প্রতিবারের ন্যায় এবারও বাঙ্গালী জাতির সামনে হাজির হয়েছে এই বিষাদময় হতাশার এবং বেদনার কালোরাত। ১৪ই ডিসেম্বর বাঙ্গালী জাতির ভাগ্যাকাশে কালোমেঘে ঢেকে দেয়ার সুদুর প্রসারী পরিকল্পনায় এটেছিল বুদ্ধিজীবিদের গণহারে পুর্বনির্ধারিত তালিকাকারে হত্যার যজ্ঞ। ঐ রাতে বেছে বেছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বুদ্ধিজীদের হত্যার ফল জাতি আজও ধুকে ধুকে ভুগছে। ঐদিনের হত্যা এবং তৎপরবর্তী ১৫ই আগষ্টের হত্যার মধ্যদিয়ে ঐ নরপিচাশদের পরিকল্পনার নিলনকশা সফলতায় পর্যবসিত হয়েছিল কিছুদিনের জন্য। কিন্তু জাতি আজ ফিরে পেয়েছে সেই চেতনা এবং এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা ও বাস্তবতার নিরিখে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কান্ডারী। সেই কান্ডারীর হাত ধরেই আমাদের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য এবং চেতনা ও এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা খুজে পেয়েছে এবং এগিয়ে যাচ্ছে স্বদর্পে। যেমনী রূপে ১৪ই ডিসেম্বরের ঠিক একদিন পরই জাতি উদযাপন করেছিল বিজয়ের।
দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এবং জাতির গর্বিত সন্তানদের হারানোর বেদনার পরের রাতেই বাংগালী জাতির উদয় হয় এবং জাতির ভাগ্যাকাশ থেকে এক জগদ্বল পাথর সরিয়ে আনন্দের জোয়ারে ভাসিয়েছিল ৫৬হাজার বর্গমাইলের এই রূপসী সোনার বাংলাকে। কি যে আনন্দস্রোত তা প্রত্যক্ষদর্শী ছাড়া আর কেউ অনুভব এবং অনুধাবন করতে পারবে কি না তা আমার সন্দেহ। আমাদের সোনার বাংলা এবং রূপসী বাংলা আজ তার স্বমহিমায় উদ্ভাসিত ও উদ্বেলিত। যা বিজয়ের মাধ্যমে মাথা উঁচু করে দাড়ানো সেই বাংলাদেশের প্রতিমূতি যেন উন্নয়ন জোয়ারে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় স্ব মহিমায় এগিয়ে যাচ্ছে। মাথা নোয়াবার কোন কারণ নেই বরং শীরদ্বার উঁচু করে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণার উৎস হিসেবে আর্ভিভূত বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে এক মহা বিস্ময়।
বাংলা ও বাংগালী পারে, পেরেছে এবং করে দেখিয়েছে আর সামনে নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে দেখিয়ে দেবে বিশ্ববাসীকে এবং শিখিয়ে দেবে রাজনীতি, নীতি ও আদর্শ এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিশালায়তন মঞ্চে। এই শিক্ষাই পাঠ্যপুস্তকে লিপিবদ্ধ হয়ে বিশ্ববাসীকে নব্য আঙ্গিকে নতুন এক সভ্যতার মহাকাশে বিচরণ করাবে। এই ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর পরে তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনার নাম স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে। দেশ পরিচালনায় এবং রাজনীতি ও উন্নয়ন ভাবনায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বকে শিক্ষার পরিক্রমায় নব্য নব্য সিলেবাস ও পাঠ্যসুচী দিয়ে শিখিয়ে যাচ্ছে। আর এই অগ্রগামীতায় বাংলার মানুষ মাথা উঁচু করে গর্ববোধ করছে এবং আগামীর বীর বাংগালী হিসেবে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তিকে আরও মজবুত করছে। এই যাত্রার শেষ কোথায় … তা আগামীর অদূর ভবিষ্যৎই আমাদেরকে জানান দেবে যা দৃশ্যমানতা দেখে বুঝা ও বলা এমনকি লিখা যায়।
১৪ই ডিসেম্বর এবং তৎপূর্ববর্তী সময় যেভাবে পরাজিতরা পাহাড়সম বাধা বিপত্তি সৃষ্টি করেছিল এবং নির্বিচারে অন্যায় ও জুলম করেছিল তা কিন্তু আজও অব্যাহত রয়েছে। তবে এর খোলস বদলেছে মাত্র। তাই সাবধান হউন এবং স্বজাগ থাকুন। কারণ সকল বিজয়ই কষ্ট ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল এবং আগামীতেও হবে। তাই এই ত্যাগ ও কষ্টকে আলিঙ্গন করেই আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মান সম্ভব হবে। তবে যদি লক্ষ্যে থাকুন অটুটু তাহলে আজকের দিনের মত আরো হাজারো বিজয় আপনার আমার সম্মুক্ষ্যে হাজির হবে। বিচলিত এবং হতাশ হলে ও ধৈয্য হারিয়ে ফেললে হবে না। বরং আরো কঠোর মনেবৃত্তি নিয়ে লক্ষ্যে অটুন থাকুন। নির্ধিদ্বায় বলতে পারি যদি ১৪ই ডিসেম্বর এবং ১৫ই আগষ্ট জাতির ভাগ্যাকাশে না ঘটত তাহলে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ আরো ৪০বছর আগেই রূপলাভ করতো এবং অভাগা জাতি সুফল ভোগ করতো। এই দেশকে ৪০টি বছর পিছিয়ে দিয়েছে ঐ নরপিচাশরা আর এখন ওদের সৃষ্টি দোসররা চেষ্টা করছে আবারো এই জাতিকে টেক বেক বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিতে। হায়রে ইনসানরুপী নরপিচাশ শয়তানরা। যতই শয়তানি করিসনা কেন কোন ফায়দা নেই বরং নিজেদেরকে নি:শেষ করা ছাড়া আর অবশিষ্ট কিছু থাকবে না। জাতি আজ চোখ কান খোলা রেখে ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে স্মার্ট বংলাদেশে পদার্পনে নিয়োজিত।
আজকের দিনে শুধু বলতে চাই স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকুন সেই বিজয়ের দিনের জোয়ারের মত। পাহারারত থাকুন সেই স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে অটুট থাকার মত। জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের মত বিশ্বাস অটুট রাখুন এবং সংকল্পে দৃঢ় থাকুন। বিজয় নিশ্চিত জেনেও পরিশ্রম করুন এবং জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধিকল্পে নিজের জীবন বিলিয়ে দিন। আগামীর কান্ডারী হিসেবে নিজেকে আরো সুউচ্চ চুড়ায় অধিষ্ঠিত করুন। বিজয়ের মাহাত্মে সকল দু:খ, কষ্ট এবং অনাচার ও অবিচার ভুলে গিয়ে বিজায়ানন্দের ঐক্যবদ্ধতায় নিজেকে নিয়োজিত করুন এবং শরীক হউন এই মহাসাফল্যে।