প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেক্স ॥ রাশিয়ার বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা এসভিআর-এর প্রধান সের্গেই নারিশকিন বলেছেন, ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমা সমর্থন চলমান সংঘাতকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য দ্বিতীয় ভিয়েতনামে পরিণত করবে। গত বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) তিনি এই মন্তব্য করেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সের্গেই নারিশকিন এক নিবন্ধে বলেছেন, ইউক্রেন একটি অন্ধকার গহ্বরে পরিণত হবে, যা আরও সরঞ্জাম ও মানুষকে গিলে খাবে। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র নিজের জন্য আরেকটি ভিয়েতনাম তৈরির ঝুঁকি নিচ্ছে। মার্কিন প্রশাসনের সবাইকে এর দায় নিতে হবে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। দীর্ঘ এই যুদ্ধে উভয়পক্ষে লাখো সেনা ও বেসামরিক নিহত হয়েছেন। এটি গত ছয় দশকের মধ্যে রাশিয়া ও পশ্চিমাদের মধ্যে বৃহত্তম সংঘাত।
ইউক্রেনকে ২৪৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের ত্রাণ ও অস্ত্র দিয়েছে। কিন্তু জুন মাসে শুরু হওয়া ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ ব্যর্থ হয়েছে। ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ ভূখন্ড রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করে বলেছিলেন, ন্যাটো-রাশিয়ার সরাসরি সংঘাত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত ঘটাতে পারে। ইউক্রেনে মার্কিন সেনা মোতায়েনের বিষয়টি একাধিকবার প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ছিল পূর্ব ও পশ্চিমের শীতল যুদ্ধের প্রভাব। এতে দক্ষিণ ভিয়েতনামের পক্ষ নিয়ে কমিউনিস্ট চীন ও সোভিয়েত ইউনিয়ন সমর্থতি উত্তর ভিয়েতনামের সঙ্গে লড়াই করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
এই যুদ্ধে কয়েক লাখ মানুষ নিহত হয়েছিল। ১৯৭৫ সালে উত্তর ভিয়েতনাতের জয়ে ও যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয়ে এই যুদ্ধের অবসান হয়। ভিয়েতনামে ৫৮ হাজারের বেশি মার্কিন সেনা নিহত হয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে যুদ্ধবিরোধী শক্তিশালী প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে ওঠে।
গত বুধবার ইউক্রেনকে সামরিক সহযোগিতা সরবরাহের বিষয়ে রিপাবলিকানদের কাছে নতুন করে আহ্বান জানিয়েছেন বাইডেন। তিনি বলেছেন, পুতিন ইউক্রেনে জয়ী হলে সেখানেই থামবেন না। তিনি ন্যাটো মিত্র দেশে আক্রমণ করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, তখন আমাদের এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে যা আজ ঘটছে না: রুশ সেনাদের সঙ্গে লড়াই করছে মার্কিন সেনারা।