কথায় আছে কচ্ছপ ও খরগোসের গল্প; শিয়ালের গল্প এমনকি পিপড়ার গল্প। সবই এখন বাংলার আপামর মানুষের জানা এবং শোনা ও দেখা। তারপরও বলতে হয় এমনকি সতর্ক করতে হয় বিরোধী পক্ষকে বা শত্রু পক্ষকে ছোট ভাবতে নেই। আমাদের পরিবারে, সমাজে, কর্মক্ষেত্রে, সর্বোপরি রাষ্ট্রে এই সতর্কবানীটি এখন সময়োপযোগী বা যুগোপযোগী। তবে আপাতদৃষ্টিতে রাজনীতির মাঠের খরব এমনকি পর্দার অন্তরালের খবর সবই প্রকাশিত তবে কিছু কিছু গোপন রয়েছে; তবে আন্দাজ করার সক্ষমতায় সেই গোপন বিষয়গুলো আজ জাতির মানসপটে। খোলাসা করতে গেলে বলতে হয় বিএনপি এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত ছোট ছোট দলগুলোর এক্যবদ্ধ আন্দোলন এবং ক্ষমতায় যাওয়ার নীলনকশাকে ছোট করে দেখতে নেই এমনকি অবজ্ঞতার চোখেও দেখতে নেই বরং গুরুত্ব দিয়ে মোকাবিলা করা এমনকি যুগোপযোগী চিন্তা, পরিকল্পনা এমনকি সময়োপযোগী সিন্দান্তের আলোকে আসন্ন আগামীর সমস্যাকে সমাধান করা জরুরী। বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন এমনকি আজকের অবস্থান কিন্তু বিগত দিনের অবজ্ঞার ফসল। বিগতদিনে অবজ্ঞা এবং অবহেলা এমনকি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যসহ নানাহ মুখরঞ্জক কথা ও কাজের ফলস্বরূপ আজকের এই জন ও গণ বিস্ফোরণ।
নিমজ্জীত অবস্থায় সেই তলানীতে থাকারা আজ তিলে তিলে গড়ে উঠে শক্তি ও সাহস এবং সুযোগ বুঝে কাজে ঝাপিড়ে পড়েছে আর কি? যেই সুযোগগুলো তাদের সামনে এসেছে তা কিন্তু আমরাই করে দিয়েছি। তাই তারা আজ উদ্ভাসিত। এই উদ্ভাসিত অনুপ্রেরণায় আগামীর ক্ষমতা দখলসহ আরো অপকর্মের নীলনকশা প্রনয়ণ করে তৃণমূল থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছে। যদিও এই কঠিন সময় ও বাস্তবতাকে পাড়ি দেয়া প্রায় অসম্ভব তারপরও সম্ভবে পরিণত হতে কতক্ষণ? নিজেদের দুর্বলতা ডাকতে গিয়ে অন্যের উপর দোষ চাপানো বন্ধ করার সময় এখন। আবোল-তাবোল বকারও সময় শেষ। এখন শুধু বুদ্ধিদৃপ্ত কাজের সময় এবং সর্বান্তকরণে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সকল বাধা অপসারণ করে এগিয়ে যাওয়ার সময়। তাই গালগল্প না করে বরং কাজে মনযোগ দিন। ভাল কাজগুলোকে সামনে এনে কতিপয় খারাপ উদাহরণগুলো আমলে নিয়ে আগামীর পরিচ্ছন্নতায় এবং উন্নয়ণের ধারাবাহিকতায় অগ্রসর হউন। নতুবা দিনে দিনে বিপদ আরো ঘণীভূত হবে।
বর্তমানে বাংলাদের রাজনীতিতে নতুন এক শক্তির অদ্ভোদ্বয় ঘটেছে। আর এই শক্তির নাম হলো গনতন্ত্র রক্ষায় অগণতান্ত্রিক আচরণের মাধ্যমে উড়ে এসে জোড়ে বসে গায়ে মানেনা আপনি মোড়ল সেজে বাংলাদেশেকে নিজেদের একটি দ্বীপাঞ্চল ভেবে বিভিন্ন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। খবরদারী করছে যা খুবই লংগিত ভদ্র ভাসায় এবং মার্জিত আচরণের নিলজ্জ্ব অমার্জিতের বহি:প্রকাশে। যদিও তারা নিজেদেরকে ত্রাতা বা পৃথিবীর মালিকানার দাবিদার ভেবে সকল কিছুতে নাক গলিয়ে চলে এবং বিশ্বে অনৈরাজ্যমূলক এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজমান রেখেছে। এখানে আবার শতিনের লড়াই খ্যাত বাকযুদ্ধ এবং কৌশলী যুদ্ধ পরিচালনা করছেন এবং বিভিন্ন নাটক সাজিয়ে বিভিন্ন আবরণে সাজিয়ে বহুধাবিভক্ত নামকরণে প্রকাশ করছেন। ঐ শক্তিধর শতিনরূপী মিষ্টভাষী শত্রুর প্ররোচনায় এমনকি তাদের অতি উৎসাহি আশায় আমাদের দেশীয় নেতিবাচক এবং ইতিবাচক কিছু দল এবং গোত্র ও মানুষ একসঙ্গে হয়ে বিভিন্ন কর্মসূচী ও পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে