ভজন শংকর আচ্র্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন- কে নিবার্চনে আসবে কে আসবে না এটা মূল কথা নয়। প্রকৃত কথা হলো নির্বাচনে জনগনের পার্টিসিপেশন। জনগন নিবার্চন চায়। বিরোধী কটি দল নিবার্চনে অংশগ্রহন না করলে নিবার্চনের সমস্যা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী উপরোক্ত কথা বলেন।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে সহকারী রিটানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষে সাংবাদিকদের সংগে আলাপকালে তিনি আরো বলেন, আমি গত দশ বছর কসবা-আখাউড়ার মানুষের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছি। জনগন আমার সাথে আছে।
এর আগে কসবা পৌর মুক্ত মঞ্চে বিশাল গণজমায়েতে পৌর মেয়র ও আওয়ামীলীগ সহ- সভাপতি এম. জি হাক্কানীর সভাপতিত্বে দলীয় নেতা সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি ২০১৪ সালে নিবার্চিত হওয়ার পর আপনারা আমার নিকট কসবা-আখাউয়ার উন্নয়ন চেয়েছেন। আমি তা করেছি। আপনারা বিজনা নদীর উপর মহেশ ভট্রাচার্যের সেতুর পরিবর্তে আধুনিক সেতু চেয়েছেন, শতভাগ বিদ্যুৎ চেয়েছেন আমি তা করতে পেরেছি। এলাকার প্রায় দু’হাজার ছেলে-মেয়ের সরকারী চাকুরী দিয়েছি। স্কুল, কলেজ, মডেল মসজিদসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে।
২০০২ সালে আপনাদের প্রিয় নেতা আমার বাবা প্রাক্তন এম. পি এডভোকেট সিরাজুল হক মারা যাওয়ার পর জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বঙ্গ বন্ধু হত্যা মামলা ও জেলহত্যা মামলার দায়িত্ব দেন। ২০১৪ সালে আমি সাংসদ ও আইনমন্ত্রী হওয়ার পর একমাত্র ভাই, মা, বোন সবাই মারা যায়। আমার ওই কঠিন সময়ে আপনাদের ভালোবাসা না পেলে আমি সেবা করার শক্তি পেতাম না । কসবা -আখাউড়ার জনগন ছাড়া আমার আর কেউ নেই। আপনাদের ভালোবাসা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্নেহের নিকট আমি কৃতজ্ঞ । আপনারা সবাই প্রধানমন্ত্রী ও আমার জন্য দোয়া করবেন।
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্ত্য রাখেন ; উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এডঃ রাশেদুল কাওছার ভূইয়া জীবন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি কাজী মোঃ আজহারুল ইসলাম, রুহুল আমিন ভ’ইয়া বকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম সোহাগ, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন, জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান এম এ আজিজ, পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি শফিকুল ইসলাম সরকার, উপজেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক মোঃ আফজাল হোসেন রিমন ও যুগ্ম-আহবায়ক কাজী মানিক প্রমুখ।