আসছে নির্বাচন এবং একাধারে চলছে আন্দোলন। এই দুইটি একসঙ্গে চলতে পারে না। তবে এই দুইটি একসঙ্গে চলার বহু যৌক্তিক কারন আছে এবং অতিতেও চলেছিল। বর্তমানের যৌক্তিক কারণ কি তা স্পষ্ট নয়। একদিকে সংবিধান এবং অন্যদিকে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম। এই দুইয়ের মধ্যে সংঘর্ষে সংবিধানই জয়ী হবে এবং অতীতেও হয়েছে। তবে এবার একটি কথা বলা যায় নির্বাচন এবং নির্বাচনী যুদ্ধে যদি উভয়েই লিপ্ত হয় এবং সেখানে বিশৃঙ্খলা ও ধ্বংসাত্মক কিছু ঘটে তাহলে সেটিকে নির্বাচন ও তফসিলের একটি অংশ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। কিন্তু বর্তমানের দৃশ্যমানতাকে কোনভাবেই গ্রহণ করা যায়না এমনকি কাম্যও নয়। দৃশ্যমান আন্দোলনে পরিসমাপ্তি টানা এখন ফরজে আইনে পরিণত হয়েছে। নতুবা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দ্বায়ভার নিয়ে রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়ার শতভাগ নিশ্চয়তা রয়েছে। যেহেতু সময়ের ও যুগের পরিবর্তন হয়েছে সেহেতু পুরোনো ও ঘুণেধরা এবং পরাজিত ও পরাভুত চলমান আন্দোলনের কোন যৌক্তিকতা নেই। বরং এটি হাস্যকর এক উপাদানে পরিণত হয়েছে। তবে অচিরেই জনঅসন্তোষে এমনকি জনবিস্ফোরণে এই নির্জিব নির্বোধদের ধ্বংসাত্মক আন্দোলন অকার্যকর হয়ে আন্ধকারে বিলিণ হয়ে চিরতরে বাংলা ও বাঙ্গালীর মনন থেকে নি:শেষ হবে।
সময় এখনও আছে ফিরে আসার এবং রাজনীতিকে রাজনীতি এবং সকল মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করে মানব কল্যাণে নিয়োজিত হওয়ার। তাই আমার আহবান ফিরে আসুন আলোতে এবং নিয়োজিত হওন মানব কল্যানে। অপরদিকে এও বলতে চাই যারা বর্তমানে মানব কল্যাণে নিয়োজিত তারাও তাদের ভুলত্রুটিগুলো খুজে বের করে আর গভীর মনযোগী হয়ে মানব সেবাব নিবেদিত থাকুন।
প্রশাসন এবং জনগণ উভয়ে মিলেই আসন্ন নির্বাচনকে সফলতায় পর্যবসিত করুন। জনকল্যাণে উভয়োই সচেতন ও সজাগ থেকে কাজ করুন। জনঅসন্তোসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হউন। আইন, আদালত এবং মানুষের বিবেক কে সর্বদান জনকল্যাণে জাগ্রত রাখুন। মুখে বড় করা না বলে নম্র ও ভদ্র এবং ক্ষমা এবং ভালবাসায় পরিপূর্ণ হয়ে জনতার সেবকে পরিণত হউন। আমাদের আকাঙ্খা ও অভিপ্রায় হলো খোদা তায়ালার দৃষ্টিতে একজন পরিপূর্ণ সেবকের ভুমিকার অবতির্ণ হওয়া। যা বর্তমানের অনুপস্থিতির একটি দৃষ্টান্ত যা ঘুচিয়ে দেয়ার দায়িত্ব এবং সৃষ্টিকর্তাকে সুপ্রতিষ্ঠিত বা পুনপ্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব এখন আমার ও আপনার। আসুন আমরা সেই দায়িত্বটুকু সম্পাদনে নিবেদিত হই এবং খোদা তায়ালার সাহায্য নিয়ে সামনে এগিয়ে যায়।
ভোটের সময় সততা ও ন্যায়পরায়নতা এবং সার্বজনীন কল্যাণের তরে সুদুর প্রসারি চিন্তার বহিপ্রকাশ ঘটানোর কাজে মনোনিবেশ করুন। ব্যক্তিস্বার্থ্য নয় বরং সামগ্রীক ও সার্বজনীন কল্যাণের তরে কাজ করুন। ধংসাত্মক কর্মকান্ড ছেড়ে গঠনমূলক এবং অগ্রসরমান কাজে মনোনিবেশ করুন। আপনার আগামীর জন্য একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত এবং পরিচ্ছন্ন সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করুন। এই নির্বাচনকে আশির্বাদের নির্বাচন হিসেবে সফলতায় পৌঁছে দিন। নির্বাচনের মাধ্যমে আগামীর কল্যাণ সুনিশ্চিত করুন। বাধা-বিপত্তির মাঝে যে উন্নয়ন লুকায়িত তা পরখ করুন। নিজের জন্য নয় বরং অন্যের জন্য কাজ করুন। নিজে বাচুন এবং অন্যকে বাঁচতে সাহায্য কররুন।
আন্দোলন হউক অহিংস এবং উন্নয়ন আর সার্বজনীন কল্যাণের তরে। পলাতক জীবন ও পালিয়ে বেড়ানোর মাধ্যমে কোন আন্দোলন হয় না। আর যা হয় তা হলো সন্ত্রাস এবং আন্ডার গ্রাউন্ড রাজনীতি তাই এই দুটি শব্দই নেতিবাচক এবং মরণঘাতি। তাই এর থেকে বের হয়ে আসুন। নতুন নতুন পদ্ধতির অহিংস আন্দোলনে নিজেদেরকে নিয়োজিত করুন। একটি উদাহরণ দিতে পারি কিন্ত এই উদাহরণে হতাশ বা কষ্ট পাবেন না এমনকি মজাও নিবেন না। যেমন- প্রত্যেকে চুড়ি পড়ে বাসায় কাথামুড়ি দিয়ে লূকিয়ে থাকুন আর ঘরের নারি এবং মেয়েদের বস্ত্রহীনভাবে নিরব প্রতিবাদের জন্য রাজপথে নামিয়ে দিন। তাহলে নতুন ফর্মূলায় আন্দোলন ফলপ্রসু হবে। কারণ লজ্জ্বা ও অবলা নারীদের অহিংস আন্দোলনে সরকার বা বিবেকবান মানুষজন দাবি পুরণের জন্য অতি অল্প সময়ের মাধ্যেই কার্যসিদ্ধ হবে।
সৃষ্টিকর্তার নিকট দোয়া করি যেন সকলের জ্ঞান ফিরে আসুক এবং খোদা প্রদত্ত জ্ঞানের আলোকে নিজেদেরকে সৃষ্টির কল্যাণে নিবেদিত করুক।