প্রশান্তি ডেক্স॥ সহসাই নিজস্ব ফ্লাইট চালু করতে না পারলেও উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলে যাত্রী পরিবহনের জন্য কোড শেয়ারের পরিকল্পনা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বর্তমানে ঢাকা থেকে কানাডায় সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান। তাই দেশটির জাতীয় এয়ারলাইনের সঙ্গে কোড শেয়ার করে উত্তর আমেরিকার যাত্রী বহনের পরিকল্পনা বিমানের।
সংম্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে রুট সম্প্রসারণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিমান। জনপ্রিয় বিভিন্ন গন্তব্যে সরাসরি নিজস্ব ফ্লাইট চালু করতে না পারলেও কোড শেয়ারের মাধ্যমে চালুর পরিল্পনা পতাকাবাহী এয়ারলাইনটির। ইতোমধ্যে বাহরাইনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এয়ারলাইন গালফ এয়ারের সঙ্গে চুক্তিও সম্পন্ন করেছে বিমান। আর এরমধ্য দিয়ে ইউরোপ, আাফ্রিকা, বাহরাইনসহ অনেকে গন্তব্যে বিমান যাত্রী পরিবহন করতে পারেবে।
বিমান সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলে বেশির ভাগ বাংলাদেশিরা বসবাস করেন। মেক্সিকো, নিউ ইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, টরেন্টো, শিকাগো, হিউস্টন, কিউবা হাভানা, মেক্সিকো গুয়াদালাজারা, মন্ট্রিয়ল, ফিলাডেলফিয়াসহ সেখানকার আশপাশের শহরগুলোতে বাংলাদেশিদের বসবাস বেশি। এ অঞ্চলের যাত্রীদের টার্গেট করে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে বিমান। দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকায় সরাসরি ফ্লাইট চালুর জন্য প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তবে বিভিন্ন শর্ত মেনে ফ্লাইট চালু সময় সাপেক্ষ। এ কারণে এয়ার কানাডার সঙ্গে কোড শেয়ারের উদ্যোগ বিমানের।
জানা গেছে, ২০২২ সালের জুলাই থেকে ঢাকা থেকে কানাডার টরেন্টো রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনের ফ্লাইট শুরু করে। এই রুটের ফ্লাইটটি ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়েছে উঠেছে। ফ্লাইট ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। এয়ার কানাডার সঙ্গে কোড শেয়ার হলে বাংলাদেশ থেকে যাত্রীরা কানাডার টরন্টো যাবেন, এরপর এয়ার কানাডার মাধ্যমে উত্তর আমেরিকাসহ অন্যান্য গন্তব্যে পৌঁছাবেন।
কানাডার বৃহত্তম এয়ারলাইন এয়ার কানাডা। ১৯৩৭ সালের ১০ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত এয়ার কানাডা উন্নত মানের এয়ারলাইনগুলোর জোট স্টার অ্যালায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এই অ্যালায়েন্স বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিমান পরিবহন নেটওয়ার্ক প্রদান করে। কানাডার টরেন্টো পিয়ারসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, ভ্যাঙ্কুভার ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট এবং মন্ট্রিল-ট্রুডো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিশ্বের ২২২টি গন্তব্যে যাত্রী পরিবহন করা হয়ে থাকে।
সম্প্রতি বিমান পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালাকের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার সৌজন্য সাক্ষাৎও করেছেন। আনুষ্ঠানিক বৈঠকে কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে বিমান চলাচল ও এয়ার কানাডার সঙ্গে কোড শেয়ার চুক্তির সম্ভাব্য দিকগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফা কামাল উদ্দীন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিমের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলস সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এয়ার কানাডার সঙ্গে কোড শেয়ার চুক্তি বিষয়ে প্রস্তাব তুলে ধরেন।
এ প্রসঙ্গে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম বলেন, বিমান নেটওয়ার্ক সম্প্রসার করতে কোড শেয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ১৯৯৯ সাল থেকে কানাডার সঙ্গে বিমানের ইন্টারলাইন যোগাযোগ আছে। আমরা সেটি আরও বিস্তৃত করতে চাই। এয়ার কানাডার সঙ্গে কোড শেয়ার চুক্তি সম্পন্ন হলে বাংলাদেশি যাত্রীরা আরও অনেক বেশি গন্তব্যে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।