গত ১৫ বছরের সফল উন্নয়ন এখন গঁ্যা ভাসিয়ে পালিয়ে বা হারিয়ে যাচ্ছে এবং প্রতিকুলতার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। গত ১৫ বছরে উন্নয়নততো কম হয়নি বরং উন্নয়ন এবং জনকল্যাণকর কাজের সাথে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়েছে। পাশাপাশি ঘরের শত্রু বিভিশন দ্বারা ঐ উন্নয়ন এবং সুফলভোগীর চরম ক্ষতির কারণও হয়েছে। যা চলমান পরিস্থিতিকে মূল্যায়ন করে বলা ও ভাবা খুবই সহজতর হয়েছে। একশ্রেণীর মানুষ এখন মরিয়া হয়ে লিপ্ত রয়েছে ঐ উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে এমনকি সুফলভোগীদের সুফলভোগে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে। তাদের সঙ্গে আবার যুক্ত হয়েছে বিশ্ব রাজনীতি। এই দুইয়ের পদচারনায় এখন রীতিমত পিষ্ট হচ্ছে এই দেশের ইতিবাচক রাজনীতি এবং রাজনীতির ফসল ঘরে তোলাখ্যাত আগামীর নির্বাচন। এই নির্বাচন ঘিরে দৃশ্যমান হচ্ছে সকল নেতিবাচক ঘূর্ণীঝর ও সাইক্লোনখ্যাত ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি দাড়িয়ে সরকার ও জনগণ। তবে ষড়যন্ত্রকারীরা কুলিয়ে উঠতে না পেরে দিশেহারা হয়ে বিদেশী পরামর্শের দারস্ত হয়ে জন ও গণ বিস্ফোরণের আশায় স্বপ্নে বিভোর হয়ে দিনাতিপাত করছে।
সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করেই এই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল; সকল প্রতিকুলতাকে পাশ কাটিয়েই আজকের বাংলাদেশ হয়ে শীড় দাঁর করিয়েছে। দেশী ও বিদেশী ষড়যন্তের মোকাবিলা করেছিল নিরস্ত্র বাঙ্গালী তাদের আত্মত্যাগ ও বুদ্ধিদৃপ্ত সাহসীকতার মাধ্যমে। যা কায্যে পরিণত করেছিল সেইদিন এবং আজকের এইদিন একই অর্জনে দীপ্তমান হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আগামীর কল্যাণে স্বপ্নীল বংলার চিরায়ত রূপদর্শণে বাস্তবে আগামীর প্রতিচ্ছবির পুনজাগরণে। এই উন্নয়ন ও উপকারভোগীর মধ্যে এখন দুরত্ব সৃষ্টিতে কাজ করছে নিত্য পন্যের উদ্ধগতি এবং লাগাম টেনে ধরতে না পারা। এইখানে ব্যার্থতা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে উন্নয়নের সকল অর্জনকে। বিরোধীদের অপপ্রচার এবং সুস্থ্য বিকাশমানতায় আচমকায় হতাশার ছাপ ফেলাতে বিশ্ব অসন্তোস ও জন অসচেতনতায় ঘি ঢেলে তা দিয়ে যাচ্ছে। জনগণ চায় তার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সহজলভ্যতা। ব্যবসায়ী চায় তার ব্যবসার সম্প্রসারণ এবং শ্রমিক চায় তার কাজের নিশ্চয়তা, চাকুরিজীবি চায় তার চাকুরীর সহজপ্রাপ্যতা এবং নিশ্চয়তা; কৃষক চায় তার ফসলের সমারোহ এবং এর সঠিক মূল্যায়ন, অসুস্থ্য রোগী চায় তার চিকিৎসার সহজলভ্যতা, ছাত্র-ছাত্রীরা চায় তাদের শিক্ষার সহজলভ্যতা আরো কতোকি? এই সকল বিষয়গুলোতে কতটুকু অর্জন হয়েছে তা কিন্তু দৃশ্যমান। তবে এরসঙ্গে আরো কি অর্জন হতে পারতো তাও ভেবে দেখার বিষয়। এইসকল ক্ষেত্রে এখনও কি কি অসামজস্যতা বিরাজমান রয়েছে তা খতিয়ে দেখে আগামীর কল্যাণের তরে কাজে নামার শুভলক্ষণগুলো এখনই জাগ্রত রাখতে হবে। অপ্রাপ্তি এবং বৈষম্যের বেড়াজাল ভাংতে এখই কর্মমুখী সংগ্রাম চালাতে হবে।
বিরোধী দলগুলো শতভাগ ব্যর্থ্য হয়েছে। তাদের দায়িত্ব পালনে এমনকি সরকারকে জনমুখি কর্মসূচীতে ও জনপ্রয়োজনের দিকে আরো গুরুত্ব দেয়ার কাজে অথবা বৈষম্য ও ক্ষমতার ভারসাম্যে সমতায়ন করাতে। এই ব্যর্থতার কারনে সরকার বিধ্বংসী হয়ে বিরোধী মত ও পথের বিরুদ্ধে কঠোর ও কঠিন পদক্ষেপ নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। এইখানে এখন সমতায়ন এবং জনআকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটানো দরকার। উভয়েরই জন আকাঙ্খার কথা বিবেচনায় নিয়ে কর্মসম্পাদন করা উচিত। বিরোধীরা যেসকল দাবী নিয়ে এগুচ্ছে সেইগুলোতে জনআকাঙ্খা নেই; শুধু তাদের ব্যক্তিগত আকাঙ্খার বহি:প্রকাশ মাত্র। যারজন্য জনগণ ঐ আকাঙ্খার সঙ্গে একমত পোষণ করছে না। সরকার জনআকাঙ্খার উচ্ছাসনগুলো নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে কিন্তু নিম্নাসন আর মধ্যাসনগুলোতে কাজ করছে না। তাই সরকারের সঙ্গে জনগণের দুরুত্ব বা দলীয় সমর্থকদের দুরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। এখনই সরকার এই বিষয়গুলোর দিকে দৃষ্টি দিয়ে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন। নমনীয়তা প্রকাশ অতিব জরুরী। জনগণের প্রতি নমনীয় হওয়া, সমর্থকদের চাহিদা এবং প্রয়োজনগুলোকে গুরুত্ব দেয়া আর সরকারের আকাঙ্খার সঙ্গে যোগসাজস তৈরী করা এখন ফরজে আইন হয়ে পড়েছে।
সরকারের উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ছে এবং সমর্থন ও জনমতে এর প্রতিফলন ঘটেছে। শতভাগ বিদ্যুতায়ন, আশ্রায়ন প্রকল্প, বয়ষ্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বিভিন্ন কার্ড সুবিধা পাওয়ার আওতায় এবং টিসিবি পন্য সংগ্রহের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চলমান যোগান ব্যবস্থার সাথে যুক্ত হয়েছে পদ্মা সেতুর উপকারভোগী জনগণ, পদ্মা উপর ট্রেন চলাচল ব্যবস্থা ও মেট্টোরেল, এলিভেটেট এক্সপ্রেস ওয়ে, টানেলসহ রাস্তাঘাট উন্নয়ন, ব্রিজ কালভার্ট এবং চিকিৎসায় বিশেষ করে করোনার টিকাদানে দুরদর্শী উদারতাসহ নানাবিধ উন্নয়নসহ আরো পদক্ষেপের কারণে জনসমর্থন এবং ভোটার মওজুত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছে। কিন্তু এইসকল ভোটারদের ভোটে আকৃষ্ট করে কেন্দ্র পযন্ত নেয়ার ক্ষেত্রে এখনও যথেষ্ট অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। কারণ নেতা ও কর্মীদের জনসম্পৃক্ততার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। অন্তদ্বন্ধ এবং নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্য রয়েছে। প্রকাশ্যে বা অপ্রাশ্যে এইসকল ঘটনার প্রবাহে এবং বিভিন্নরকম হয়রানীর কারণে জনগণ ভোট বিমুখতায় নিমজ্জ্বিত রয়েছে। তবে এই সকল বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে সামনে অগ্রসর হওয়ার সময় এখনও হাতে রয়েছে। তবে সরকার এবং বিরোধী পক্ষ্য উভয়ই কিন্তু এই সমস্যায় ভোগছেন। তাই জনআকাঙ্খায় মনোযোগী হউন এবং জন আকাঙ্কায় গুরুত্বারূপ করুন। ক্ষমতায় আছেন অথবা কেউ ক্ষমতায় যাবেন এই আশায় কার্যক্রম পরিচালনা না করে জনআকাঙ্খায় গুরুত্ব দিন এবং দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের চাহিদা পূরণে ও তাদের সমস্যা সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপে আগামীর নির্বাচনে জনবিস্ফোরণ ঘটাতে এখনই কাজ করুন।
