ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন বিএনপি- জামাত চিহ্নিত সন্ত্রাসী দল। সন্ত্রাস করা তাদের অভ্যাস। বিএনপি’র আমলে জাহাজ বুঝাই করে অস্ত্র আসতো এখনো সন্ত্রাস করার জন্য। রেজবী নামে তাদের এক নেতা আত্মগোপনে থেকে বলছে আমরা রেললাইন কেটে নাকি তাদের নাম দিয়েছি। তারা কথায় কথায় মিথ্যা কথা বলে। যে মা সন্তান জন্ম দেয়, সে মা কি সন্তান হত্যা করতে পারে ? তেমনি আমরা সারা দেশে রেল লাইন বানিয়েছি, আমরা কেন রেল লাইন কাটব। বিএনপি -জামাত সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে নাশকতা করতে রেললাইন কেটেছে। গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপি’র নেতাকর্মীরা এঘটনার দায় স্বীকার করেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা পৌর এলাকার কসবা মহিলা দাখিল মাদ্রাসা মাঠে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক গণ সমাবেশে আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী হিসেবে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি’র শাসনামলে ১০ ট্রাক অস্ত্র এনেছিল। বগুড়ায় পুকুরে অস্ত্র পাওয়া গেছে, এটা ছিল বিএনপি’র – জামাত আর খালেদা জিয়ার কাজ। তার আমলে দেশ পর পর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়। তার দুর্নীতি আর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে অবৈধ কেয়ারটেকার সরকার গঠিত হয়। তিন মাসের সরকার অবৈধভাবে দুই বছর অতিক্রম করে।

২০০৯ সালে জনগণের ভোটে শেখ হাসিনার সরকার গঠন করেন এবং দেশে আইনের শাসন উপহার দিয়েছেন। নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু বানিয়েছেন, কর্ণফুল ট্রানেল তৈরী করেছেন, শতভাগ বিদ্যুতায়ন করেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করেছেন, গৃহীনদের মাঝে গৃহ দিয়েছেন, দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল পরিণত হয়েছে।

উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আফজাল হোসেনের সঞ্চালনায় এবং কসবা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন, কসবা পৌরসভার মেয়র এম, জি হাক্কানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী মোঃ আজহারুল ইসলাম, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল আজিজ প্রমুখ।