বাংলাদেশ এখন ভাসছে নির্বাচনী আমেজে তবে এই আমেজে শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছেনা অদৃশ্য পর্দার আড়ালের ষড়যন্ত্র এমনকি দেশীয় লোভীদের ডাকা নৈরাজ্যমুলক অবরোধের কারণে। আজ এই লিখাটি লিখতেও নিজেকে নিয়ে অনেক গভেষনা করতে হয়েছে। নিয়ম এবং সংবিধান এই দুইয়ের আলোকেই আসন্ন নির্বাচন। যা নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে দৃশ্যমান রয়েছে। তবে এই দেশের শতকতা ৭০ভাগ মানুষ এখন নির্বাচনী জোয়ারে ভাসছে কিন্তু বাকি ত্রিশভাগ মানুষ দোদল্যমান অবস্থান নিয়ে দোটানায় রয়েছে। এই ত্রিশভাগের মধ্যে আবার আন্দোলনরত পলাতকগণও রয়েছেন। তবে তারা নিজেরাও এখন দোটানায় পড়ে নিজে নিজের সঙ্গে যুদ্দে লিপ্ত রয়েছেন। এই ত্রাহী ত্রাহী অবস্থায় জনগণের যে সম্মান ও গুরুত্ব তা বিলুপ্তির পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে। আগমীতে জনগণের মুল্য আরো কমে যাবে রাজনীতির ময়দানে এমনকি সরকার ও সরকারী কর্মকর্তাসহ মন্ত্রী এমপিদের কাছে। আর এর জন্য দায় সম্পূর্ণ বর্তায় বর্তমানে আন্দোলনরত পলায়নকারীদের উপর।
কিসের জন্য আন্দোলন; কাদের প্রয়োজনে আন্দোলন, কার নের্তৃত্বে আন্দোলন এই বিষয়গুলো এখন জনগণ ভালভাবে বুঝেগেছে। সুতরাং জনগণ এই আন্দোলনের পক্ষে আর থাকতে চাচ্ছে না বরং জনগন আন্দোলন বিমুখ হয়ে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে জনবিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধুলায় মিশানোর কাজে অগ্রসর হচ্ছে। তখন আর আইন ও আদালত কাউকে রক্ষা করতে পারবে না। কারণ জনতার আদালত বড়ই নির্দয় এবং নির্মম আর এর বিচার বড়ই ন্যায়পরায়ন এমনকি কঠিন বাস্তবতার রূঢ়রূপ। আন্দোলনকারীরা যে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সেই আন্দোলনের সঙ্গিরা দিন দিন ফিরে আসছে নির্বাচনী ময়দানে। এতে করে কি প্রমানিত হয়?
আজ যারা আন্দোলন করছেন তারা জনগণের কল্যাণের জন্য আন্দোলন করছেন? কই সেই প্রমান? তাড়াতো জনগণের ক্ষতি সাধন করে জনগণকে নিস্পেষিত করে; নি:স্ব করে যাচ্ছেন। জনগণের রুটি রোজগারে বাধা দিচ্ছেন, জনগণের সম্পদ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়খার করে দিচ্ছেন; পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সম্পদও ধ্বংস করে দিচ্ছেন; সর্বোপরি তারা মানুষের জীবন নাশ করে জনগণ ও জনতা, মানবতা ও মানবিকতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। এই কি রাজনীতির আদর্শ এবং জনকল্যাণে নেয়া পদক্ষেপ? তাহলে কেন জনগণ তাদেরকে সমর্থন দিবে? যাদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছেন সেই ক্ষমতালিপ্সুরা সকলেই জামানত হারানো ব্যক্তিদ্বয় যারা কিনা নিজের ভোট ব্যতিরেখে কারো ভোট আশা করতে পারেন না। এমনকি কোন মানুষ তাদেরকে ভোটও দেবেন না। তবে বিএনপি তাদের ছায়া বা ঢাল হলে সেই বিএনপির ভোটের উপর ভর করে আজ বড় গলায় আওয়াজ তুলেছেন। কিন্তু বিএনপির সেই ভোট ব্যাংক এখন শুন্যোর কোটায় এসে ঠেকেছে। উন্নয়ন এবং অগ্রগতি আর বিরোধীদলের নেয়া ভুল কর্মকান্ডই এর জন্য দায়ী।