জনগণের মধ্যে একটি ধারনা হয়েছে ভোট না দিলেও চলবে তাই আমি যাব না কেন্দ্রে। আবার কেউ কেউ অভিমানে কেন্দ্রবিমুখ হয়েছে। আবার কেউ নিজেদের মনোমালিন্যে কেন্দ্রবিমুখ হয়েছে। কেউ কেউ আবার নিজেদের দল দ্বারা অথবা দলের ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। আবার কেউ কেউ দলীয় কর্মী সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও দলের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে হামনা বা মামলার স্বীকারে পরিণত হয়েছে এই সকল কারণে দলবিমুখতা এমনকি নির্বাচনে কেন্দ্রবিমুখতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এইসকল বিমুখতার দিকে এখনই গুরুত্ব দিয়ে সমাধানকল্পে কাজ করুন। তাহলেই কেন্দ্রে জনতার জোয়ার বহমান থাকবে এবং নির্বাচন জনমুখী, ফ্রি, ফেয়ার এবং শতভাগ জনঅংশগ্রহন নিশ্চিত হবে। বিশ্ব দরবারে একটি নতুন ইতিহাস হয়ে স্থান দখল করবে। নতুবা চলমান দৃশ্যমানতা অব্যাহত থেকে প্রশ্নের পর প্রশ্ন এবং হিসেবের গড়মিল দিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন ও ফলাফল দৃশ্যমান হয়ে সরকারকে দুর্বল থেকে আরো দুর্বলতর করে বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে পথচলতে বাধার কারণ হবে এবং নি:সঙ্গ একলা চলো নিতিতে হাটতে বাধ্য করাবে। যা সকলের জন্যই অকল্যাণকর।
নির্বাচন নিয়ে যে খেলা চলছে তা যেন নি:লজ্জ্বতার এক উজ্জ্বল উদাহরণও হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার ও বিরোধীদলগুলো জনগণকে জিম্মি করে একি খেলায় মেতেছে? তবে এই খেলার ফল হলো এই দেশের জনগণকে বাইপাস করে বা পাশকাটিয়ে বিদেশীরাই ক্ষমতার মসনদে বসাতে দেনদরবার করছে। বিদেশীরা যদি ক্ষমতার মসনদে বসাতে পারে তাহলে এই দেশের জনগণ আর বেঁচে থাকার দরকার কি? বরং সকল জনগণ এই দেশ থেকে বিদেশে যারা জন্য রওয়ানা দিয়ে বিদেশীদেরকে এই দেশটা দিয়ে দেয়া উচিত। কথায় আছে; লিখায় আছে; মুখে মুখে আছে এবং সংবিধানে আছে রাষ্ট্রের মালিক জনগণ এবং ক্ষমতার মালিকও জনগণ। কিন্তু আসলেই কি তা? এই কথাগুলো এখন প্রশ্নবিদ্ধ! আমার ৫১ বছরের অভিজ্ঞতায় বলতে পারি ক্ষমতার মালিক সরকার এবং এর সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত ব্যক্তিবর্গরা। মোটকথা ক্ষমতাসীনরাই ক্ষমতার মালিক এবং ক্ষমতায় অধিষ্ঠিতরাই ক্ষমতার মালিক। চলমান সকল কায্যেই এটি দিবালোকের মত স্পষ্ট এবং সত্য। ক্ষমতায় আসীন ব্যক্তিরা জনগণের সেবক এই কথাটিও এখন মিথ্যায় পর্যবসীত হয়েছে। দেশী ও বিদেশী মোট কথায় পৃথিবীতে এই ইতিবাচক সত্য কথাগুলো আজ বিলুপ্তির পথে শতভাগ সফলতায় পৌঁছেছে। তবে এখন এই উপাখ্যানে এসে উপায়হীন নিরুপায় ব্যক্তির একটি বক্তব্য হলো ক্ষমতার মালিক সৃষ্টিকর্তা এবং আমি ও আপনি সকলেরই মালিক তিনি। এখানে স্থিতু হয়ে সকলকিছু মেনে নিয়ে ভবিষ্যতের আশায় ঐ মালিকের স্মরণাপন্যের দিকে ধাবিত হয়েই বাচতে হবে। এর বাইরে কোন গত্যন্তর নেই। পরিশেষে বলতে চায় সকল উন্নয়ন এখন মুখোমুখি হয়েছে এই কঠিন সত্য ও বাস্তবতাগুলোয়। তাই এই কঠিন সত্য ও বাস্তবতাগুলোকে অপসারণে মনযোগী হওন এবং উন্নয়নে সয়লাভ করুন সকল ক্ষেত্রে, সকল স্তরে। আর আগামীর ভোট ও কেন্দ্র এবং নির্বাচনকে সফলতার শতভাগ নিশ্চয়তায় ভরপুর করুন। জনতা আছে এবং ছিল ও থাকবে কিন্তু এই জনতাকে আশ্বস্ত করুন এবং বিশ্বস্ত বন্ধুর দায়িত্বটুকু পালন করুন। এইখানে মুখ্য ভুমিকা রাখবে ক্ষমা ও ভালবাসা। এই দুইয়ের সংমিশ্রনেই আগামীর মুক্তি এবং বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে বিশ্ব শান্তি কায়েম করার চলমান প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা যাবে। আসুন মনযোগী হই এবং কর্মে ও চিন্তায় এবং মননে মুখোমুখি প্রতিবন্দকতাগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে একটি সমাধান সুনিশ্চিত করি।