প্রশান্তি ডেক্স॥ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বাংলাদেশের কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। অপরাধ করলে এর বিচার হবে। ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক স্থাপন করেছেন। এ দেশের জনগণের টাকা লুটপাট করেছেন। গরিব জনসাধারণ গ্রামীণ প্রতিষ্ঠানের কিস্তি না দিতে পারলে ঘরের ঘটিবাটি, চাল, ডাল সব বিক্রি করে টাকা নিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা পাওনা নিয়ে মামলা করেছেন। আদালতে বিচার কাজ চলমান আছে। ড. ইউনূসের মামলার সুষ্ঠু বিচার হবে। অন্যায় না করলে খালাস পাবেন। আর যদি অন্য কিছু হয় বিচারক বিচারিক কাজ করবেন। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন।’’
গত বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকালে তার নিজ নির্বাচনি এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার আজমপুর রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুধু এই কথা বলবো যে, কোনও উসিলা পাইলেই আপনারা বাংলাদেশের মানুষকে অপমান করেন। আপনারা বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে অপমান করেন। আপনারা বাংলাদেশকে অপমান করেন। সেই চেষ্টা বন্ধ করেন। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ তারা খেতখামারে কষ্ট করে ফসল ফলায় তাদেরকে মূল্যায়ন করুন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যদি বিচার চায় তাহলে সেটা অন্যায় নয়। আমরা সুষ্ঠু বিচার করতে জানি। আপনারা দেখেছেন বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার হয়েছে। যদিও তারা আত্মস্বীকৃত খুনি ছিল। তারা বলেছিল, ‘‘আমি শেখ মুজিবকে হত্যা করেছি পারলে আমার বিচার কর’’। সেই লোককেও আমরা তার অধিকার রক্ষার জন্য তাকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য, আইনজীবী নিযুক্ত করতে তার কাছে অধিকার দেওয়া হয়েছে। আর আজকে বাংলাদেশের নাগরিক তার অধিকার হরণের জন্য বিচার চাইতে পারবে না। সেই জামানা এখন নেই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির সময় রমনার বটমূলে বোমা হামলা হয়, সিরিজ বোমা হামলা হয়। জ্বালাও পোড়াও ছাড়া তারা দেশকে ভালো কিছু দিতে পারেনি। তারা তাদের সময় রাজাকারদের নেতা বানিয়েছিলেন। মা-বোনদের ধর্ষণকারীদের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন।
আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের জন্য সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করেছেন। আর বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন।’ আগামী নির্বাচনে নৌকার জন্য নিজের পক্ষে ভোট চান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সভায় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট রাশেদুল কাউছার জীবন ভূঁইয়া, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল প্রমুখ।