কার্যক্রম পরিচালিত করে যাচ্ছেন। এদেরকে আমরা সবাই জানি এবং চিনি; তারা দৃশ্যমান কখনো কখনো আবার অদৃশ্যমান হয়েও ছোবল মারার চেষ্টা করে। তবে ভয়ের কোন কারণ নেই কারণ তারাও মানুষ। তাদেরও ভয় আছে এবং মৃত্যু ও শেষ বিচার আছে। কখনো কখনো সমস্যার গভীরতা ঘূর্ণায়মান অবস্থায় থাকে আবার কখনো কখনো ঐ গভীরতার মধ্যে তাদেরই জীবনাবসান এবং পরিকল্পনার অবসান ঘটে। তাই এখন প্রত্যাশিত অবসানের দিকে দৃষ্টি দিয়ে অগ্রসর হয়ে অপ্রত্যাশিত ও অনভিপ্রেত কিছু না ঘটুক সেই কামনা করি।
যুক্তরাষ্ট এবং তাদের মিত্ররা যেভাবে একটি স্বাধীন দেশের উন্নয়নকামী জনতার উপর হামলে পড়েছে এবং পড়তে যাচ্ছে তাতেই আমরা শংকিত। এই অশনিসংকেতবাহী জলোচ্ছাসকে বয়ে বেড়াচ্ছে আমাদের দেশীয় অতিলোভী মুনাফাখোর ব্যবসায়ীক রাজনীতিবিদরা। কারন তাদের ইচ্ছা ও অভিপ্রায়ই ক্ষমতা এবং অর্থ ও বিত্ত্ব। তাই অর্থ ও বিত্ত্ব যেভাবেই আসুকনা কেন তা তাদের মুল্যবোধ জাগ্রত বিবেকের বিষয় নয় বরং আসাতেই তাদের ইচ্ছা ও অভিপ্রায়ের ফসল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে তাদের এই লোভ নিয়ে কিতাবের একটি আয়াত মনে পড়ে- “তোমাদের (মানুষের) দিলের কামনাই তোমাদেরকে ফাঁদে ফেলে, সেই কামনা পূর্ণ হলে লোভের জন্ম হয় এবং লোভ পূর্ণ হলেই পাপের জন্ম হয়’ আর পাপের পরিপূর্ণতা অর্জন হলেই তোমাদের মৃত্যু হয় (রূহানীক)। হঁ্যা এই অবস্থায় এখন চলমান আন্দোলনকারীরা এমনকি সরকারও প্রকারান্তওে জড়িয়ে পড়েছে। তবে এখনই সময় উভয়কেই ঐ লোভকে বিসর্জন দিয়ে পাপমুক্ত থেকে মুত্যুকে পরাজিত করার। মৃত্যুকে পরাজিত করতে পারলেই আগামীর কল্যাণ সাধন অবধারিত। সুনিশ্চিত নিশ্চয়তার এবং নিরাপত্তার ও উন্নয়ন এবং অগ্রগতির ক্রমবর্ধমান ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার। তবে অযাচিত ঐ নিলজ্জ্ব ও বেহায়াপনার মহড়া বন্ধ করার ব্যবস্থা করতে হবে নতুবা তারা আরো বেপোরোয়া হয়ে যাবে। তাদের সহায়তাকারীরা এমনকি পরামর্শকগণ নতুন নতুন চিন্তার আলোকে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বহি:প্রকাশ ঘটাবে। আসুন সকলে মিলেই আমাদের সমস্যার সমাধান করি এবং সকলে মিলেই শান্তি ও আনন্দ এবং নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা উপভোগ করি।
হিংসা বিদ্ধেস এবং ছোট বড় ভেদাভেদের সময় এখন নয় বরং নিজেদেরকে আরো ছোট করে সেবকের ভুমিকায় অবতির্ন হওয়ায় আমাদের সকলের বিবেচ্য বিষয় হউক। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আশায় অতি লোভে আর নিজেদেরকে জড়িত না করি। ছোট ছোট বিষয় ও কৃতকর্মে জড়িয়ে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করি মানব কল্যানের তরে। সৃষ্টির কল্যাণে এবং সেবায় নিয়োজিত হই সমস্ত অন্তকরণে। এইক্ষেত্রে একটি ধনী যুবকের গল্প দিয়ে শেষ করি:- হুজুর অনন্ত জীবন পাবার জন্য আমাকে ভাল কি করতে হবে? উত্তরে বললেন “ ভালোর বিষয়ে কেন আমাকে জিজ্ঞাসা করছ? ভাল মাত্র একজনই আছেন আর তিনি হলেন সৃষ্টিকর্তা। যদি তুমি অনন্ত জীবন পেতে চাও তবে তাঁর সব হুকুম পালন কর।” সেই যুবকটি বলল কোন কোন হুকুম? “খুন করো না, জেনা করো না, চুরি করো না, মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ো না, পিতা-মাতাকে সম্মান করো আর তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত মহব্বত করো।” এই হুকুমগুলোই পালনে ব্যতিব্যস্ত হউ। আরো লিখব তার পরের গল্প।