বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর… আইনমন্ত্রী

প্রশান্তি ডেক্স ॥ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি না দেওয়ার বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করেছেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী জনাব আনিসুল হক। এ ক্ষেত্রে কোনও রাজনীতি হয়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি। গত বুধবার (৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এটা আইনি ব্যাপার, এখানে রাজনীতির কোনও প্রশ্ন নেই। তার পরিবার দরখাস্ত করেছিল, সেটা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। আইনে কোথাও নেই যে, এই দরখাস্তে তাকে বিদেশে যাওয়ার পারমিশন দেওয়া যায়। বিদেশ যেতে পারবেন না বলে আগেই শর্ত দেওয়া ছিল, এখন সেটিকে পরিবর্তন করার কোনও সুযোগ নেই।’

শর্ত জুড়ে দেওয়া যৌক্তিক কিনা, এ প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে করেছি যৌক্তিক। তার কারণ হচ্ছে তখন তার যে অসুস্থতা ছিল, যতটুকু আমাদের জানানো হয়েছিল, তাতে এটা আমরা মনে করেছি যৌক্তিক, তা প্রমাণিত হয়েছে ২০২০ সালে থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তার চিকিৎসা সফলভাবে দেশে হয়েছে।’ এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস এবং আইন সচিব গোলাম সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিষয়ে আইনমন্ত্রী কারও নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইলে দোষ স্বীকার করে চাইতে হয়। বিষয়টি যিনি ক্ষমা চাইবেন তার বিষয়। এটা হচ্ছে সাংবিধানিক অধিকার। যে কেউ রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারেন।’

২০০৮ সালে কোনও শর্ত না দিয়েই শেখ হাসিনাকে জামিন দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘আইন মেনেই তিনি (হাসিনা) বিদেশ গিয়েছিলেন এবং দেশে ফিরে এসেছেন। মির্জা ফখরুলের ভালো করে জেনেশুনে ও বুঝে জনগণকে তথ্য দেওয়া উচিত।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় শেখ হাসিনা যখন বিদেশে গিয়েছিলেন, তিনি তখন কোনও দন্ডপ্রাপ্ত আসামি বা কয়েদি ছিলেন না। তিনি তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চাপিয়ে দেওয়া সবকটি মামলায় নিঃশর্ত জামিনে ছিলেন।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘শেখ ফজলে নূর তাপস শুধু বঙ্গবন্ধুকন্যার আইনজীবীই ছিলেন না, তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যার আইনজীবীদের দলের সমন্বয়ক হিসেবেও কাজ করতেন। তিনি জানিয়েছেন, সবগুলোতে বেলবন্ড দেওয়ার পর বঙ্গবন্ধুকন্যা মুক্ত হয়েছিলেন। কোনও শর্তসাপেক্ষে তাকে জামিন দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ সে সময় তার বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে কোনও বাধা-নিষেধ ছিল না। তাই ২০০৮ সালে তার বিদেশে যাওয়ার সময় কোনও অনুমতি বা নির্বাহী আদেশের প্রয়োজন ছিল না।’

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা মহানুভবতা দেখিয়ে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে শর্তযুক্তভাবে মুক্তি দিয়েছিলেন। এরপর আর কত মহানুভবতা দেখাতে হবে, এটা প্রমাণ করতে যে, এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়। আমরা কেউই খালেদা জিয়াকে ভয় পাই না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published.