প্রশান্তি ডেক্স ॥ বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের জাতীয় মজুরি নীতি প্রয়োজন। শক্তিশালী শ্রম আইন ও এর বাস্তবায়ন ওয়াশিংটন ও ঢাকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং বাংলাদেশে কর্মরত মার্কিন কোম্পানিগুলোর একটি স্থিতিশীল ও পূর্বাভাসযোগ্য পরিচালন পরিবেশকে সমর্থন করার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
গত বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ কটন ডে ২০২৩’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাস এ মন্তব্য করেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, তৈরি পোশাক খাতের জন্য সাম্প্রতিক ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনা ‘একটি বস্তুনিষ্ঠ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রমাণভিত্তিক’ জাতীয় মজুরি নীতির বাস্তব প্রয়োজনীয়তাকে নির্দেশ করেছে। এটি গার্মেন্টস শ্রমিকদের গুরুতর অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো মোকাবিলা করবে।
তিনি বলেন, ওয়াশিংটন আরএমজি সেক্টর ও এর বাইরেও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কর্মীদের অধিকার এগিয়ে নিতে বেসরকারি খাত ও অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে আরও গভীরভাবে কাজ করতে আগ্রহী। আমরা যদি তৈরি পোশাক খাতের দিকে তাকাই, তবে দেখতে পাই এখানে বাংলাদেশে আমাদের মিশনের অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে একটি হলো এ খাতে একটি টেকসই ও ব্যাপক অংশীদারমূলক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা।
রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের অব্যাহত প্রবৃদ্ধি ও টেকসইত্বের জন্য শ্রম অধিকার গুরুত্বপূর্ণ। আর শ্রমিকদের মান উন্নয়ন ও ন্যায্য অধিকারের মাধ্যমেই এটি অর্জন সম্ভব। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের অব্যাহত প্রবৃদ্ধি ও টেকসইত্বের জন্য শ্রম অধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
‘বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন, অধিকার ও উচ্চ শ্রমের মান উন্নয়ন’ বিষয়ে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডামের দিকে দৃষ্টি আকৃষ্ট করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, এই নতুন নীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত সরকারি সংস্থাকে অন্যান্য সরকার, শ্রমিক সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে সম্পৃক্ততা জোরদার করার এবং বেসরকারি খাত সংগঠনের স্বাধীনতা ও সম্মিলিত দরকষাকষির অধিকারের প্রচার ও সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছে।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান ও বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন।