ঠিক ৮ বছর আগে এই দিনেই যাত্রা শুরু করেছিল আজকের প্রশান্তি। যাত্রারম্ভে প্রশান্তির মুল লক্ষ্য ছিল সততা ও ন্যায় পরায়নতা এবং স্বচ্ছতা আর জবাবদিহিতার। তবে এই ক্ষেত্রে গুনগান প্রকাশ আর সংশোধনের লক্ষ্যে পরামর্শ দেয়াই ছিল এই পত্রিকার মূল লক্ষ্য। আরো বলতে পারি “ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে” ে¯্লাগানের যাত্রা শুরু হয়েছিল যা অব্যাহত আছে এবং থাকবে।
এই পত্রিকাটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিজ অর্থায়নে গ্রাহকের দৌঁড়গোড়ায় পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছি। কোন প্রকার অর্থ ছাড়াই সম্পূর্ণ সেবার মানুষিকতায় এই পত্রিকাটির যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। কারো কাছ থেকে অর্থ নেয়া এবং কাউকে অর্থ দেয়া থেকে বিরত থাকা এবং রাখাই এই পত্রিকা প্রকাশের মূলমন্ত্র।
বিগত ৮টি বছর অনেক চড়াই – উৎরাই পার করে সততার উপর দাঁড়িয়ে প্রশান্তি টিকে রয়েছে। সত্য যেভাবে পৃথিবীতে টিকে আছে ঠিক সেইভাবেই এই পত্রিকাটিও টিকে আছে এবং থাকবে। তবে অনেক অপমান ও নির্যাতন সইতে হয়েছে গত ৮টি বছর। কিন্তু দিনের শেষে এমনকি ধৈয্যের চুড়ান্ত পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সত্যের জয় প্রত্যক্ষ করেছি।
পত্রিকাটিতে যারা যারা সংবাদ পাঠিয়ে যাচ্ছেন এবং ভবিষ্যতে যারা পাঠাবেন তারা পত্রিকাটির নীতি ও আদর্শের সঙ্গে মিল রেখে নির্ভয়ে কলম চালিয়ে সত্যের যাত্রা অব্যাহত রাখবেন। সৃষ্টিকর্তা আপনাদের সকলের সঙ্গে থাকবেন।
পাঠক হিসেবে যারা আজও এই প্রশান্তির সঙ্গে রয়েছেন আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ এবং আপনাদের উৎসাহ ও উদ্দিপনাই প্রশান্তির এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আপনাদের সহমত, পরামর্শ এবং দিকনির্দেশনাই আগামীতে এই প্রশান্তিকে বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে সহায়তা করবে।
আমার অবর্তমানেও এই প্রশান্তির যাত্রা অব্যাহত রাখতে আপনাদের সহযোগীতা ও পরামর্শ কামনা করছি। পরিশেষে আপনাদের দীর্ঘায়ূ, সুস্বাস্থ্য এবং মঙ্গল কামনা করে এই প্রশান্তির চির অম্লান বাণিটি বলে বিদায় নিচ্ছি –“যা সত্য যা উপযুক্ত যা সৎ যা খাঁটি যা সুন্দর যা সম্মান পাবার যোগ্য, মোট কথা যা ভাল এবং প্রশংসার যোগ্য সেইদিকে তোমরা মন দাও।” … তাজুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক।