্যতের করনীয় ঠিক করতে পারাটাই মুক্ষম বিষয়। তাই দেশবাসীর সহযোগীতা এবং স্ব স্ব অবস্থান থকে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই এখন সময়ের উর্বর দাবি। তবে কেউ কেউ বলেন যে, শেখ হাসিনা সবকিছু মোকাবিলা করবে এবং বাকিরা তামাসা দেখবে? তা হবে না বরং সকলে মিলে এই মনুষ্যসৃষ্টি স্বার্থান্বেষী দুর্যোগকে মোকাবিলা করে সামনে এগুতে হবে। কোনরকম শৈথিল্য প্রদর্শন চলবে না বরং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার যুগৎপদ ফল আস্বাদনে এগিয়ে যেতে হবে। মতভেদ এবং বিভেদ ভুলেগিয়ে এখনই ঝাপিয়ে পড়তে হবে। অর্থ ও ক্ষমতা আস্বাধনের লিস্পারতদের কাছ থেকে সাধারণ ও নিরীহ মানুষজনকে নিরাপদ দুরত্বে রাখতে হবে এবং নিজেরা কঠোর পাহারা দিয়ে উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে হবে। জয় আমাদের হবেই হবে তবে এই জয় অর্জনটা একটু কষ্টকর এবং সাইক্লোনাক্রান্তের মত ঝুকিপূর্ণ হবে। তবে ভয় নেই দিনের শেষে, সময়ের শেষে এবং রাত পোহালে জয় আমাদের অবিশম্ভাবী। ক্ষমা ভালবাসা এবং ক্ষমতা ও অর্থ এই দুইয়ের সঙ্গে সংমিশ্রণ ঘটানোর সময়ও এখনই। তাই নিজেদেরকে স্মার্ট করুন এবং আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে ভুমিকা রাখুন।