বাস্তবে এবং গ্রামের প্রাচীন প্রবাদটি হলো বর্তমানের জন্য উপযুক্ত: “ওলোর পাখ উঠলে আগুনে পড়ে মরে”। কথাটি শতভাগ সত্য। আমরা দেখেছি ওলোর পাখ গজায় এবং আলোর কাছে এসে লাফালাফি করতে শুরু করে। কিন্তু কিছুক্ষণ পড় সেই পাখ দেখ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং কেউ মরে কেউবা কারো খাবারো পরিণত হয়ে জীবনের বারোটা বাজিয়ে মৃত্যুর মধ্যেদিয়ে নি:শেষ হয়ে যায়। পা খবা পাখনা গজানোর পর কেউ আর বেশীক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে না। ঠিক একই দশা এখন ঐ জোটবন্ধ আন্দোলনকারীদের। এই কথাটি বুজে ও জেনে বা বাস্তবতা আন্দাজ করতে পেরে অতি চালাক প্রকৃতির দলগুলো এমনকি নিজ দলের মানুষগুলো জোট এবং দল থেকে বের হয়ে এসে বাস্তবতার সঙ্গে মিলে মিশে নির্বাচনী জোয়ারে ভাসছে। কথা হলো নির্বাচনের সময়ে এই নির্বাচন বিমুখতা একটি দলকে বিলুপ্তির শেষ প্রান্তে পৌঁছাতে সাহায্য করে। তবে বিএনপির ক্ষেত্রে এই বিলুপ্তিই এখন কাম্য। আমি চাই তারা তাদের ভুল থেকে ফিরে এসে দল এবং দলীয় লোকদের জীবন ও কর্মকে বাঁচিয়ে রাখতে ভুমিকা রাখবে। তবে তাদের ভুল চিন্তা ও পরিকল্পনা এবং একদফার দাবি শতভাগে ভুলেভরা এবং নেহায়তই একটি শিশুশুলভ আচরণ মাত্র। বিএনপি তথা তাদের জোটগত আন্দোলন সরকার পরিবর্তন এমনকি পদত্যাগ করানোর মতো কোন কাজের ২% ভাগও সাধন করতে পারেনি। বরং নিজেদের ক্ষতি করতে তাহাদ্বারা তাহারা শতকরা ৫০% ভাগই সম্পন্ন করেছেন। আর ঐ বোকামির স্বর্গে বসে পালিয়ে বেড়ানোজন বাকি ৫০%ভাগ বিনষ্ট করছেন জনগণের বিরুদ্ধে অবরোধ ডেকে এবং নির্বাচনের বাইরে থেকে।
নির্বাচন শুরু হয়েছে এবং আনন্দঘন পরিবেশে শতভাগ স্বচ্ছ ও জবাবদিহীতার আওতায় শেষ হবে এমনকি বিশ্বদরবারে এর স্বীকৃতিও শতভাগ নিশ্চিত হবে। তাই হতাশায় নিমজ্জ্বিত থেকে শান্তি, আনন্দ, নিশ্চয়তা আর নিরাপত্তায় বাধা না হয়ে নিজেও শান্তিতে থাকুন, নিরাপদে থাকুন, আনন্দে নিশ্চয়তা নিয়ে বাঁচুন এবং অন্যকেও ঠিক একইভাবে রাখুন। এই আহবান, কামনা এবং বাসনা বাংলার আপামর জনসাধারণের। আমি মোনাজাত করি সকলের জন্য যেন আল্লাহ সকলের অন্তরে শান্তি ও নিশ্চয়তা এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন। কারণ তাঁর কাছেই আমাদের সকলকে ফিরে যেতে হবে। আল্লাহই পারেন সকল কিছু ঠিক করে তাঁর ইচ্ছা ও অভিপ্রায় বাস্তবায়ন করতে।