প্রশান্তি ডেক্স ॥ সাভারের আমিনবাজারে সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এক সেলফি দিল্লিতে, আরেক সেলফি নিউ ইয়র্কে। এই দুই সেলফিতেই বাজিমাত। বিএনপি এখন পথহারা পথিক। কোথায় নিষেধাজ্ঞা, কোথায় ভিসানীতি? তলে তলে সব আপস হয়ে গেছে।’ গত মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকালে ঢাকার সাভারের আমিনবাজারে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘দিল্লি আছে, আমেরিকারও দিল্লিকে দরকার। আমরা আছি, দিল্লিও আছে। দিল্লি আছে, আমরা আছি। শত্রুতা কারও সঙ্গে নেই, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর কন্যা, এমন ভারসাম্য সবার সঙ্গে করে ফেলেছেন আর কোনও চিন্তা নেই। নির্বাচন হবে যথাসময়ে। খেলা হবে, এই মাস থেকে শুরু, আগামী মাসে সেমিফাইনাল, জানুয়ারিতে ফাইনাল। বিএনপি এখন ফাউল করছে। ফাউল করলে হলুদ কার্ড, ফাউল করলে লাল কার্ড। খালেদা জিয়া ছাড়া বিএনপি ইলেকশন করবে না। না করুক। এতদিন কোথায় ছিলেন? খালেদা জিয়া বছরের পর বছর জেলে, তার জন্য একটা আন্দোলনও করতে পারলেন না ফখরুল।’
তিনি বিএনপির প্রতি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা নাকি নিষ্ঠুরতা করছেন! তারা শেখ হাসিনার পুরো পরিবারকে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনা ও রেহানা বিদেশে ছিলেন বলে ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন। ওই হত্যাকান্ডের নায়ক জিয়াউর রহমান। নিষ্ঠুর কারা? জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, জেল খানায় চার নেতাকে হত্যা করেছে, ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। কে করেছে এই কাজ? হাওয়া ভবন, খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক জিয়া। শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আজ তারা বড় বড় কথা বলে।
‘খালেদা জিয়ার জীবনের ওপর একবারও কি কোনও হামলা হয়েছে? আওয়ামী লীগ তা করবে না। আওয়ামী লীগ হত্যা আর ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে না কিন্তু বারে বারে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। এখনও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির দম ফুরিয়ে গেছে। তাদের দিয়ে আর আন্দোলনও হবে না। নির্বাচনেও হারবে। এখন ভোট নষ্ট করতে চায়। ভোট হবে, নির্বাচন হবে। যতই ষড়যন্ত্র করা হোক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশে হবে। নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতির পরোয়া আমরা করি না। আমরা ঠিক আছি। আমরাও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। তাহলে কেন ভিসানীতি, কেন নিষেধাজ্ঞা। কেউ নিষেধাজ্ঞা দেবে না। নিষেধাজ্ঞার হুমকি-ধামকি শেষ। দেখেন না ফখরুলের গলার আওয়াজ নরম হয়ে গেছে। মানুষ বুঝতে পেরেছে, বিএনপির লাফালাফি বাড়াবাড়িতে জনগণের কোনও লাভ নেই। কোনোভাবে ক্ষমতায় গেলে বিএনপি বিদ্যুৎ গিলে খাবে, মুক্তিযুদ্ধকে গিলে খাবে, স্বাধীনতাকে গিলে খাবে। ক্ষমতায় গেলে আবারও দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে।’
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম এখন একটু বেশি। সারা পৃথিবীতেই বেশি, আমরা কী করবো। শেখ হাসিনা চেষ্টা করছেন। আস্তে আস্তে জিনিসপত্রের দাম কমে যাবে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেনু আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।