প্রশান্তি ডেক্স ॥ আসছে নির্বাচনে সারাদেশের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা-আখাউড়া নির্বাচনী এলাকা ৪ এর হাওয়া উত্তাল হয়ে উঠেছে। যদিও শিতের আমেজে উত্তাল হাওয়ায় কোন কমতি পরিলক্ষিত হয়নি। কসবা-আখাউড়া নির্বাচনী এলাকায় দলীয় মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে মোট ৭ জন। তবে নিশ্চিতভাবে বলা যায় এখানে দলীয় (আওয়ামী লীগ) প্রার্থী হবেন একজন। আর তাও সুনিশ্চিতভাবে বলা যায়; তিনি আর কোউ নন তিনি হলেন এডভোকেট আনিছুল হক (শ্যানন) সাহেব। তাঁর বিপরীতে বর্তমানে তিনি নিজেই। তিনি নিজেকে এই জায়গায় দাঁড় করিয়েছেন; তাঁর সততা, আন্তরিকতা, মেধা ও মননে এবং উন্ন্নয়নের ধারাবাহিক ক্রমোন্নতিতে। দেশ সেবার উজ্জ্বল দৃষ্টান্তের বাস্তব আবরণে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং কসবা-আখাউড়াকে দেশবাসির সামনে তিনি নতুন করে পরিচয় করিয়েছেন এবং আদায় করেছেন মর্যাদার অলংকরণ। তাঁর উন্নয়নের ছোয়া অত্র এলাকার এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে খুজে পাওয়া যাবে না। শতভাগ বিদ্যুৎ, আশ্রায়নের সর্ববৃহত পরিসরের দৃশ্যমান বাস্তবতা, রেল এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা, গ্রামীন রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদরাসা এমনকি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী অথবা সর্বদলীয় ধর্মীয় সংস্কার ও উন্নয়ন সাধণে তাঁর ভুমিকা অনন্য। দল গোছানো এবং পরিচালনায় তিনি অনন্য। রাজনীতির নীতিতে পরিবর্তন আনয়নকারী এমনকি রাজনীতির শিক্ষক হিসেবে তিনিই অনন্য হিসেবে দল মত সহ সর্বস্তরের জনতার কাছে স্বীকৃত। তিনি একটি স্বচ্ছ ও স্বাধীন এবং উন্নয়নকামী মানুষ হিসেবে ব্যান্ড। তাঁর হাত ধরে কসবা আখাউড়ার মান মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আগামীতেও পাবে এই বিশ্বাস এবং বাস্তবতায় সকলেই বিশ্বাসের সহিত আস্থাশীল।
আরো যারা দলীয় মনোনয়ন নিয়েছেন তাদের কেউ কেউ স্ব স্ব অবস্থান থেকে মানবতার কল্যাণে কাজ করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। তবে ঐ সকল কাজ ব্যক্তিগত। তাদের সকল ব্যক্তিগত কাজ আনিছুল হকের কাজের ধারে কাছেও নেই। কারণ আনিছুল হক ব্যক্তিগত এবং সরকারের উন্নয়নের অগ্রাধীকার ভিত্তিতে নিজ নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়ন জোয়ারে স্মার্ট উন্নয়নকামী ব্যীক্ত হিসেবে দৃশ্যমান রেখেছেন। চাকুরী প্রদানে তিনি অনন্য এবং ব্যক্তিগত সহায়তা এমনকি খোজ খবার রাখার কাজে তিনি অভিভাবকত্ত্ব নিয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই তিনি ঐ এলাকার অভিবাভক। এলাকার জনগণ তাঁর জীবদ্দশায় উপকারের প্রতিদান দিতে মরিয়া হয়ে নিশ্চিত বিজয় বার বার উপহার দিবেন।
জনাব আনিছুল হক সাহেবের বর্তমানে পৃথিবীতে আপনজন বলতে তাঁর ভাগিনা এবং ভাইয়ের ছেলে-মেয়েরা রয়েছে। স্ত্রী, মা-বাবা, ভাই-বোন হারানো আনিছুল হক বর্তমানে তাঁর পরিবার বলতে বোঝান কসবা-আখাউড়ার জনগণকে। আর এই জনগণকে নিয়েই তাঁর সকল চিন্তা, পরিকল্পনা এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। তার ভাগিনা কাছে থাকলেও ভাইয়ের ছেলে-মেয়েরা আমিরীকাতে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। তাই ভাগিনাকে নানা সিরাজুল হক এবং মামা আনিছুল হকের আদলে তৈরী করে যাওয়া এবং এলাকাবাসী সেবা করে সুখে দু:খে পাশে থেকে বাকি জীবন অতিবাহিত করতে তিনি বদ্ধ পরিকর।
একটি কথা বলা দরকার যে, দলীয় মনোনয়ন একেবারে শতভাগ নিশ্চিত জেনেও যারা ওনার আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন তাদের বিভেক এমনকি দলীয় ঐক্য অথবা শ্রদ্ধা ও সম্মান এই বিষয়গুলোতে জ্ঞানের অভাব আমার কাছে পরিলক্ষিত হয়। কি প্রয়োজন ছিল ঐ সাত ব্যক্তির নমিনেশন নেয়ার। কেন ওনারা জনাব আনিছুল হকের সঙ্গে কথা বলেননি। অথবা নিজেদের মনের ইচ্ছা বা খায়েশ প্রকাশ করেননি? তাদের দুর্বলতা এবং অশ্রদ্ধা আগামী দিনে তাদের জন্য ঐ একই ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে আমি বিশ্বাস করি। কসবা-আখাউড়ার জনগণ ঐ সাতজনের একজনকেও ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার পক্ষে নন বরং আনিছুল হক সাহেবের পক্ষে শতভাগ মানুষ থাকার পরও ঐ দু:সাহস একজন সম্মানী মানুষকে ক্ষেয় করার লক্ষ্যেই করা বলে ধরে নেয়া যায়। তবে আমি একটি কথা বলতে পারি; যদি আমি এবং ঐ ৬জন নির্বাচন করি তাহলে তাদের চেয়ে বেশী ভোট পেয়ে আমি জয়যুক্ত হবো (কমপক্ষে আমার নিজস্ব ৫ থেকে ৬ হাজার ভোট রয়েছে)। কিন্তু আমি জনাব আনিছুল হক সাহেবের জোয়ারে ভেসে গিয়ে জামানতও হারাতে পারি। এখন আপনারা বোঝেন দলীয় মনোনয়ন তুলা বাকি ছয়জনের অবস্থা কি?।
একটি আওয়াজ এবং যুগের চাহিদা হলো আনিছুল হক সাহেব বার বার কসবা-আখাউড়া তথা বাংলাদেশের দরকার। তার জন্য সকল মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার যোগফল হলো আগামী নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ। যদি নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহন সুনিশ্চিত হয় এবং গত কসবা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আদলে নির্বাচনও হয় তাহলে আমি বলতে পারি আনিছুল হক সাহেব শতকরা ৭০%ভাগ ভোট পেয়ে জয়লাভ করবেন। এটাও বলা যায় যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যদি সারা বাংলাদেশে একটি আসনও লাভ করে আর সেটি হবে আনিছুল হকের মাধ্যমে কসবা-আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪) আসনটি।
আসুন আমরা সকলে ব্যক্তি স্বাথ্য এবং মতের অমিল দুর করি। দলীয় স্বার্থ এবং স্বজ্জ্বন ব্যক্তিকে চলমান উন্নয়ন ধরাবাহিকায় অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করি। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় দেশ সেবা করার সুযোগ সুনিশ্চিত করি। জয় বাংলা, জয় আসন্ন নির্বাচনের। জয় সকল অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে।